আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
কয়েকদিন থেকেই প্রোগ্রামে কোন না কোন উপজেলায় যাওয়া হচ্ছে। কাজ তো হচ্ছেই সাথে একটু ঘোরাঘুরিও করা হচ্ছে। যাকে বলে টু ইন ওয়ান।
গত শনিবার গিয়েছিলাম পীরগাছায়। একটা প্রোগ্রাম ছিল। প্রোগ্রামটা ছিল সকাল থেকে একদম সন্ধ্যা পর্যন্ত। দুপুরে খাওয়ার সময় কিছুক্ষণ বিরতি ছিলো। এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আমি আর ছোট বোনরা আসু একটু ঘুরে এসেছিলাম আলিবাবা থিম পার্ক থেকে। এই পার্কে যাওয়ার ইচ্ছা অনেকদিন থেকেই ছিল। কিন্তু সময় সুযোগ হচ্ছিল না। তাই যেহেতু পীরগাছায় গিয়েছিলাম ই তাই টুক করে একটু ঘুরে আসার সুযোগ টা হাতছাড়া করলাম না।
তিস্তা নদীর গা ঘেঁষে আলিবাবা থিম পার্ক এর পাশে অবস্থিত সোলার পাওয়ার প্লান্ট। বিশাল বড় এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই সোলার পাওয়ার প্লান্ট এর কাজ চলছে। এর কাজ শেষ হওয়ার পর এটা যখন সচল হয়ে যাবে তখন বিদ্যুতের সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।
আলিবাবা থিম পার্কে প্রবেশ করার গেট। পার্কে প্রবেশ করতে টিকিট কাটতে হয়। পার্কে প্রবেশ করার জন্য টিকিট মূল্য হচ্ছে ৫০ টাকা। আমাদের অবশ্য টিকেট কাটতে হয়নি কারণ পার্কের ম্যানেজার আমাদের পরিচিত ছিল। হাহাহাহা।
পার্ক এ প্রবেশ করার পর বাম সাইডের পুরো দেয়াল জুড়েই নানারকম শিল্পকর্ম অংকন করা। শহীদ মিনার, লালবাগ কেল্লা সহ বাংলাদেশের ঐতিহ্য ধারণকারী নিদর্শন গুলো রং তুলির ছোঁয়ায় স্থান পেয়েছে এই দেয়ালে।
এই ম্যুরালটিতে আল্লাহতালার ৯৯ টি গুণবাচক নাম লেখা আছে খোদাই করে। পার্কে ঢুকেই হাতের ডান পাশে এই ম্যুরালটি অবস্থিত। ম্যুরাল এর চারপাশেই পানির ফোয়ারার কারণে একে দেখতে আরো আকর্ষণীয় লাগে।
সুন্দর এই রাস্তা ধরে এগোতে হবে পার্কের ভেতরে। আমার হাতে সময় খুব কম ছিল তাই সম্পূর্ণ পার্ক এর চিত্র আমি ক্যামেরাবন্দি করতে পারিনি। এই রাস্তাটির একটু সামনে এগুলোর পর আছে আরো সুন্দর ভাবে ফুল দিয়ে সাজানো ছিল সম্পূর্ণ রাস্তাটা কিন্তু ছবি তোলার সময় হয়নি আমার।
তারপর পেলাম সুন্দর এই হাউস টি। ছবি তোলার জন্য দারুন একটি জায়গা। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়। কিছুটা পাখির বাসার মত। এর ভেতরের ঘরটিতে কপতীরা এসে নিজেদের নাম লিখে গিয়েছে।
টায়ার রং করে একটি সাথে আরেকটি দড়ি দিয়ে বেঁধে এই সুন্দর জায়গাটি আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ছবি তোলার জন্য একদম পারফেক্ট।
এর পাশেই অনেকগুলো দোলনা ছিল। দোলনায় দোল তো নিয়েছিলাম কিন্তু ছবি আর নেয়া হয়নি।
ছোটবেলায় তো আমরা সবাই গল্প শুনেছিলাম আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে। আলাদিনের প্রদীপে হাত ঘষলেই বেরিয়ে আসতো জ্বীন। এই সেই আলাদিনের প্রদীপ। এটিই হচ্ছে আলিবাবা থিম পার্ক এর মূল আকর্ষণ। আলাদিনের প্রদীপে হাত ঘষে জিন বের করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু জ্বীন আর বেরিয়ে এলো না।
সম্পূর্ণ পার্কটি মাইন্ড ফ্রেশ করার জন্য দারুন ভাবে সাজিয়ে তুলেছে। একটু সময় বের করে ঘুরে আসলে খারাপ লাগবে না। যদিও সম্পূর্ণ কয়েকটি সময় নিয়ে ঘুরতে পারেনি তবুও যতটুকুই ঘুরেছি ভালো লেগেছে।
আর একদিন সময় নিয়ে যাব খুব ভালোভাবে পার্কটি ঘুরে দেখবো।
আমার পোষ্টের মাধ্যমে আমি চেষ্টা করেছি যতটুকুই ঘুরেছি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। আপনাদের কাছে পার্কটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন ধন্যবাদ।
চিত্র উঠানোর জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Realme c25s |
---|---|
লোকেশন | পীরগাছা, রংপুর |
w3w | link |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে পাক সম্পর্কে অনেক ধারণা পেলাম আর আপনার ঘোরাঘুরির ছবি দেখে ইচ্ছা হলো বাইরে কোথাও থেকে একটু ঘুরে আসি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit