তাহলে ওর খুব একটা সমস্যা হবে না। আমি নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে দুই এক মিনিট অপেক্ষা করার পরেই ফেরদৌসকে দেখতে পেলাম। ফেরদৌস আসতেই আমি ওকে বললাম চলো রাসেলকে ওর বাড়ি থেকে নিয়ে আসি। এই কথা বলতেই আমরা দুই বন্ধু রওনা দিলাম রাসেলের বাড়ির উদ্দেশ্যে। যাওয়ার পথে আমি আগেই রাসেলকে ফোন দিয়ে কিছুটা এগিয়ে আসতে বলেছিলাম। আমরা রাসেলের এলাকায় পৌঁছে দেখি রাসেল হেঁটে সামনের দিকে আগাচ্ছে। পরবর্তীতে তিন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম রাফসানের এলাকার উদ্দেশ্যে। রাফসানের শোরুমে পৌঁছে আমরা চার বন্ধু মিলে গল্পগুজব করতে লাগলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের গল্প গুজব হচ্ছিলো। তবে গল্পের মূল বিষয়বস্তু ছিলো আমাদের কক্সবাজার ট্যুর। গল্প করতে করতে এক পর্যায়ে আমরা রাফসানকে বললাম চল বাইরে কোথা থেকে ঘুরে আসি।
রাফসান তখন আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলে আমরা আমাদের সেই প্রিয় জায়গাটার কথা তাকে বললাম। সেই কথা বলতেই আমরা চার বন্ধু রাফসানের শোরুম থেকে বের হলাম। বের হতেই দেখি রাফসানের এলাকার এক ছোট ভাই যার সাথে আমাদের সবার দারুন সম্পর্ক। সেও সেখানে উপস্থিত হলো। তাদেরকেও আমরা বললাম চলো আমরা সেই ব্রিজের উপর থেকে ঘুরে আসি। তারা আনন্দে রাজি হয়ে গেলো। পরবর্তীতে আমরা তিন মোটরসাইকেলে ৬ জন রওনা দিলাম সেই ব্রীজের উদ্দেশ্যে। তবে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ফেরদৌস হঠাৎ করে একজন আখ বিক্রেতাকে দেখে আমাকে বলল চলো কিছু আঁখ কিনে নেই। আমি তখন ফেরদৌস কে বললাম এখন সময় নষ্ট করা যাবে না। আগে চলো সেখানে বসে আড্ডা দেই। ফেরার পথে আখ কিনে নিয়ে রাফসানের শোরুমে বসে খাওয়া যাবে। এই কথা বলে আমরা সেই ব্রিজের উদ্দেশ্যে চলতে লাগলাম।
সেই ব্রিজের ওখানে পৌঁছে আমরা খেয়াল করে দেখি আমাদের পেছনের মোটরসাইকেল দুটো নেই। আমরা কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পরে দেখতে পেলাম মোটরসাইকেল দুটো আসছে। ওরা কাছে আসতে দেখতে পেলাম বন্ধু রাফসান সবার জন্য আখ কিনে নিয়ে এসেছে। আখের বান্ডিল দেখে ফেরদৌস খুশি হয়ে গেলো। রাফসান মোটরসাইকেল থেকে নামতে আমরা সবাই ওদের কাছ থেকে আখ নিয়ে খেতে শুরু করলাম। অনেকদিন পর এভাবে কয়েক বন্ধু-বান্ধব মিলে আখ খাচ্ছিলাম আর গল্পগুজব করছিলাম। মুহূর্তটা আমার কাছে দারুন লাগছিলো। এমনিতে সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল চমৎকার। সেইসাথে কয় বন্ধু মিলে আড্ডার সাথে সাথে আখ খাওয়া সবকিছু মিলিয়ে সময়টা আমরা সকলে দারুন উপভোগ করছিলাম। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়ার পরে মাগরিবের সময় হয়ে এলো। পরবর্তীতে আমি আর বন্ধু ফেরদৌস গেলাম মাগরিবের নামাজ পড়তে। নামাজ পড়ে এসে আমরা সবাই আবার রাফসানের শোরুমের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তবে আমি ফেরদৌস আর রাসেল তিন বন্ধু শহরে ফিরে এসেছিলাম। কারণ সেখানে আমাদের আরো কিছু বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দেয়ার কথা ছিলো। আর এভাবেই সেদিনের ঘোরাফেরাটা শেষ হয়েছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | samsung s24 ultra |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বিকেলে কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে এমন জায়গায় আড্ডা দিতে খুব ভালো লাগে। ব্রিজ এবং ব্রিজের আশেপাশের জায়গা গুলো খুব সুন্দর। আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি আখ খেয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। তবে এটা মনে হয় তৃতীয় পর্ব হবে। এর আগে তো এই ব্লগের দ্বিতীয় পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit