পরিবার নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতা (দ্বিতীয় পর্ব)।

in hive-129948 •  26 days ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


৮ তলায় ওঠার সময় আমরা আলোচনা করছিলাম যে যেহেতু আমরা স্টার থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি এবং খাসির লেগ রোস্ট খাবো তাই এখন আপাতত ভারি কিছু না খেয়ে হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করা যাক। তার পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করতে লাগলাম কি খাওয়া যেতে পারে? তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললাম ছোলা বাটোরে খেতে পারো। বসুন্ধরা সিটির এই খাবারটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এই খাবারটা অবশ্য আমার স্ত্রী আর মেয়েরও বেশ পছন্দের। তারা আমার প্রস্তাব শুনে খুশি হয়ে গেলো। তারপরও আমি তাদের বললাম আগে চলো আট তলায় গিয়ে দেখি কি অবস্থা। সেখানে গিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে কি খাবো। এদিকে আমার মেয়ে স্কেলেটরে করে আট তলায় উঠতে চাচ্ছিলো। আমি তখন তাকে বোঝালাম এটা করতে গেলে আমাদেরকে অনেক ঝামেলা করতে হবে। এর থেকে সহজে আমরা লিফটে করে আট তলায় চলে যায়।

IMG_20240605_140259.jpg

তারপর আমরা লিফটে উঠে ৮ তলায় চলে গেলাম। আপনারা জানেন বসুন্ধরা সিটি ফুড কোর্টে অসংখ্য খাবারের দোকান। সেখানে গিয়ে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেয়া মুশকিল কি খাবেন। তাই যদি আপনি আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য খাবার অর্ডার করা সুবিধা হয়। আমরা আট তলায় পৌঁছে একটু এদিক ওদিক দেখতে লাগলাম কি খাওয়া যেতে পারে। হঠাৎ করে আমার নজরে পড়লো একটি সালাদ বার। বেশ কয়েক বছর হোলো এই ধরনের খাবারের দোকান বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানকার সিস্টেম হচ্ছে আপনি ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা যে কোনো খাবার থেকে যতটুকু ইচ্ছা নিতে পারবেন একটা বক্সে করে। খাবার নেয়ার পর সেই বক্সের ওজন মেপে আপনার খাবারের দাম নির্ধারণ করা হবে। আমরা যেখান থেকে খাবার সিদ্ধান্ত নিলাম সেখানে প্রতি গ্রাম খাবারের দাম ছিল ৯৩ পয়সা।


IMG_20240605_141422.jpg

আমি যখন আমার স্ত্রী আর মেয়েকে সেখান থেকে খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলাম তারা সানন্দে রাজি হয়ে গেলো। তারপর তাদেরকে একটি টেবিলে বসিয়ে আমি গিয়ে খাবার নিতে লাগলাম। আমি আমার ওয়ান টাইম বক্সে ফ্রাইড রাইস, দুই রকমের কারি, কোরিয়ান চিকেন ফ্রাই, পাস্তা আর এক ধরনের সালাদ নিয়েছিলাম। সবকিছু নেওয়ার পর যখন আমার বক্সের ওজন করতে গেলাম তখন দেখলাম সেখানে বিল এসেছে ৭০০ টাকা। মানে আমি ৭০০ গ্রামের উপর খাবার নিয়েছিলাম। যাই হোক বিল পরিশোধ করে আমি খাবার নিয়ে আমার স্ত্রী আর মেয়ের কাছে চলে গেলাম। তারপর তিনজনে মিলে সেই বক্স থেকে খেতে লাগলাম। যেহেতু আমরা পেট ভরে খাবো না তাই তিনজনে সেই বক্স থেকে শেয়ার করছিলাম। তবে খেতে গিয়ে বুঝতে পারলাম সেখানে খাবারের পরিমাণ নেহায়েত কম নয়। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে সেখানে ড্রিংসের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে আমরা চিন্তা করতে লাগলাম এখন কি করা যায়।


IMG_20240605_141426.jpg

যেহেতু এখন খাওয়া দাওয়া করা হয়েছে তাই এখনই খেতে যাওয়া যাবে না। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আরো কিছুক্ষণ আমরা বসুন্ধরা সিটিতে ঘোরাফেরা করে তারপর খাওয়া দাওয়া করতে যাবো। এর ভেতরে নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় আমি চিন্তা করলাম সেখান থেকে নামাজ পড়ে নেই। এদিকে আমার মেয়ের বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো। তাই আমি তাদেরকে প্রথমে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলাম। তারপর তাদেরকে একটি জায়গায় ঘোরাফেরা করতে বলে আমি চলে গেলাম নামাজ পড়তে। নামাজ শেষ করে এসে আবার আমরা বসুন্ধরা সিটিতে ঘোরাফেরা করতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এখন খেতে যাবো। সেই গল্প বলব পরের পর্বে।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানঢাকা

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ভাই কোরিয়ান চিকেন ফ্রাই এর কথা শুনেই তো লোভ সামলাতে পারছি না। কোরিয়ান চিকেন ফ্রাই খেতে আসলেই দারুণ লাগে। যাইহোক এক বক্সে তাহলে ৭০০ গ্রামের উপর খাবার নিয়েছিলেন। খাবার নেওয়ার এই সিস্টেমটা খুবই ভালো। খাবারগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। পরবর্তীতে আপনারা বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে আর কি কি করলেন, সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।