বন্ধু ফেরদৌসের সাথে সামরিক বাহিনী জাদুঘর দর্শন ( অষ্টম পর্ব)।

প্রথমেই যে অস্ত্রটার ছবি দেখতে পাচ্ছেন এটা আসলে এক ধরনের hmg বা হেভি মেশিনগান। এই ধরনের অস্ত্র আমরা বিভিন্ন নৌজানে ব্যবহার করতে দেখি। আবার কখনো কখনো এগুলো বিভিন্ন সাজোয়াযানের উপর সেট করতেও দেখা যায়। এই মেশিনগানগুলোর ভয়ংকর রকমের বিধ্বংসী ক্ষমতা রয়েছে। এই সমস্ত মেশিন গান অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তু কেও নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে। খেয়াল করে দেখুন এই মেশিন গানের ব্যবহার করা বুলেট গুলো অনেক বড় সাইজের সম্ভবত এগুলো .50 ক্যালিবারের বুলেট।

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন রকমের গুলি আর কামানের শেল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। একেবারে ছোট আকৃতির থেকে শুরু করে বিশাল আকৃতির গুলি বা শেল এখানে রয়েছে। গুলি বা সেম যে এত রকমের হতে পারে সেটা এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না সবচাইতে বড় যেগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো সম্ভবত কামানের গোলা।

উপরের ছবিতে একটি সাজোয়াযান দেখতে পাচ্ছেন। যেটার উপরে সম্ভবত স্বল্পপলার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম লাগানো রয়েছে। এই ধরনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম খুব দ্রুত এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় মুভ করতে পারে।

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন কিছু সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন পজিশনে রয়েছে। এই ধরনের বেশ কিছু প্রতিকৃতি তৈরি করে রাখা আছে মিউজিয়ামের ভেতরে। প্রথম দেখায় মনে হবে এগুলো সব সত্যিকারের সৈন্য। তবে একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন আসলে এগুলো সৈন্যদের প্রতিকৃতি।

উপরের ছবিতে একটা হেলিকপ্টার দেখতে পাচ্ছেন। তবে এই হেলিকপ্টারটি আসলে কি ধরনের হেলিকপ্টার বা এটার কার্যকারিতা কি? সে ব্যাপারে কিছুই লেখা ছিলো না। যার ফলে আমিও তেমন একটা ধারণা পাইনি। যদিও হেলিকপ্টারটি দেখে মনে হচ্ছে এটা এক ধরনের সাপোর্ট হেলিকপ্টার। যেটা সেনাবাহিনীর অফিসারদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হয়। যদি এই হেলিকপ্টারটা যুদ্ধে ব্যবহার করা হোতো তাহলে এটার নিচে বিভিন্ন রকেট পড বা ক্ষেপণাস্ত্র থাকতো।

উপরের ছবিতে যেই অস্ত্রটা দেখে পাচ্ছেন এটা সম্ভবত এক ধরনের এন্টি এয়ারক্রাফট গান। এই ধরনের অস্ত্র আমরা বিভিন্ন নৌযানে দেখে থাকি। শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া যুদ্ধবিমানগুলোকে ঘায়েল করার জন্য এই এন্টি এয়ারক্রাফ্ট গান ব্যবহার করা হয়।

উপরের ছবিগুলিতে যে অস্ত্রগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মিসাইল। এগুলো একেকটা এক এক ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এই মিসাইলগুলোর একটা ব্যাপার আমার কাছে ভালো লেগেছে। এটার পাশেই ছিলো কিছু কিউআর কোড। সেই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই এই মিসাইলগুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য দেখা যাচ্ছিলো।

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি সাবমেরিন। আসলে এটি সত্যিকারের কোন সাবমেরিন না। সামরিক বাহিনী জাদুঘরের সাথেই একটা কৃত্রিম লেক তৈরি করা হয়েছে। সেই লেকে কয়েক ধরনের নৌজানের প্রতিকৃতি বানিয়ে রাখা হয়েছে। তার ভেতরে একটা হচ্ছে এই সাবমেরিন এর প্রতিকৃতি। প্রথম দেখায় এটা কে সত্যি কারের সাবমেরিন মনে করেছিলাম। ভালো করে খেয়াল করার পর বুঝতে পারলাম এটা আসলে সাবমেরিনের প্রতিকৃতি।

উপরের ছবিতে যে অস্ত্রগুলো দেখতে পাচ্ছেন তার ভেতরে একটা হচ্ছে টর্পেডো আরেকটা হচ্ছে মিসাইল। মিসাইল দিয়ে খুব সহজে প্রতিপক্ষের অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা সম্ভব। আর টর্পেডো ব্যবহার করা হয় শত্রুর পক্ষের নৌজানকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য। টর্পেডো পানির নিচ দিয়ে গিয়ে শত্রু পক্ষের নৌজানগুলিকে আঘাত করে। নৌপথের যুদ্ধে টর্পেডো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

@rupok