হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে এই গল্পের চতুর্থ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বিজয় সকাল হতেই ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় টেবিলের উপর টাকা। টাকাগুলো দেখে বিজয় খুব খুশি হয়। দেরি না করে ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। বন্ধুরা বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলো। বিজয় আসতেই বন্ধুরা রওনা দেয় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। বিজয় পাশে মিরা বসে ছিল। আগে থেকে প্ল্যান করার ছিল মিরার পাশে বিজয় বসবে। বিজয়ের বন্ধুরা সবাই জানে যে মিরা বিজয়কে পছন্দ করে। যাইহোক, অনেকক্ষণ গাড়ি চলার পর মিরা বিজয়কে বলে তার ঘুম পাচ্ছে। বিজয় মিরাকে বলে ঠিক আছে তুমি আমার কাঁধের উপর মাথা রেখে ঘুমাও। মিরা বিজয়ের কাছে এটাই আশা করছিল যে মিরা বিজয়ের কাঁধের উপর মাথা রাখতে পারে। বিজয় বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞাসা করে তারা কোথায় যাচ্ছে। তখন এক বন্ধু বলে তারা সমুদ্রে ঘুরতে যাচ্ছে। সমুদ্রের কথা শুনে বিজয় ঘাবড়ে যায় কারণ বিজয় সাঁতার জানে না। বিজয় বলে তোরা কেনো আগে থেকে আমাকে বললি না যে তোরা সমুদ্রে ঘুরতে যাবি। তখন বন্ধুরা বলে সমুদ্রে ঘুরতে যাচ্ছি আগে কেনো তোকে বলতে হবে এটা একটা সারপ্রাইজ তোর জন্য। বিজয় তখন বলে আমি সাঁতার জানি না আমার খুব ভয় করে। মিরা কিন্তু সব কথা শুনছিল। মিরা হঠাৎ করে বিজয়কে বলে আমি তো রয়েছি কিসের এত ভয়। বিজয় মিরাকে বলে দেখো মিরা ছোটবেলা থেকে জল আমি খুব ভয় পাই। মা আমাকে কোন সময় জলের কাছে আসতে দিতো না। আমি যদি আগে জানতাম তাহলে কখনোই রাজি হতাম না আসার জন্য।
তখন মিরা বিজয়কে বলে তুমি তো কোথাও আমাদের সঙ্গে যেতেই চাও না সব সময় তোমাকে জোর করে আনতে হয়। তোমার কি আমাদের সঙ্গে একটু ঘুরতে ইচ্ছা করে না? সময় দিতে ইচ্ছে করে না? বিজয় বলে দেখো মিরা আমি তা বলতে চাইনি তোমরা আমাকে ভুল বুঝছো। তখন মিরা বলে বিজয় তুমি সবসময় এমনটাই করো। মিরা বলে আমি যখন বলছি আমি তোমার খেয়াল রাখবো তাহলে এত কেনো কথা বলছো ভয় পাচ্ছ। বিজয় তখন মিরাকে বলে আচ্ছা ঠিক আছে আমি আর কিছু বলছি না। পাঁচ ঘন্টা পথ পেরিয়ে তারা পৌঁছে গেল সমুদ্রে। তারা প্রথমে একটি হোটেল ভাড়া করলো। তারা বন্ধু-বান্ধবরা ছিল আট জনের মত। এদের ভিতর তিনজন ছিল মেয়ে আর পাঁচ জন ছিল ছেলে। তারা হোটেলে দুইটা রুম ভাড়া করে তিন দিনের জন্য। একটি রুমে মেয়েরা থাকবে আর একটি রুমে ছেলেরা থাকবে। যাইহোক, ৫ ঘন্টা পথ পেরিয়ে হোটেলের রুমে যেয়ে তারা ফ্রেশ হয়ে কিছুটা বিশ্রাম নিল। বিকাল হতেই বন্ধুরা মিলে সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে যায়। বন্ধুরা সবাই ঘুরতে যায় কিন্তু বিজয় রুমে থেকে যায়। মিরা বিজয়কে ফোন দেয় আর বলে বিজয় আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। বিজয় মিরাকে বলে আমার ভালো লাগছে না তোমরা ঘুরে আসো। তখন মিরা ফোনটি কেটে দিয়ে চলে যায় বিজয়ের কাছে। বিজয়ের রুমে এসে মিরা কলিংবেল বাজায়। বিজয় দরজা খুলতেই মিরা বলে আমরা সবাই ঘুরতে এসেছি আর তুমি এখানে একা বসে রয়েছো। তখন বিজয় মিরা কে বলে আমার মায়ের জন্য খারাপ লাগছে। তখন মিরা বিজয়কে বলে আচ্ছা মাকে ফোন দাও আমি মায়ের সঙ্গে কথা বলব। তখন বিজয় বলে মায়ের সঙ্গে তুমি কেনো কথা বলবে? মিরা বলে তোমাকে ফোন দিতে বলেছি তুমি ফোন দাও। তখন বিজয় মাকে ফোন দেয়।
ফোনটি ধরতেই মিরা বিজয়ের মাকে বলে মা আমি মিরা বিজয়ের বন্ধু। তখন বিজয়ের মা বলে বিজয় কিছু হয়েছে? তখন মিরা বলে বিজয়ের কিছু হয়নি কিন্তু ও আমাদের সঙ্গে ঘুরতে বের হচ্ছে না। তখন মা বলে কেন কি হয়েছে? তখন মিরা বলে আমরা সমুদ্রে ঘুরতে এসেছি আর ও সমুদ্রে যেতে ভয় পাচ্ছে আমি এত করে বলছি কিছু হবে না তারপরও যেতে চাইছে না।আপনি একটু বলুন না যেতে? তখন মা বলে দেখো মা বিজয় সাঁতার জানে না ও জলের খুব ভয় পায় তার জন্য হয়তো বা যেতে চাইছে না। তখন মিরা বলে মা ওর কিছু হবে না আমি ওকে কিছু হতে দিব না। তখন মা বলে আচ্ছা ঠিক আছে আমি বিজয়কে বলছি। তখন মা বিজয়কে যাওয়ার অনুমতি দেয়। তারপর মিরা ও বিজয় তারা দুজনে সমুদ্র দেখতে বের হয়। সূর্যাস্ত যখন যাবে তখন মিরা হঠাৎ করে সমুদ্রের পাড়ে বন্ধুদের মাঝে বিজয়কে প্রপোজ করে। বিজয় অবাক হয়ে যায়। বিজয় মিরাকে বলে একি করছো? মিরা বলে বিজয় আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। প্লিজ তুমি না করো না। বন্ধুরা হাতে তালি দিতে থেকে আর বিজয়কে বলতে থাকে রাজি হয়ে যা, রাজি হয়ে যা। সবার অনুরোধে বিজয় মিরার ভালোবাসা গ্রহণ করে। মিরা ছিল খুব বড় লোকের মেয়ে টাকা পয়সার কোন অভাব ছিল না। তাই সেদিন রাতে মিরা একটি পার্টির আয়োজন করে। মিরা ও বিজয় সেই পার্টিতে খুব আনন্দ করে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রাতে যার যার রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়ে। আর এদিকে বিজয় ও মিরা হোটেলের ছাদে যে গল্প করতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত বিজয় মিরার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলো। এখন মনে হচ্ছে বিজয়ের পড়াশোনার বারোটা বেজে যাবে। কারণ মিরার সাথে যেহেতু সম্পর্কে জড়িয়েছে, তাই এখানে সেখানে ঘুরতে চলে যাবে। তাছাড়া মিরার পরিবার তো কখনোই এই সম্পর্ক মেনে নিবে না। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit