দীর্ঘদিন পর নানি বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া।

in hive-129948 •  10 months ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ছোটবেলায় বছরের এই সময়টাতে নানিবাড়ি বা দাদী বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া হোতো। সে অনেক আগের কথা। এখন আর তেমনটা হয় না। আমার দাদু বাড়িতে তো এখন আর কোন মানুষজন থাকে না। বাড়িটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর নানি বাড়িতে কিছু লোকজন থাকলেও সেখানে সচরাচর খুব একটা যাওয়া হয় না। আসলে আমাদের সমাজের ভেতর থেকে এখন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারটা উঠে গিয়েছে। এখন মানুষ সময় সুযোগ পেলে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে যায়। যার ফলে মানুষের ভেতরে সম্পর্কটা আর আগের মতো আন্তরিক নেই।

IMG_20231122_095128.jpg

IMG_20231122_095137.jpg

অথচ আমার কাছে গ্রাম বরাবরই অনেক ভালো লাগে। যেহেতু দাদি বাড়িতে একেবারেই যাওয়া হয় না। তাই মাঝে মাঝে কোন প্রয়োজনে বা কাজ থাকলে নানু বাড়িতে যাওয়া হয়। তেমনি একটি প্রয়োজনে আজ সকালে নানি বাড়ি এসে পৌঁছেছি। আমি আগেই বলেছি গ্রামীন পরিবেশ আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। গ্রামের শান্ত নিরিবিলী প্রাকৃতিক পরিবেশ, কোলাহলমুক্ত রাস্তাঘাট, সবুজে ঢাকা চারপাশ সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিষয়গুলো। আমার নানা মারা গিয়েছে অনেক বছর আগে। নানি এখনো জীবিত রয়েছে। তবে অসুস্থ থাকার কারণে নানী দুদিন আগে শহরে আমার মামার বাড়িতে গিয়েছে। যার ফলে নানি বাড়িতে পৌঁছে নানির সাথে আর দেখা হয়নি। আপনার খেয়াল করে দেখবেন নানা-নানি জীবিত না থাকে নানি বাড়িতে যাওয়ার আকর্ষণ অনেকটা কমে যায়। যেহেতু আমার নানী এখনো জীবিত রয়েছে তাই অনেকদিন পরপর হলেও নানি বাড়িতে যাওয়া হয়।


IMG_20231122_100340.jpg

আমি নানি বাড়িতে গেলে নানি বাড়ির আশেপাশের জায়গাগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি। আমার নানি বাড়ির একটা জিনিস আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগে সেটা হচ্ছে এই গ্রামটা গত ২০-২৫ বছরে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশে বেশিরভাগ গ্রাম ইতিমধ্যে অনেক পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। তবে আমার নানির বাড়ির এলাকাটা এখনো সেই আগের মতো রয়েছে। এই এলাকাটা আগা গোড়ায় একটু কম জন বসতিপূর্ন আর কোলাহলমুক্ত। আর পুরো এলাকা জুড়ে রয়েছে প্রচুর গাছপালা। যেটা আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে।


IMG_20231122_101815.jpg

মনে পড়ে ছোটবেলায় যখন নানি বাড়িতে বেড়াতে আসতাম তখন কখনো আমরা একা আসতাম না। সাথে আরো অন্য খালাতো ভাইবোনেরা আসতো। যার ফলে অনেক বেশি মজা হোতো। আমরা অনেকগুলো বাচ্চা মিলে একসাথে খেলাধুলা করতাম দৌড়ঝাপ করতাম। সেটা ছিল দারুন অভিজ্ঞতা। তবে এখন আর তেমনটা হয় না। তবে নানি বাড়িতে গেলে এখনো আগের মতো মামিরা যথেষ্ট আদর আপ্যায়ন করে। নানি বাড়িতে গেলে আমি দুটো জায়গায় অবশ্যই ঘুরতে যাই। সেটা হচ্ছে নানি বাড়ির ঠিক পেছন দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুমার নদী। আর একটা জায়গা হচ্ছে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে বিশাল এক ফসলের মাঠ। নানি বাড়ি গেলে এই দুটো জায়গায় আমার যাওয়া চাই ই চায়। আজকে যেমন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে সেই ছোট্ট নদীর পাড়ে গিয়ে বসেছিলাম। আবার সকালের দিকে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলাম সেই ফসলের মাঠের কাছে। সব কিছু মিলিয়ে সময়টা বেশ ভালোই কাটছে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

ছোটবেলায় পরীক্ষা শেষ হলেই মা আমাদেরকে নিয়ে মামার বাসায়, ফুপুর বাসায় বেড়াতে যেতো। গিয়ে বেশ কয়েকদিন থাকা হতো। আবার ওনারাও বেড়াতে আসতেন। কিন্তু এখন আসলেই আত্মীয় স্বজনের বাসায় মানুষ অনেক কম বেড়াতে যায়। সেজন্য আত্মীয় স্বজনের সাথে মানুষের বন্ডিংটাও ততটা গভীর না। যাইহোক দীর্ঘদিন পর নানি বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে, বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করলেন ভাই। গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবমিলিয়ে পোস্টটি দারুণ লেগেছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

সত্যি ভাইয়া নানা নানি জীবিত না থাকলে যাওয়ার প্রতি আকর্ষণটা অনেক কমে যায়। ডিসেম্বর মাস এলেই স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। আর চলে যেতাম নানিবাড়ি বা দাদুবাড়ি। আসলে সেই দিনগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে। যাই হোক ভাইয়া আপনার নানী অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। আপনার সাথে আপনার নানির দেখা হলে হয়তো আপনার ভালো লাগতো।