মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে বাইরে খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।

in hive-129948 •  last month 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কিছুদিন আগে আমার একমাত্র ভাগ্নে এসেছিলো আমাদের বাসা মানে তার নানা বাড়িতে বেড়াতে। সে বেশ কয়েকদিন ছিলো ফরিদপুরে। আমার ভাগ্নে এর আগে কখনো এতদিন ফরিদপুর এসে থাকেনি। তবে এখন সে বড় হয়েছে। যার ফলে সে তার মত করে ঘুরে ফিরে বেড়াতে চায়। অনেক দিন ধরে সে আমাদের বাসায় আসার জন্য বায়না ধরছিলো। তবে আমার বোন আর দুলাভাইয়ের সময় সুযোগের অভাবে সে আসতে পারছিল না। এবার আমি ঢাকা থেকে আসার আগে রীতিমতো গো ধরে বসলো সে ফরিদপুর ঘুরতে আসবে। শেষ পর্যন্ত আমি তাকে ফরিদপুর নিয়ে এসেছিলাম। দীর্ঘদিন পর নানাবাড়ি এসে সে বেশ খুশি ছিলো।

1000001343.jpg

তবে সে আসার পরে প্রথম কয়েকদিন প্রায় টানা বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে বাইরে কোথাও যেতে পারেনি। যাই হোক তারপরে বৃষ্টি কমলে সে মোটামুটি ভালই ঘোরাফেরা করেছে। আমার ভাগ্নে যখন ফরিদপুর আসে তখন আমার স্ত্রী আর মেয়ে ফরিদপুরে ছিল না। তারা ফরিদপুর এসেছিল কয়েকদিন পরে। আমার মেয়ে ফরিদপুর আসার পরে বাইরে খেতে যাওয়ার জন্য আমাকে বারবার বলতে লাগলো। আমিও চিন্তা করলাম যেহেতু ভাগ্নে অনেকদিন পর এসেছে। আবার মেয়েও এদিকে বাইরে খেতে যেতে চাচ্ছে। তাই তাদেরকে নিয়ে বাইরে কোথা থেকে হালকা খাওয়া-দাওয়া করে আসি।


1000001352.jpg

আমার স্ত্রীকে বাইরে যাওয়ার কথা বললে সে জানালো তার এসিডিটির সমস্যার কারণে সে যাবে না। পরবর্তীতে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ভাগ্নে আর মেয়েকে নিয়েই কোথা থেকে খাইয়ে নিয়ে আসি। তবে ইদানিং আমার মেয়ে একবার কোনো রেস্টুরেন্টে গেলে সেখানে আর দ্বিতীয়বার যেতে যায় না। আমি সাধারণত চেষ্টা করি একই জায়গা থেকে খাওয়া-দাওয়া করতে। একই জায়গা থেকে খাওয়া দাওয়া করার একটা সুবিধা হচ্ছে আপনার সেখানকার খাবার সম্বন্ধে একটা ভালো ধারণা থাকবে। এ কারণে আমি চেষ্টা করি বেশিরভাগ সময় আমার পরিচিত রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করতে।


1000001350.jpg

1000001347.jpg

তবে আমার মেয়ের আবার এই ব্যাপারে ঘোর আপত্তি। তার ইচ্ছা এক একদিন এক এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করবো। যাইহোক তার ইচ্ছামত আমি আমার মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে একটি নতুন রেস্টুরেন্টে গেলাম। অবশ্য নতুন রেস্টুরেন্ট বলাটা ঠিক হচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না। কারণ এই রেস্টুরেন্টটি চালু হয়েছে বেশ কয়েক মাস হয়ে গেলো। তবে সেখানে আমাদের এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। সে কারণেই মেয়েকে সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার প্রস্তাব দিতেই সে রাজি হয়ে গেল। ঠিক করলাম বিকালে আসরের নামাজের পরে মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে বাইরে খাওয়া দাওয়া করতে যাবো। আসরের নামাজ পড়ে এসে মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে চলে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টটি একেবারে ছোটখাটো। তবে ভেতরটা সুন্দর করে সাজানো। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে প্রথমে মেয়ে আর ভাগ্নের কয়েকটা ছবি তুললাম। তারপর মেনু কার্ড হাতে নিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম কোন কোন খাবার অর্ডার করবো। পরবর্তীতে আমার মেয়ে আর ভাগ্নেকে জিজ্ঞেস করে তাদের পছন্দমতো খাবার অর্ডার করলাম। আমার ভাগ্নে নিয়েছিল চিকেন চিজ মোমো। আর মেয়ে অর্ডার করেছিল চুরমুর নামের একটা খাবার। আর আমি নিয়েছিলাম শাহী হালিম। খাবার অর্ডার করে আমরা বসে খাবারের অপেক্ষা করতে লাগলাম। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসSamsung s24 ultra
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমার কাছেও পরিচিত রেস্টুরেন্টে বারবার যেতে ভালো লাগে। কারণ খাবার খেয়ে তাহলে বেশ তৃপ্তি পাওয়া যায়। যাইহোক আপনার মেয়ের যেহেতু নতুন নতুন রেস্টুরেন্টে যাওয়ার ইচ্ছে, তাহলে তো আর কিছুই করার নেই ভাই। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো খাবারের মান ভালোই মনে হচ্ছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

খাবারের সম্পর্কে ধারণা থাকে যদি আমরা একই রেস্টুরেন্টে যাই। কিন্তু নতুন রেস্টুরেন্টে গেলে খাবার কি রকম হবে এটাই ভাবতে থাকি শুধু। তবুও আপনার মেয়ের বায়নাতে যাওয়া লেগেছে নতুন রেস্টুরেন্টে। আপনারা নিজেদের পছন্দ মত খাবার অর্ডার করেছেন জেনে ভালো লাগলো। এখন অপেক্ষায় থাকলাম আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার পরবর্তী পর্বের জন্য।