হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে পুরী জগন্নাথ মন্দিরে ভ্রমণ তৃতীয় পর্বটি উপস্থাপন করছি ।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
ট্রেন থেকে নামার পর আমরা হোটেলে যাওয়ার জন্য স্টেশনের বাইরে যে একটি গাড়ি ঠিক করলাম। আগে থেকেই হোটেল বুক করা ছিল। আমাদের হোটেলে যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত সময় লেগেছিল। হোটেলে যেতে যেতে গাড়ির ভেতর থেকে দেখতে পেলাম অনেক বড় সমুদ্র যার কোন কূলকিনারা নেই যেদিকে তাকাই শুধু জল আর জল। সমুদ্রের বীজে অনেক পর্যটক এসেছে কেউ সমুদ্রে ঘুরতে এসেছে কেউ জগন্নাথ মন্দিরে ঘুরতে এসেছে নানান ধরনের মানুষ এখানে প্রতিনিয়ত ঘুরতে আসে। যাই হোক আমরা প্রথমে হোটেলে গেলাম কারণ শরীর প্রচন্ড টায়ার্ড হয়ে পড়েছিল একটু রেস্ট নেওয়ার খুবই দরকার ছিল। হোটেলেই যেতেই রিসিপশনে যে শুনতে পারলাম আমরা যে রুমগুলো বুক করেছি সেই রুমগুলো এখনো খালি হয়নি যার জন্য আমাদের ওয়েটিং রুমে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। আমরা সবাই ক্লান্ত ছিলাম কারণ এতটা জার্নি করে এসেছি এখন আমাদের একটু রেস্ট নেওয়ার খুবই দরকার কিন্তু কিছুই করার নেই কারণ আমাদেরকে অপেক্ষা করতেই হবে। আমাদের মোট চারটি রুম বুক করা ছিল। একটু পরে একটি লোক এসে আমাদেরকে বলল আমাদের বুক করা একটি রুম খালি হয়েছে। আমরা সেখানে সবাই কিছুটা সময় রেস্ট করতেই পারি। সোনার সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলাম আমাদের মালামাল নিয়ে সেই রুমে।
সবাই সেই রুমে যেয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে যে যার মতন রেস্ট নিলাম। একটু পরে আবারো হোটেলের একজন ব্যক্তি আমাদের এসে বলল যে আমাদের রুমগুলো কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে আমরা যে যার রুমে যেতে পারি। সবাই যার যার রুমে চলে গেল আমি দিদিদের সঙ্গে ছিলাম কারণ এখানে দুটি বেড ছিল তার জন্য কোন অসুবিধা হলো না। সবাই একটু হলেও ঘুমাতে পেরেছিল ট্রেনে কিন্তু আমরা তিনজন মোটেও ঘুমাতে পারিনি তার জন্য বিছানায় শুতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তাও ঘুমাতে পারলাম না ঘন্টাখানেকের মতন ঘুমিয়ে ছিলাম এর মধ্যেই কলিং বেল বেজে উঠল সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে গেল। দরজা খুলতেই দেখলাম কাকিমারা সমুদ্রে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বেরিয়েছে এবং আমাদের ডাকতে এসেছে। কাকিমা আমাকে সমুদ্রে যাওয়ার কথা বললে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতন অবস্থা।কারণ এতটা পরিমাণে ঘুম আসছিল যে কাকিমার মুখটা ও সঠিকভাবে দেখতে পারছিলাম না সব ঝাপসা দেখছিলাম।
কিছুটা সময়ে ভাবনা চিন্তা করে কাকিমাকে উত্তর দিলাম যে আমি রেডি হয়ে আসছি। কারণ ভাবলাম যেহেতু ঘুরতে এসেছি আর এতটা কাছে সমুদ্র একটা বার যাওয়া যায়। আমার খুব ভালো লাগে কারণ সমুদ্রের পাড়ে যেতে ।সমুদ্রের জল যখন পায়ে এসে লাগে তখন অন্যরকম একটা ফিলিংস কাজ করে শরীরের ভেতর। তখন মানুষের যে টেনশন এই সব যেন নিমিষের ভিতর সবকিছু হারিয়ে যায় এতটা ফ্রেশ লাগে। যে হোক দাদা-দিদি প্রচন্ড ক্লান্ত ছিল যার কারণে তারা আমাদের সাথে যেতে পারল না। হোটেল থেকে পাঁচ মিনিটের ও পথ লাগে সমুদ্রে যেতে। দেখতে পেলাম হাজার হাজার লোক এখানে ভ্রমন করতে এসেছে আর তারা সমুদ্রে নেমে স্নান করছে খুব আনন্দ করছে। সমুদ্রের কাছে গেলে সমুদ্রকে না ছুয়ে আমার মনে হয় না কেউ কোনদিন আসতে পেরেছে। কারণ কেনো বলছি সমুদ্রের কাছে গেলে সমুদ্র আপনাকে বরণ করে নেবে আপন করে নিবে। আমি যখন সমুদ্রের কাছে যাই সমুদ্রের জল যখন আমার পা স্পর্শ করে তখন আমার ভেতর সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিলাম। সমুদ্রের কাছে যে সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আমি বাদে সবাই সমুদ্রে স্নান করতে শুরু করলো অনেক মজা করছিল। আমার ও ইচ্ছা করছিল যে সমুদ্রে নামতে কিন্তু যেহেতু রাত জেগে ছিলাম আরো নতুন আবহাওয়া যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি তার জন্য সেদিন আর সমুদ্রে স্নান করলাম না ভাবলাম পরে একদিন সমুদ্রে স্নান করবো। সবাই যখন সমুদ্রে নেমে আনন্দ করছে আমি তখন ফটোগ্রাফি করা শুরু করে দিলাম কারন সমুদ্রে এসেছি আর সমুদ্রের ফটোগ্রাফি না করি তাহলে কি হয়।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরার মডেল:oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:১৪.০১.২০২৪
সময়: ১২.৩৪মিনিট
স্থান: ওড়িশা