পরিবার নিয়ে বাইরে খেতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা।

in hive-129948 •  last month 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কয়েকদিন আগে মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম হালকা খাওয়া-দাওয়া করতে। তবে সেদিন খাওয়া দাওয়া করে আমার মেয়ের মন ভরে নি। যার ফলে সে গত দুদিন থেকে আবার বাইরে খেতে যাওয়ার জন্য জিদ করছিলো। এদিকে সেদিন মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে বাইরে গেলেও আমার স্ত্রীকে নিতে পারিনি। যার ফলে চিন্তা করলাম তিনজনে মিলে একদিন বাইরে খাওয়া দাওয়া করি। পরিকল্পনা করেছিলাম গতকালকে আমরা বাইরে খেতে যাবো। কিন্তু গতকালকে হঠাৎ অত্যন্ত জরুরি একটা কাজ পড়ে যাওয়ায় গতকালকে আর যাওয়া হয়নি। রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া হবে না এটা শুনে আমার মেয়ে তো রেগে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছিলো। যাইহোক তাকে কোনরকমে বুঝিয়ে শুনিয়ে গতকালের মত ঠান্ডা করতে পেরেছিলাম।

1000001613.jpg

গতকালই তাকে বলেছিলাম আজকে দুপুরে আমরা সবাই বাইরে খেতে যাব। সেই কথা মত আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যোহরের নামাজ পড়ে আমি বাসায় ফিরে তারপর রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। তবে কোন রেস্টুরেন্টে খেতে যাবো এটা নিয়ে আমাদের ভেতর একটু কনফিউশন দেখা দিয়েছিল। কারণ শহরের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট থেকেই আমাদের খাওয়া হয়েছে। এজন্য সেই রেস্টুরেন্ট গুলো সম্বন্ধে আমাদের মোটামুটি বেশ ভালো ধারণা আছে। তাদের খাবারের স্বাদ কেমন সেটা আমরা খুব ভালো ভাবে জানি। আমার স্ত্রী আর মেয়ে দুইজন চাচ্ছিল নতুন কোন রেস্টুরেন্টে যেতে। তবে আমি নতুন রেস্টুরেন্টে যেতে খুব একটা আগ্রহী না। কারণ নতুন কোন রেস্টুরেন্টে গেলে সেখানকার খাবারের মান কেমন হবে সেটা আমরা কেউই জানিনা। এদিকে আমরা বেশিরভাগ সময় যে রেস্টুরেন্টে যাই খাওয়া-দাওয়া করতে তাদের খাবারের মান খুবই ভালো। যার ফলে আমি অকারনে কোন ঝুঁকি নিতে চাচ্ছিলাম না।


1000001606.jpg

তবে তার পরেও শেষ পর্যন্ত আমার স্ত্রী আর মেয়ের কাছে আমাকে পরাজিত হতে হয়েছে। তাদের কথা মতো শেষ পর্যন্ত আমরা নতুন একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়া করতে। সেই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতেই বুঝতে পারলাম তাদের ব্যবসার অবস্থা ভালো না। কারণ আমরা ছাড়া আর মাত্র দুজন কাস্টমারকে সেখানে দেখতে পেয়েছিলাম। রেস্টুরেন্টের অবস্থা যে খুব একটা ভালো না সেটা ভেতরে ঢোকার পরই বুঝতে শুরু করেছিলাম। কারণ রেস্টুরেন্ট এর ভেতরে ঢুকে দেখি ভেতরটা বেশ গরম। তাকিয়ে দেখি সেখানে দুটো এসি লাগানো রয়েছে। তখন বুঝতে পারলাম এসি দুটো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে আমাদের মুখের ভাব দেখে তারা বুঝতে পারল যে আমাদের গরম লাগছে। তারপর তারা তাড়াতাড়ি এসি অন করে দিলো।


1000001603.jpg

কি খাবো সেটা আমরা আগে থেকে ঠিক করে এসেছিলাম। যার ফলে আমরা টেবিলে বসার কিছুক্ষণের ভেতরে ওয়েইটার এলে আমরা তাকে তিনটা সেট মেনুর অর্ডার করলাম। অর্ডার করে বসে রয়েছি এদিকে দেখি খাবার আসার কোনো নাম গন্ধ নাই। বিশ মিনিট পার হয়ে যায়, ত্রিশ মিনিট পার হয়ে যায় এক সময় দেখতে দেখতে প্রায় এক ঘন্টা পার হয়ে গেলো। তখন আমি একজন ওয়েইটার কে ডেকে খাবারের জন্য তাগা দিতেই সে জানালো আর কিছুক্ষণের ভেতরে খাবার পরিবেশন করা হবে। এদিকে ততক্ষণে পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো। যার ফলে অপেক্ষা করতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। শেষ পর্যন্ত ওয়েটারের সাথে কথা বলার কিছুক্ষণের ভেতরে আমাদের টেবিলে থাই সুপ এবং অন্থন পরিবেশন করলো।

ক্ষুদা পেটে খাবার সামনে আসতে ই রীতিমতো খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম। সুপ শেষ হতেই আমাদের সামনে বাকি খাবারগুলো চলে এলো। মূলত আমরা যেই সেট মেনুটা অর্ডার করেছিলাম সেখানে ছিলো থাই সুপ এবং অনথন। সেই সাথে ছিল ফ্রাইড রাইস, চিকেন কারি, চাইনিজ ভেজিটেবল এবং চিকেন ফ্রাই। রেস্টুরেন্টটা যেমন আমাদের খুব একটা পছন্দ হয়নি তেমনি তাদের খাবারও খুব একটা পছন্দ হয়নি। যাইহোক তারপরেও পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা থাকার কারণে সেই মোটামুটি মানের খাবারও আমাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছিলো। খাবার সামনে পরিবেশন করতেই আমি যথারীতি খাওয়া শুরু করেছিলাম। কিছুক্ষণ পর মনে পড়ল আমি তো ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি। অবশ্য আমার স্ত্রী খাবার শুরুর আগেই ছবি তুলেছিলো। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই বিল মিটিয়ে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসSamsung s24ultra
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ালে অনেক ভালো লাগে এবং হালকা ফিল হয়।বিশেষ করে পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সেই মজা আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়।৩ সদস্যের আপনার মিষ্টি পরিবার নিয়ে আজ দুপুরে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব মজা করেই খেয়েছেন।অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।সুন্দর এই মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার অর্ডার করে এতক্ষণ বসে থাকতে বিরক্ত লাগে। যাইহোক খাবার আসতে দেরী হওয়াতে স্যুপ এবং অনথন দিয়ে লাঞ্চ শুরু করেছিলেন, এটা খুব ভালো হয়েছে। যেহেতু সেই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান তেমন ভালো নয়,তাহলে তো আর পরবর্তীতে সেই রেস্টুরেন্টে যাবেন না মনে হয়। আসলে কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতা হলে পরবর্তীতে আর যেতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক পরিবার নিয়ে বাহিরে খেতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

মাঝেমধ্যে এভাবে পরিবারকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। ঐদিন আপনার মেয়ের মন ভরে নি তাই আবারও যেতে বায়না ধরেছে দেখছি। আপুকে নিয়ে গিয়েছেন সাথে দেখে অনেক ভালো লাগলো। নতুন নতুন রেস্টুরেন্টে গেলে এই একটাই সমস্যা। খাবারের মান কি রকম হবে এটা নিয়েই চিন্তায় থাকতে হয়। খাবারের মান ভালো হলে খেতে ভালো লাগে, তবে মোটামুটি হলেও ঠিক আছে।

ছোট বাচ্চারা বাহিরের খাবার খেতে সত্যি অনেক পছন্দ করে। তাই আমাদের মামনি সব সময় বাহিরের খাবার খেতে চায়। তবে আপনি ছবি তুলতে ভুলে গেলেও আপু কিন্তু ঠিক মনে রেখেছে ভাইয়া। পরিবারের সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

পরিবারের সবাই কে নিয়ে বাইরে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে এখনকার বাচ্চারা বাইরের খাবার খেতে খুবই অভ্যস্থ।এরা ঘরের খাবার একদমই খেতে চায় না।মেয়ের আবদারে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করলেন।এটা ঠিক পরিচিত রেস্টুরেন্টে যাওয়া ই ভালো। নতুন রেসৃটুরেন্টে খাবারের মান কেমন না কেমন হয়।ক্ষুধা পেটে খাবার তবে মন্দ লাগেনি।যাক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।