বইমেলায় বই কিনা এবং ঘুরাঘুরির মুহূর্ত

in hive-129948 •  last month 

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে বইমেলায় বই কেনা এবং সেখানে ঘোরাঘুরি মুহূর্তটা উপস্থাপন করছে।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বললাম না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



আমাদের এখানে বারাসাত একটি মাঠে প্রতি বছর বইমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর এই বই মেলাতে বইয়ের অসংখ্য দোকান এসে থাকে। অনেক পুরানো পুরানো বই এখানে পাওয়া যায় এই বইমেলাতে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বইমেলার আয়োজন করা হয়। একদিন দাদা হঠাৎ করে আমাদেরকে বলল বই মেলায় যাওয়ার কথা। দাদার সঙ্গে বইমেলাতে যাওয়া মানেই হাতে ব্যথা হয়ে যাওয়া। কারণটা কেন বলছি দাদা বই পড়তে খুবই ভালোবাসেন দাদার সামনে যদি কোন বই বেধে যায় তখন সঙ্গে সঙ্গে দাদা কিনে নিয়ে আসেন। দাদা এত পরিমাণে বই পড়েন এবং কিনে থাকেন যার কারণে বর্তমানে একটি লাইব্রেরী হয়ে গিয়েছে। দাদার কাছে অনেক পুরাতন বইয়ের কারেকশন রয়েছে যা এখনকার সময়ে বেশিরভাগ পাওয়া যায় না। দাদা বইমেলাতে গেলে মেলার প্রত্যেকটি দোকান ঘুরে ঘুরে দেখবেন এবং প্রত্যেকটি দোকান থেকে কমপক্ষে একটি করে বই কিনবেন। তার মানে বুঝতেই পারছেন যে দাদার সঙ্গে বইমেলাতে যাওয়া মানে হাতে স্বাভাবিক ব্যথা হয়ে যাওয়া।


যাইহোক, দাদার সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়াটাই সবথেকে বড় ব্যাপার। বইমেলার প্রথম দিন আমরা কোন কারণে যেতে পারলাম না তার জন্য দ্বিতীয় দিন আর কোন রকম ভাবে মিস করলাম না। বড় দাদা, আমি,নিলয় দাদা, দীপ্র দাদা আমরা চারজনে সন্ধ্যা হতেই চারজনে বাইকে করে চলে গেলাম বইমেলাতে। রাস্তায় প্রচুর ভিড় ছিল কিন্তু যেহেতু বাইক ছিল আমাদের কাছে সেহেতু ভিড়ের ভিতর আমাদের বসে থাকতে হলো না। এরপর গাড়ি গুলো পার্কিং করে আমরা প্রবেশ করলাম বই মেলাতে। বইমেলাতে ঢুকেই দেখলাম অসংখ্য লোকের ভিড় পড়েছে। যেহেতু আমরা সন্ধ্যের সময়টাতে গিয়েছিলাম তার জন্য ভিড় একটু কম ছিল কিন্তু রাত যত বাড়তে থাকবে ততই বীর আরো বাড়তে শুরু করবে। যাইহোক,প্রথমে ঢুকেই আমরা ঘটি গরম খেলাম। ঘটি গরম খেতে খেতে আমরা ঢুকে পড়লাম মেলার প্রথম বইয়ের দোকানে। এখানে অসংখ্য বইয়ের কালেকশন ছিল সেখানে দাদা একটি একটি করে বই দেখছিলেন। আমিও দেখছিলাম কিন্তু আমার তেমন একটা বই পড়তে ইচ্ছা করে না। যেহেতু দাদার সঙ্গে এসেছি তাই আমিও বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে পড়ে দেখছিলাম। বই তো আমি কিনবো না কিন্তু দেখতে তো কোন ক্ষতি নেই। আসলে আমি এসেছিলাম বই মেলাতে একটু ঘোরাঘুরি করার জন্য।
IMG20241218192442.jpg

IMG20241218183529.jpg

IMG20241218182922.jpg

IMG20241218182827.jpg


প্রথম দোকান থেকে দাদা অসংখ্য বই কিনলেন। এমন করে একে একে আমরা অনেকগুলো দোকানে গেলাম এবং অসংখ্য বই দাদা নিলেন। এই বই মেলাতে প্রায় পাঁচশত বউয়ের দোকান বসে ছিল। তার মানে বুঝতেই পারছেন যে এখানে কত বড় বইয়ের মেলা হয়ে থাকে আর বিভিন্ন ধরনের বই কিন্তু এখানে পাওয়া যায়। এখানে বইমেলাতে বেশিরভাগ আমি খেয়াল করলাম তরুণ সমাজের অনেক যুবক-যুবতীদের। কেউবা ঘুরতে এসেছে কেউবা বই কিনতে এসেছে। আরো অনেক বয়স্ক ব্যক্তিরা ছিলেন যাদেরকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছিল তারা বই পড়তে এবং লেখা জোকা করতে পছন্দ করেন। কারণ রবীন্দ্রনাথের মতন বড় বড় দাড়ি আর বড় বড় চুল। তাদেরকে দেখেই কবি কবি মনে হচ্ছিল। যাইহোক, ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে সামনে পড়ে গেল বাংলাদেশের একটি বইয়ের দোকান। যেখানে বাংলাদেশের অসংখ্য লেখকের বইয়ের কালেকশন রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের বইয়ের দোকান দেখতে পারব এটা কখনো ভাবতেই পারিনি। বড় দাদার সঙ্গে নিলয় দাদা সব সময় ছিল আর আমি আর দীপ্র দাদা দুজনে ঘুরে ঘুরে সবকিছু দেখছিলাম। মাঠের একপাশে অনুষ্ঠান হচ্ছিল বিভিন্ন ধরনের কবিতা আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য কিছুটা সময় সেখানে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠানটা উপভোগ করলাম।
IMG20241218190039.jpg

IMG20241218185102.jpg

IMG20241218185050.jpg

IMG20241218184717.jpg

IMG20241218184705.jpg

IMG20241218183612.jpg

IMG20241218183555.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৮.১২.২০২৪
সময়:০৬.০৩মিনিট
স্থান: বারাসাত, কলকাতা

এরপর আমরা চলে গেলাম রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার জন্য। খাওয়া দাওয়া করে এবার আমরা রওনা কোন বাড়ির উদ্দেশ্যে বইমেলায় ঘোরাঘুরি করে আর দাদার সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে পেরে খুবই ভালো লেগেছিল। সেদিন অসংখ্য বই দাদা কিনেছিলেন যেগুলো বয়ে নিয়ে আসতে রীতিমতো হাতে জ্বালা শুরু করে দিয়েছিল। বইমেলায় ঘোরাঘুরি করে খুবই ভালো লেগেছিল।

আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বইমেলা যে খুবই উপভোগ করেছেন তা আপনার পোস্ট পড়ে সহজেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে বইন্মেলাতে অনেক বইয়ের একসাথে ডিসপ্লে করা থাকে তাই বই কেনা সহজ৷ খুবই ভালো লাগল আপনাদের বইমেলা সফরের গল্প পড়ে৷

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি

দাদার সাথে বইমেলায় গিয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। বড় দাদা বই পড়তে আসলেই খুব ভালোবাসেন। বইমেলায় গিয়ে দাদা এবারও এতো বই কিনেছেন,তার মানে দাদার বইয়ের ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হলো। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে দাদা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।