স্বাধীনতা দিবসে সকল শহীদদের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা রইল | |

আসলে স্বাধীনতার ডাক এসেছিলো এই দিনে। কিন্তু ২৬ শে মার্চ এর কথা বললেই মনের ভিতর এক ব্যথার অনুভব হয় 25 শে মার্চ এর কাল রাত্রের কথা মনে পড়ে গেলে। আমি যতটুকু জানি তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

আপনারা সবাই ভালো আছেন ??? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এদিক সেদিক করে সময় কিন্তু চলেই যাচ্ছে। সবাই সুস্থ থাকুন এই দোয়া করি সব সময়।

বাংলাদেশ যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের অধীনে চলে সুতরাং আমি এমন কিছু বলতে চাই না যা কোন মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দিন শেষে সব সময় দুই দলীয় লোক সব জায়গাতেই থাকে তাই দল-মত-নির্বিশেষে কথা বলার চেষ্টা করব। যারা আওয়ামী লীগ করে থাকেন তারা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক অপরদিকে যারা বিরোধী দলীয় নেতা রয়েছেন তারা বলে থাকেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। আমি মনে করি দুইজন আমাদের ভালোবাসার মানুষ। সুতরাং এ দিকে না তাকিয়ে বরং আমি এটাই বলব যারা এই দেশের জন্য জীবন দিয়ে গিয়েছেন এবং যারা এই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন তাদের প্রত্যেককে আমরা মন থেকে ভালবাসবো।

আজকে শ্যমলি গিয়েছিলাম কুরিয়ার করতে। দেখলাম শ্যমলি পার্কের মাঠে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেছেন। মজার বিষয় হচ্ছে মুরুব্বীয়ানা খেলার আয়োজন ছিলো। আসলে এটা আমার খুব ভালো লেগেছে কারন তাদেরও আনন্দ করার প্রয়োজন আছে।

আমরা কম বেশি সবাই জানি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পরে ২ টি রাষ্ট্র হয়। একটির নাম পাকিস্তান অন্যটি ভারত। এর পরে পাকিস্তানের আবার ২টি ভাগে ভাগ হয়। যার একটি পশ্চিম পাকিস্তান এবং অপরটি পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতন অত্যাচার-নিপীড়নে বাঙালি জাতিকে আরো বেশ কয়েকবার রক্ত দিতে হয়েছিলো। আমরা ইতিহাস থেকে এটাও জেনেছি প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান 15ই মার্চ থেকে 25শে মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনার একটি বাহানা করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য এবং যুদ্ধ সরঞ্জাম ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহন করেন। এর পরেই প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ২৫ শে মার্চ চলে গিয়ে হত্যা কান্ড চালায় আমাদের উপর। এই হত্যাকান্ড শুরু হয় রাতে। তাই ইতিহাসে ২৫ শে মার্চকে কালো রাত বলা হয়। এর পরেই ডাক এসে যায় আমাদের লিডার থেকে যুদ্ধের জন্য। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে আমরা পেয়েছি এই সোনার বাংলাদেশ।

তবে দিন শেষে একটি কথা মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক কঠিন এই বিষয়টি আজ আমরা ভুলে গিয়েছি। এই দেশ স্বাধীন করার জন্য অনেক তাজা রক্ত দিতে হয়েছে কিন্তু আজ আমরা সেই বিষয়গুলো ভুলে গিয়েছি। দিনশেষে মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এইটুকুই শেষ কথা আমার।