তায়েফ শহর ভ্রমনের অভিজ্ঞতা (দ্বিতীয় পর্ব)।

in hive-129948 •  3 months ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আমরা আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের নির্ধারিত গাড়িটি এসে পরলো। গাড়িটি আসার সাথে সাথে ড্রাইভার আমাদেরকে ইশারা করলো দ্রুত গাড়িতে উঠে পড়ার জন্য। কারণ সৌদি আরবে রাস্তার উপর গাড়ি দাঁড় করালে পুলিশ এসে তাদেরকে জরিমানা করে। সে কারণেই ড্রাইভার আমাদেরকে দ্রুত গাড়িতে উঠে বসতে বলেছিলো। যাইহোক আমরা গাড়িতে উঠতেই গাড়ি ছেড়ে দিলো। সৌদি আরবের রাস্তাঘাট এমনিতে বেশ ভালো। খেয়াল করে দেখলাম সব গাড়ি কঠোরভাবে ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলছে। রাস্তাঘাটে প্রচুর ট্রাফিক পুলিশ দেখতে পেলাম। যারা একটু এদিক-ওদিক হলেই জরিমানা করে দেবে।

IMG_20240622_103439.jpg

দেখতে দেখতে আমরা কিছুক্ষণের ভেতরে মক্কা শহরের সীমানা ছাড়িয়ে তায়েফের দিকে এগিয়ে চললাম। তবে খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার কারণে গাড়িতে ওঠার কিছুক্ষণের ভিতরে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। যার ফলে রাস্তার সৌন্দর্য আমি অনেকটাই মিস করেছিলাম। হঠাৎ করে আমার এক সহযাত্রীর ডাকে আবার ঘুম ভাঙলো। তিনি আমাকে বললেন আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শুধু শুধু এই চমৎকার সুযোগটা নষ্ট করছেন। বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখেন কি চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য। তায়েফ শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। সেখানে যাওয়ার রাস্তাটা পাহাড়ের গা বেঁকে আঁকাবাঁকা হয়ে উপরের দিকে উঠে গিয়েছে। যার ফলে রাস্তাটা দেখতে আসলেই বেশ ভালো লাগছিলো। সেখানকার যাত্রাটা আমাদের কাছে বেশ রোমাঞ্চকর মনে হয়েছিলো।


IMG_20240622_095649.jpg

যাইহোক এভাবে দেখতে দেখতে এক সময় আমরা তায়েফ শহরে প্রবেশ করলাম। তবে খেয়াল করে দেখলাম তায়েফ মক্কার মতো ব্যস্ত শহর না। মক্কার মতো ব্যস্ত শহর থেকে তায়েফের মতো নিরিবিলি শহরে এসে আমি প্রথমে কিছুটা অবাক হলাম। খেয়াল করে দেখলাম সেখানে রাস্তাঘাটে লোকজনের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া তায়েফের সব রাস্তায় সবুজের ছোঁয়া দেখতে পেলাম। তায়েফে পৌঁছে আমরা প্রথমে গেলাম আব্বাস নামক সাহাবীর মসজিদে। সেই মসজিদে সেই সাহাবীর কবর রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেকেই নামাজ আদায় করছে আর কবর জিয়ারত করছে। তাদের দেখাদেখি আমরাও দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নিলাম।


IMG_20240622_092119.jpg

তারপর কবর জিয়ারত করে আমরা মসজিদ চত্বরটা ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। সেখানে দেখতে পেলাম হকাররা নানা রকম ফল বিক্রি করছে। তায়েফে যাওয়ার আগেই শুনতে পেয়েছিলাম সেখানকার ফল নাকি অত্যন্ত সুস্বাদু। যদিও আমরা খুব একটা বেশি সময় নিয়ে না যাওয়ার কারণে ফলগুলো টেস্ট করা হয়নি। তবে আমি একটা আনারের জুস নিয়েছিলাম। যেটা খেতে আমার কাছে মোটামুটি লেগেছিলো। সেই মসজিদ ভ্রমণ শেষ হলে আমরা চললাম অন্য দর্শনীয় স্থানের উদ্দেশ্যে।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানতায়েফ, সৌদি আরব

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে এমনিতেই ঘুম পায়। তবে এমন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলে তো নিজেরই লস। যাইহোক তায়েফ শহরে গিয়ে মসজিদে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং নফল নামাজ আদায় করেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

জরিমানার ভয়েই হোক, বা পুলিশের ভয়ে, সকল ড্রাইভার ই ট্রাফিক আইন যথাযথ ভাবে মেনে চলে জেনে বেশ ভালো লাগলো! আমাদের দেশেও যদি এভাবে মেইনটেইন করা যেত, কত ভালোই না হতো! আর এমন মজাদার সব ফলের সাজানো ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে দুই টা বাটি নিয়ে খেতে শুরু করি! আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই৷ আর আমাদের সকলের জন্যও দোয়া করবেন।

আমরাও আপনার সাথে সাথে আরবে ঘোরার অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। অসাধারণভাবে বুঝিয়ে বলছেন ভ্রমণের সবকটি দিন। তায়েফ শহরে ঘোরার অভিজ্ঞতা ভীষণ ভালো লাগলো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০০ ফুট উঁচু মানে প্রায় দার্জিলিং এর উচ্চতা। কল্পনায় শহরটির আঁকি-বুঁকি জাল বুনলাম মাথার ভেতর। সঙ্গে আপনার ব্লগটি যেন আরও প্রশ্রয় দিয়ে গেল।

মক্কার রাস্তায় কোন গাছ পালা নেই,মানুষের সংখ্যাও বেশি। তারপরেও তাদের রাস্তা দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায়। চার দিকে পাহাড়,বালু তারপরেও রাস্তা কত সুন্দর। আর তায়েফের জমিনে অনেক গাছ পালা রয়েছে। আর ফলের চাষও হয়। সময় নিয়ে ফল গুলো টেষ্ট করতে পারলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।