পরিবারের সবাই মিলে কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি।

in hive-129948 •  9 months ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এর আগের পোস্টে আপনাদের সাথে আমার নতুন ফোন কেনা গল্প শেয়ার করেছিলাম। সেদিন ফোন কেনার পর থেকে চিন্তা করছিলাম নতুন ফোন কেনার জন্য পরিবারের সবাইকে একটা ট্রিট দেই। আসলে আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো পরিবারের সবাইকে নিয়ে একদিন বাইরে খাওয়া দাওয়া করবো। কারণ আমি ফরিদপুরে থাকি আমার স্ত্রী আর বাচ্চাকে নিয়ে। আমার মা গতো এক বছর যাবত আমেরিকাতে ছিলেন। তিনি ফিরেছেন দুদিন হোলো। আর আমার বড় বোন ঢাকায় থাকে। যার ফলে একসাথে সবাইকে পাওয়া সম্ভব হয় না। এই কারণে অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিলো পরিবারের সবাই একসাথে হলে সবাইকে নিয়ে বাইরে খেতে যাবো। তো সেদিন ফোন কেনার পর আপুকে বললাম পরদিন দুপুরে আমরা সবাই বাইরে খেতে যাবো।

received_3783417111879854.jpeg

আপু প্রথমে আপত্তি করলো। কিন্তু পরবর্তীতে আমার জোরাজুরিতে রাজি হয়ে গেলো। আমি আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সবাই মিলে কাচ্চি খেতে যাবো। আমি ঢাকায় আসলে বনশ্রী আপুর বাসায় থাকি। আর বনশ্রীতেই রয়েছে আমার পছন্দের কাচ্চি রেস্টুরেন্ট কাচ্চি ভাইয়ের আউটলেট। তাই আমি আপুকে জানিয়ে রাখলাম পরদিন দুপুরে আমরা কাচ্চি ভাইয়ে যাবো খেতে। সেই হিসাবে পরদিন দুপুরে আমরা সবাই মিলে রওনা দিলাম কাচ্চি ভাইয়ের উদ্দেশ্যে। যদিও আমার ভাগ্নেটা আমাদের সাথে যেতে পারেনি। কারণ ওর স্কুল খোলা ছিলো। ওকে না নিতে পেরে কিছুটা খারাপ লাগছিলো। কারণ ও বাইরে খাওয়া দাওয়া করতে খুবই পছন্দ করে। যদিও আমি ভাগ্নেকে বলেছিলাম স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে দেড়টার ভেতরে চলে আসতে। কিন্তু পরবর্তীতে আর ও স্কুল থেকে বের হতে পারেনি।


received_782022633315046.jpeg

যাইহোক আমরা সবাই মিলে বেলা ২ঃ০০ টার দিকে পৌঁছে গেলাম কাচ্চি ভাইয়ের বনশ্রী আউটলেটে। আপুর বাসা থেকে সেটার দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার এর মতো। যার ফলে সেখানে যেতে আমাদের একেবারেই সময় লাগেনি। আমার বনশ্রীর কাচ্চি ভাইয়ের এই আউটলেট থেকে আগে কখনো কাচ্চি খাওয়া হয়নি। রেস্টুরেন্টটি রাস্তার পাশেই একটা বিল্ডিং এর দোতলায় অবস্থিত। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে আমিতো অবাক হয়ে গেলাম। খেয়াল করে দেখি পুরো রেস্টুরেন্ট লোকের লোকারণ্য হয়ে রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো টেবিল খুঁজে পেতে আমাদের বেশ খানিকটা সময় লাগলো। পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ পরে একটা টেবিল ফাকা পেয়ে সেখানে আমরা সবাই মিলে বসলাম। বসার কিছুক্ষণ পরে ওয়েইটার চলে এলো। তার কাছে আমরা পাঁচজনের প্যাকেজ অর্ডার করলাম। সেই প্যাকেজে ছিল কাচ্চি বিরিয়ানি, মুরগির রোস্ট, কাবাব আর বোরহানি। যেহেতু বিরিয়ানি রান্না করাই থাকে তাই আমরা চিন্তা করেছিলাম খাবার দেয়ার কয়েক মিনিটের ভেতরেই হয়তো খাবার পেয়ে যাবো। যদিও ওয়েটার আমাদেরকে জানিয়ে ছিল ১০/১৫ মিনিট সময় লাগবে।


IMG_20240311_152502.jpg

IMG_20240311_143936.jpg

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরিয়ানি পরিবেশন করতে তারা অনেকটা সময় লাগিয়েছিলো। যাইহোক শেষ পর্যন্ত বিরিয়ানি পরিবেশন করার সময় ওয়েটার দুঃখ প্রকাশ করলো। তবে আমাদের সব খাবার সে একসাথে টেবিলে দিতে পারেনি। কারণ কাবাবটা তারা গরম ভেজে পরিবেশন করে। কাবাব যখন পরিবেশন করেছিলো ততোখনে আমাদের খাওয়া প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিলো। কাচ্চি ভাইয়ের যাচ্ছি আমার কাছে বরাবরই অনেক মজা লাগে। সেদিন আমরা সবাই অনেক তৃপ্তি সহকারে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। তবে সেদিনও বরাবরের মতো আমি ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ভাগ্নের জন্য যে কাচ্চিটা অর্ডার করেছিলাম সেটার ছবি তুলেছি। না হলে হয়তো ছবি ছাড়াই এই পোস্টটা করতে হোতো। আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাগ্নের জন্য কাচ্চি বিরিয়ানি, রোস্ট আর কাবাব পার্সেল নিয়ে এসেছিলাম। আর এভাবেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার ইচ্ছাটা আমার পূরণ হোলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসoppo reno 8t
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানবনশ্রী, ঢাকা

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খাবার অনুভূতি আসলে অন্যরকম। আপনার মা আমেরিকা থেকে এসেছে, তাই অনেকদিনপর মা সহ পরিবারের অন্যদের নিয়ে বেশে আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন কাচ্চি ভাইয়ের বিরিয়ানীর স্বাদে আর গল্পে। কাচ্চি ভাইয়ের বিরিয়ানী খুব মজার,ধানমন্ডী আউটলেটে খেয়েছি।আপনার ভাগ্নে স্কুল ম্যানেজ করে আসতে পারলে আরো ভালো হতো। ভালো লেগেছে ভাইয়া পোস্টটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ভাই আপনি তো দেখছি আমার লোভটা আরো বাড়িয়ে দিলেন। আমিও বাংলাদেশে গিয়ে অনেকবার কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছি। সুলতান ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। এছাড়াও আমি কাচ্চি ভাইয়ের দোকান থেকে কাচ্চি বিরিয়ানিও খেয়েছি। যাইহোক আমি একদম কাচ্চি বিরিয়ানির ফ্যান হয়ে গেছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

পরিবারের সবাই মিলে বাহিরে খেতে যাওয়ার মজাই আলাদা।আর যদি কাচ্চি হয় তাহলে তো কথাই নেই। আসলে সহজে পরিবার সবাই একসাথে হওয়া যায় না, নানান কাজে ব্যস্ত থাকে। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

আহারে! ভাই প্রথমত আপজি তো সেরা! রোজার প্রথম দিনেই ইফতারির আগেই একন লোভনীয় কাচ্চির ছবিসহ সেদিনের বর্ণণা দিয়ে কীভাবে পোস্ট করলেন, আমি তো সেইটাই ভাবছি খালি!! তবে বেচারা যারা এই পোস্ট টা ইফতারির আগে দেখবে!! আর তাছাড়া বনশ্রীর কাচ্চিভাই আউটলেট এর কথা পড়ে আবারো সেই ভয়াবহ অগ্নীকান্ডের কথাও মনে পড়ে গেলো ভাই!! উপরওয়ালা এই পবিত্র রমজান মাসে সকলের উপর রহম করুন, এভাবে যেন আর কোন ভয়াবহ দূর্ঘটনার সম্মূখীন আর কোন পরিবারকে হতে না হয়।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে খুব ভালো লাগে। আপনার আম্মু আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ফিরেছে এবং আপনারা সবাই একসাথে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই। কাচ্চি ভাইয়ের বিরিয়ানি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। আমাদের চাষাড়া তে কাচ্চি ভাইয়ের আউটলেট রয়েছে এবং মাঝেমধ্যে যাওয়া হয়। তবে আপনার ভাগ্নের স্কুল সেদিন বন্ধ থাকলে, সে ও যেতে পারতো আপনাদের সাথে। আপনারা এক কথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

পরিবারের সবাই একসাথে হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু অনেকদিন পর আপনার মা এসেছেন তাই তো মা, বোন এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ফোন কেনার পর সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন তাইতো আনন্দটা আরও দ্বিগুণ হয়ে গেছে ভাইয়া।

ভাইয়া কাচ্চি দেখেই তো লোভ লেগে গেল।আমি বাসায়ই বানিয়েছিলাম কিছুদিন আগে,খেতে তো অসাধারণ ছিল।তবে আপনার আম্মু এক বছর পর এলো জেনে খুশি হলাম।বড় আপু সহ পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া দাওয়ার মূহুর্ত বেশ উপভোগ্য ছিল দেখছি।ভাগ্নের জন্য পার্সেল নিয়েছেন হিসেবে সেও বেশ খুশি হয়েছে আশা করি।

পরিবারের সবাই একসাথে হলে ভালো লাগার কথাই।পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। আর আপনার মা অনেকদিন পর এলেন,তবে তো আরো বেশী আনন্দের কথা।সবাই মিলে খেতে গেলেন।কিন্তু ভাগ্নের স্কুল তাই যেতে পারে নি।এজন্য খারাপ লাগলো।ফোন কেনার জন্য সবাইকে নিয়ে বাইরে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন এই কামনাই করি।

পরিবারের সাথে কোথাও গিয়ে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। বড় আপু সহ আপনি বাহিরে কাচ্চি খেতে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। কিন্তু খারাপ লাগলো আপনার ভাগিনার জন্য। ছোট বাচ্চারা বাহিরে যেতে খুবই ভালবাসে। যাইহোক কাচ্চি ভাইয়ে গিয়ে কাচ্চি খাওয়ার সুন্দর একটি অনুভূতি সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।