তবে সে আসার পরে প্রথম কয়েকদিন প্রায় টানা বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে বাইরে কোথাও যেতে পারেনি। যাই হোক তারপরে বৃষ্টি কমলে সে মোটামুটি ভালই ঘোরাফেরা করেছে। আমার ভাগ্নে যখন ফরিদপুর আসে তখন আমার স্ত্রী আর মেয়ে ফরিদপুরে ছিল না। তারা ফরিদপুর এসেছিল কয়েকদিন পরে। আমার মেয়ে ফরিদপুর আসার পরে বাইরে খেতে যাওয়ার জন্য আমাকে বারবার বলতে লাগলো। আমিও চিন্তা করলাম যেহেতু ভাগ্নে অনেকদিন পর এসেছে। আবার মেয়েও এদিকে বাইরে খেতে যেতে চাচ্ছে। তাই তাদেরকে নিয়ে বাইরে কোথা থেকে হালকা খাওয়া-দাওয়া করে আসি।
আমার স্ত্রীকে বাইরে যাওয়ার কথা বললে সে জানালো তার এসিডিটির সমস্যার কারণে সে যাবে না। পরবর্তীতে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ভাগ্নে আর মেয়েকে নিয়েই কোথা থেকে খাইয়ে নিয়ে আসি। তবে ইদানিং আমার মেয়ে একবার কোনো রেস্টুরেন্টে গেলে সেখানে আর দ্বিতীয়বার যেতে যায় না। আমি সাধারণত চেষ্টা করি একই জায়গা থেকে খাওয়া-দাওয়া করতে। একই জায়গা থেকে খাওয়া দাওয়া করার একটা সুবিধা হচ্ছে আপনার সেখানকার খাবার সম্বন্ধে একটা ভালো ধারণা থাকবে। এ কারণে আমি চেষ্টা করি বেশিরভাগ সময় আমার পরিচিত রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করতে।
তবে আমার মেয়ের আবার এই ব্যাপারে ঘোর আপত্তি। তার ইচ্ছা এক একদিন এক এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করবো। যাইহোক তার ইচ্ছামত আমি আমার মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে একটি নতুন রেস্টুরেন্টে গেলাম। অবশ্য নতুন রেস্টুরেন্ট বলাটা ঠিক হচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না। কারণ এই রেস্টুরেন্টটি চালু হয়েছে বেশ কয়েক মাস হয়ে গেলো। তবে সেখানে আমাদের এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। সে কারণেই মেয়েকে সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার প্রস্তাব দিতেই সে রাজি হয়ে গেল। ঠিক করলাম বিকালে আসরের নামাজের পরে মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে বাইরে খাওয়া দাওয়া করতে যাবো। আসরের নামাজ পড়ে এসে মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে চলে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টটি একেবারে ছোটখাটো। তবে ভেতরটা সুন্দর করে সাজানো। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে প্রথমে মেয়ে আর ভাগ্নের কয়েকটা ছবি তুললাম। তারপর মেনু কার্ড হাতে নিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম কোন কোন খাবার অর্ডার করবো। পরবর্তীতে আমার মেয়ে আর ভাগ্নেকে জিজ্ঞেস করে তাদের পছন্দমতো খাবার অর্ডার করলাম। আমার ভাগ্নে নিয়েছিল চিকেন চিজ মোমো। আর মেয়ে অর্ডার করেছিল চুরমুর নামের একটা খাবার। আর আমি নিয়েছিলাম শাহী হালিম। খাবার অর্ডার করে আমরা বসে খাবারের অপেক্ষা করতে লাগলাম। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Samsung s24 ultra |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছেও পরিচিত রেস্টুরেন্টে বারবার যেতে ভালো লাগে। কারণ খাবার খেয়ে তাহলে বেশ তৃপ্তি পাওয়া যায়। যাইহোক আপনার মেয়ের যেহেতু নতুন নতুন রেস্টুরেন্টে যাওয়ার ইচ্ছে, তাহলে তো আর কিছুই করার নেই ভাই। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো খাবারের মান ভালোই মনে হচ্ছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খাবারের সম্পর্কে ধারণা থাকে যদি আমরা একই রেস্টুরেন্টে যাই। কিন্তু নতুন রেস্টুরেন্টে গেলে খাবার কি রকম হবে এটাই ভাবতে থাকি শুধু। তবুও আপনার মেয়ের বায়নাতে যাওয়া লেগেছে নতুন রেস্টুরেন্টে। আপনারা নিজেদের পছন্দ মত খাবার অর্ডার করেছেন জেনে ভালো লাগলো। এখন অপেক্ষায় থাকলাম আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার পরবর্তী পর্বের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit