ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা ও কিছু ছোটোখাটো কেনা কাটার গল্প (শেষ পর্ব)।

in hive-129948 •  3 days ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


বাস থেকে নেমে দ্রুত হেঁটে আমি বাইতুল মোকাররমের দিকে আগাতে লাগলাম। কারণ সেখানে আমার কিছু টুকিটাকি কেনাকাটার প্রয়োজন ছিলো। তবে বাইতুল মোকাররমে পৌঁছে আমার বেশ ক্ষুধা লেগে গেলো। তখন আমি সেখানকার একটা ফাস্টফুড শপ থেকে হালকা কিছু খেয়ে নিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে লাগলাম। ঘুরেফিরে কেনাকাটা করতে গিয়ে আমার সেখানে বেশ কিছুটা সময় কেটে গেলো। তারপর আমি সেখান থেকে রওনা দিলাম ইস্টার্ন প্লাজার উদ্দেশ্যে। তবে ঢাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা বর্তমানে আরো বেশি খারাপ হয়েছে। যানজট চরমভাবে বেড়ে গিয়েছে। কারণ হিসেবে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতা। কেন জানি তাদের কাজে কর্মে খুব একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

1000002090.jpg

যাইহোক আমি বাইতুল মোকাররমের সামনে থেকে রিকশা নিয়ে ইস্টার্ন প্লাজার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তবে শাহবাগের মোড়ে পৌঁছে পড়লাম এক নতুন ঝামেলায়। সেখানে গিয়ে দেখি রাস্তা পুরোপুরি আটকে কিছু আন্দোলনকারী বসে রয়েছে। স্বৈরাচার পতনের পর থেকেই আমাদের দেশে আন্দোলনের জোয়ার নেমেছে। দেশের প্রত্যেকটা মানুষ কোনো না কোনো ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করতে শুরু করেছে। যাই হোক রাস্তা বন্ধ পাওয়াতে আমি কিছুটা টেনশনে পড়ে গেলাম। তারপর আমি রিকশা থেকে নেমে বারডেম হাসপাতালের ভেতর দিয়ে পিজি হাসপাতাল হয়ে একবারে আজিজ মার্কেটের কাছাকাছি বের হলাম। তারপর সেখান থেকে আবার রিক্সা নিয়ে ইস্টার্ন প্লাজার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ইস্টার্ন প্লাজায় যখন পৌঁছেছি তখন বেলা বাজে প্রায় দুটো।


1000002095.jpg

সেই সকালে বাসা থেকে নাস্তা করে বের হয়েছিলাম। তারপর বাইতুল মোকাররাম এসে খুবই সামান্য কিছু খেয়েছিলাম। যার ফলে আমার প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিলো। তাই আমি ইস্টার্ন প্লাজায় পৌঁছে প্রথমে খোঁজখবর নিয়ে সেখানকার ফুড কোর্টে চলে গেলাম। ফুড কোর্টে গিয়ে প্রথমে আমি খাবারের অর্ডার করলাম। অর্ডার করার পর তারা জানালো খাবার প্রস্তুত হতে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। আমার এতোটাই ক্ষুধা লেগেছিল তখন যে ১৫ মিনিট সময়ও অনেক বেশি মনে হচ্ছিলো। যাইহোক বেশি মনে হলেও কিছু করার ছিল না বসে বসে অপেক্ষা করা ছাড়া। শেষ পর্যন্ত তারা ১৫ মিনিটের ভিতরেই আমাকে খাবার পরিবেশন করেছিলো। আমি সেখানে একটা চাইনিজ সেট মেনু অর্ডার করেছিলাম। খাবারটা যখন আমার সামনে এলো তখন দেখতে পেলাম সেখানে বেশ ভালো পরিমানে খাবার রয়েছে। তবে এদিনও আমি খাবারের ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম।


1000002097.jpg

আমি মোটামুটি তৃপ্তি নিয়ে খাবারটা শেষ করলাম। তাদের রান্নাটাও বেশ ভালো হয়েছিলো। ভরপেট খাওয়ার পরে আমি সেখানে বসে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। কারণ দুপুর বেলায় ভরপেট খাওয়ার পরে আর সহজে নাড়াচাড়া করতে ইচ্ছা করে না। যাইহোক কিছুক্ষণ রেস্ট নেয়ার পরে আমি ইস্টার্ন প্লাজা থেকে বের হয়ে রওনা দিলাম মোতালিব প্লাজার উদ্দেশ্যে। মূলত সেখানে গিয়েছিলাম একটা হেডফোন এবং আমার স্মার্টফোনের জন্য একটা বেল্ট কিনতে। তবে খুবই দুঃখের বিষয় আমি সেখানে গিয়ে হেডফোন কিনতে পারিনি। শুধু ঘড়ির স্ট্রাপ কিনেই ফিরে এসেছিলাম। কারণ আমি যেই ব্র্যান্ডের হেডফোন খুজছিলাম সেটা আমি সেখানে পাইনি। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে সেটা না পাওয়ার ফলে আমি শুধু ঘড়ির স্ট্রাপ কিনে আপুর বাসার দিকে রওনা দিলাম। তবে সেদিন পুরো রাস্তাটাতে অনেক জ্যাম ছিলো। যার ফলে আমার আপুর বাসায় পৌঁছতে পৌঁছাতে প্রায় বিকাল হয়ে গিয়েছিলো। আর এভাবেই আমার এবারের ঢাকার যাত্রা সম্পন্ন হয়েছিলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসSamsung s24 ultra
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানঢাকা

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলেই ভাই ঢাকা শহরে এখন যানজট প্রচুর বেড়েছে। তাছাড়া আন্দোলন তো ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে। সেদিন দেখলাম বসুন্ধরা সিটি শপিংমল এর সামনেও আন্দোলন হচ্ছে। যাইহোক বেশ কয়েক জায়গায় ঘুরাঘুরি করে টুকটাক কেনাকাটা করেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন তাহলে। ইস্টার্ন প্লাজার এই ফুড কোর্টে আমিও ১৫/২০ দিন আগে গিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।