হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট উপস্থাপন করছি। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বিগত এক সপ্তাহ আগে আমি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ি। সেদিন ছিল সোমবার। প্রতিদিনের মতো দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে আমি ঘুমাতে যাই। কিন্তু সেদিন আমার সাথে ঘটল এক অন্যরকম ঘটনা। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে শরীরে সামান্য ব্যাথা ব্যাথা অনুভব করতে লাগলাম। ভাবলাম ঘুমালে হয়তো বা ঠিক হয়ে যাবে। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কিন্তু সন্ধ্যা হতেই প্রচন্ড মাথায় ব্যাথা করতে শুরু করল। শরীরে তাপ ও বেড়ে গেল। বাসায় তখন কেউ ছিল না আমি একা একাই বাসাতে ছিলাম। দিদিকে ফোন করে বললাম জ্বর এসেছে, প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে। রাতে খাওয়া দাওয়া করে ওষুধ খেয়ে নিলাম। ওষুধ খেয়ে একটু ভালো লাগছিল কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর আবার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা বমি হতে শুরু করল। আমি ভাবলাম যেহেতু শীত পড়তে শুরু করেছে আর এই সময়টাতে জ্বর সর্দি স্বাভাবিক হয়ে থাকে। নিয়মিত ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। মঙ্গলবারও একইভাবে দিনটা পার হয়ে গেল শরীরের কোন পরিবর্তন হলো না। সময় যত পার হচ্ছে শরীরের দুর্বলতা অনুভব করতে শুরু করলাম।
সবাই যখন দেখল শরীরের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না আরো দুর্বল হয়ে পড়ছি তাই দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিলাম। ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই ডাক্তার কিছু টেস্ট করার কথা বলল। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড এগুলো ছিল। পরের দিন এক আঙ্কেল বাসা থেকে আমার রক্ত নিয়ে গিয়েছিল। আমি মনে মনে ভাবছিলাম হয়তোবা টাইফয়েড হয়েছে কারণ বেশিরভাগ সময় জ্বর হলে আমার টাইফয়েডের দিকে চলে যায়। যাই হোক, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে যাচ্ছিলাম। পরের দিন সকালে জানতে পারলাম আমার রিপোর্টে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। তেমন মারাত্মক অসুবিধা হয়নি। ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হল সব সময় মশারির ভিতর থাকার জন্য আমাকে বলা হলো আর প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার কথা বলা হল। ২৪টা ঘন্টা সবসময় মশারির ভিতর থাকতে হবে আর সবথেকে অসুবিধা হয়েছে মুখে কোন রুচি নেই কোন কিছু খেতেই ভালো লাগছে না। কিন্তু কিছু করার নাই না খেলে তো আবার দুর্বল হয়ে পড়বো তার জন্য জোর করেই খেতে হচ্ছে।
শীত শুরুর প্রথম দিকেই ডেঙ্গু জ্বর সবথেকে বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর শহরের দিকে একটু বেশি দেখা যায় কারণ ড্রেনের নোংরা পরিবেশ ডাস্টবিন এখান থেকেই ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি হয়ে থাকে। গ্রামেও কিন্তু ডেঙ্গু মশার অনেক প্রভাব রয়েছে। শিশুদের এবং বিরুদ্ধে দের ডেঙ্গু জ্বর হলে সবথেকে মারাত্মক হয়ে থাকে। তাই সবাই বাড়ির আঙ্গিনার জঙ্গলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। আমরা কমবেশি সবাই জানি ডেঙ্গু জ্বর কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। যদিও এর অ্যান্টিবডি চলে এসেছে কিন্তু তার পরেও বছরে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে এই ডেঙ্গু জ্বরে। ডেঙ্গু মশা দিনের বেলায় কামড়ে থাকে তাই দিনের বেলাতে ঘুমালে সব সময় মশারির টানিয়ে ঘুমাতে হবে। একটু সাবধানে চলাচল করলে আমরা এই ডেঙ্গু মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে ভালো থাকা সত্যিই কঠিন। সাবধানে থাকবেন এবং ভালো থাকবেন ভাইয়া। দোয়া রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit