আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ছোট্ট ভ্রমণের গল্প শেয়ার করব। এটাকে ঠিক ভ্রমণ বলা যায় না! আবার বলাও যায়।
কয়েক মাস আগে আমার মন খুব অস্থির হয়েছিল। ফার্মেসিতে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। যার কারনে ফার্মেসির মালিককে বিষয়টি জানালাম। আজকে আমার মন ভালো নেই। দিনটি ছিল শুক্রবার। তখন তিনি বললেন, তাহলে এক কাজ কর, বিকালে কোথাও থেকে ঘুরে আসো। প্রয়োজনে বাইকটি নিয়ে যাও।
আমার কাছে মনে হল এটা বেশ ভালো একটি সুযোগ। আমার কোথাও থেকে ঘুরে আসা উচিৎ। সেই উদ্দেশ্যে আমি নামাজের পরপরই বাইক নিয়ে বের হলাম। কোথায় যাব বুঝতে পারছিলাম না? কারণ আমার কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। আর আমি একা ছিলাম ভাবলাম তাহলে আশুলিয়া ব্রিজের কাছে যাওয়া যাক! জায়গাটি আমার এমনিতে বেশ পছন্দের। কারণ আমার পানি, লেক, নদী; এসব বেশ ভালো লাগে। আর আমি হুট করেই চলে গেলাম আশুলিয়া বেড়িবাধে।
সেখানে তখন ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ চলছিল। অবশ্য কাজ এখনো চলছে। আমি সেখানে বেশ কিছু সময় কাটালাম। আশেপাশে দেখলাম। তখন বৃষ্টি ছিল। যার কারণে নদীতে পানি ভরপুর ছিল। আমার বেশ ভালো লাগছিল। মনটাও ফুরফুরা হয়ে গেল। সেখানকার কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি।
ভরা বর্ষায় কানায় কানায় পূর্ণ তুরাগ নদী। বর্ষাকালে আশুলিয়া বেড়িবাধে গেলে তুরাগ নদীর অপরূপ এই সৌন্দর্য চোখে পড়ে। একারণে ওই সময়টায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকি।
ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেস ওয়ে-র কাজ চলমান রয়েছে। এই পিলারগুলো বেড়িবাঁধের দু'পাশে স্থাপন করা হয়েছে যাতে আসার জন্য এবং যাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা লেন তৈরি হয়। এই প্রজেক্টটি খুবই চমৎকার একটি প্রজেক্ট। এতে করে শিল্প-এলাকা আশুলিয়া থেকে খুব সহজেই উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় এবং চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো যাবে।
এটা ঠিক কোন প্রজেক্টের বৈদ্যুতিক তার তা আমার জানা নেই। তবে সম্ভবত বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিড-ই হবে।
বাইকের মালিক আমি না। সর্বকালীন সময় যাতায়ত করার জন্য উপহার পেয়েছি। সময় শেষে আবার ফিরিয়ে দিয়েছি।
কেন যেন মনে হলো নিজের খোমাটাও ক্যামেরাবন্দি করা উচিত। যাইহোক।
Location | Ashulia |
---|---|
Device | Tecno SPARK 6 |
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit