পরিবার নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।

in hive-129948 •  4 months ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আরো বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করার পর এক সময় মনে হোলো এখন খেতে যাওয়া দরকার। খুব বেশি যে ক্ষুধা লেগেছিলো ব্যাপারটা তেমন নয়। আসলে ততক্ষণে অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছিলো। এদিকে আবার বাসায়ও যেতে হবে। সেই চিন্তা থেকেই আমার স্ত্রীকে বললাম চলো এখন খেতে যাওয়া যাক। তারপর আমরা রওনা দিলাম স্টার কাবাব এর উদ্দেশ্যে। বসুন্ধরা সিটির কাছাকাছি স্টার কাবাবের একটা শাখা রয়েছে। আমি সেখানেই আমার পরিবার নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন আমরা বসুন্ধরা সিটি থেকে বের হলাম। তখন সেখানে যাওয়ার জন্য কোনো রিক্সা পেলাম না। আর এতটুকু দূরে সিএনজি বা ট্যাক্সি ক্যাবও যাবে না।

IMG_20240605_154947.jpg

সেই কারণে আমরা হাঁটতে লাগলাম। তবে জায়গাটার দূরত্ব কাছাকাছি হলেও হাঁটার জন্য একেবারে কম ছিলো না। যার ফলে সেখানে যেতে আমার স্ত্রী আর মেয়ের কিছুটা কষ্ট হয়েছিলো। যাইহোক তারপরেও হেঁটে আমরা স্টার কাবাব এ পৌঁছলাম। যেহেতু আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে কি খাবো তাই সেখানে পৌঁছে খাবার অর্ডার দিতে দেরি হয়নি। তবে অর্ডার দিতে দেরি না হলেও তাদের খাবার পরিবেশন করতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। কারণ রেস্টুরেন্টে প্রচুর ভিড় ছিলো। যাই হোক বেশ কিছুক্ষণ পর যখন আমাদের টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো।


IMG_20240605_154956.jpg

তখন আমরা ধীরে সুস্থে খেতে লাগলাম। আমরা অর্ডার করেছিলাম খাসির কাচ্চি আর খাসির লেগ রোস্ট। এই খাবার দুটো খুবই জনপ্রিয়। ঢাকা শহরে থাকে অথচ এই খাবার দুটো খাই নাই হয়তো এমন লোক খুব একটা বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বরাবরের মতো কাচ্চিটা দারুন মজার ছিলো। আর স্টার কাবাবের লেগ রোস্টের তো কোনো তুলনা নেই। যদিও আমার পেটে খুব একটা বেশি ক্ষুধা না থাকার কারণে আমি সেভাবে খেতে পারিনি। খাওয়া-দাওয়ার এক পর্যায়ে বোরহানি অর্ডার করলে তারা জানালো তাদের কাছে বোরহানি নেই। যেহেতু বোরহানি নেই তাই আমরা কোক অর্ডার করলাম।


IMG_20240605_153829.jpg

খাওয়া-দাওয়া শেষে ধীরে সুস্থে ঠান্ডা কোকের বোতলে চুমু দিতে লাগলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমার সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। তারপর বিল মিটিয়ে আমরা সেখান থেকে বাসার দিকে রওনা দিলাম। পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় তাদের কোনো পছন্দের খাবার খাওয়াতে। তাহলে বিষয়টা আরো বেশি ভালো লাগে। যেহেতু আমার স্ত্রী এবং মেয়ে দুজনেই বাইরের খাবার খেতে খুব পছন্দ করে। তাই আমি সুযোগ পেলেই তাদের নিয়ে বাইরে হালকা খাওয়া দাওয়া করি।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানঢাকা

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

পেটে ক্ষুধা না থাকলে যত মজার খাবার সামনে থাকুক না কেনো, ততোটা খাওয়া যায় না। যাইহোক খাসির কাচ্চি এবং খাসির লেগ রোস্ট আমার খুব পছন্দ। আমাদের নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া তে অবস্থিত সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টে খাসির কাচ্চি এবং খাসির লেগ রোস্ট প্রায়ই খাওয়া হয়। যাইহোক খাবার গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

খাওয়া-দাওয়া শেষে ধীরে সুস্থে ঠান্ডা কোকের বোতলে চুমু দিতে লাগলাম।

ভাই এই লাইনটি ঠিক করলে মনে হয় একটু ভালো হবে।

আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার হচ্ছে খাসির কাচ্ছি। আমি মাসে ২ থেকে ৩ বার কাচ্চি খেয়ে থাকি। কাচ্ছি খুব লোভনীয় একটি খাবার। আপনার ধারাবাহিক পোস্টগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। অসাধারণ মুহূর্তের কথাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।