হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আমাদের মাঝে 'ভালোবাসি তোমাকে' গল্পের দশম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
মনিকা ও শুভর সময় গুলো খুব ভালোই যাচ্ছিল তাদের বিবাহিত জীবন ছয় মাসে পড়লো। তাদের দুজন দুজনার প্রতি ভালোবাসা বাড়তে শুরু করল। তারা একে অপরকে জানতে পারল। ধীরে ধীরে তাদের ভিতর ভালোবাসাটা গভীর হতে শুরু করলো। ঠিক তখনই এক দুর্ঘটনায় সবকিছু চুরমার হয়ে যায়। তাদের দেখা স্বপ্নগুলো নিমিষের ভিতরে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছিল যেদিন,সেদিনে সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য শুভ রেডি হয়ে বের হয়। অফিস থেকে তাকে একটি গাড়ি দেয় সেই গাড়িটি চালিয়ে সে অফিসে যাচ্ছিল। হঠাৎ সামনে থেকে একটি ট্রাক তার গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে শুভর গাড়িটি পাল্টি খেতে খেতে রাস্তার এক কিনারে যেয়ে থামে। মুহূর্তের ভিতর সেখানে মানুষের ভিড় জমে যায় শুভ গাড়ির ভেতর আটকে যায়। জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, সেখানকার মানুষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে জরুরী ট্রিটমেন্ট শুরু হয়। হাসপাতাল থেকে শুভর পরিবারকে ফোন দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার কথা শুনে মনিকা ছুটে চলে আসে হাসপাতালে এবং তার পর পর শুভর মা বাবা এবং তার শশুর শাশুড়ি সবাই হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়।
মনিকা, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে যাতে শুভর কিছু না হয়। ডাক্তার অপারেশন রুম থেকে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে ছুটে চলে আসে মনিকা। ডাক্তার কে বলতে থাকে ও ঠিক আছে তো? ডাক্তার চুপ থাকে। মনিকা আবারো ডাক্তারকে বলে কি হলো ডাক্তার বাবু আপনি চুপ করে কেন আছেন ও ঠিক আছে তো? ডাক্তার নরম সুরে শুভর পরিবারকে বলে আমি দুঃখিত দুর্ঘটনার কারণে তার একটি পা কেটে আমাদের বাদ দিতে হয়েছে। মাথায় প্রচুর আঘাত পেয়েছে যার জন্য পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হতে তার অনেকটা সময় লাগবে। মনিকা ডাক্তারকে বলে আমি কি একটা বার তার সঙ্গে দেখা করতে পারি। ডাক্তার বলে এখন নয় তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে সে এখন ঘুমিয়ে আছে ঘুম থেকে উঠলে আপনারা দেখা করতে পারবেন। শুভকে একটাবার দেখার জন্য মনিকা ছটফট করতে থাকে। মনিকা সেদিন সারারাত জেগে ছিল কখন শুভর ঘুম ভাঙবে আর তার সঙ্গে কথা বলতে পারবে। সবাই তাকে ঘুমাইতে বলে কিন্তু মনিকা ঘুমাইতে পারে না কারণ তার ভালবাসার মানুষটি আজ অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের বেডের উপর। তাহলে সে কিভাবে শান্তির ঘুম ঘুমাইতে পারে।
সকাল হয়ে গেল হঠাৎ নার্স এসে বলল।আপনারা তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন কিন্তু আস্তে কথা বলবেন। মনিকা চলে যায় শুভর কাছে। শুভকে দেখে সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা দুচোখ দিয়ে জল ঝরতে থাকে। শুভ মনিকাকে হাতের ইশারায় কাছে ডাকে। মনিকা তার কাছে যে শুভর হাত চেপে ধরে। শুভ বলে তুমি চোখের জল ফেলো না। আমার কিছু হয়নি তুমি যদি ভেঙে পড়ো তাহলে আমি দুর্বল হয়ে পড়বো প্লিজ কান্না করো না। মনিকা তারপরেও তার চোখের জল আটকাতে পারে না। শুভ আবারো বলে আমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবো। তুমি এভাবে ভেঙে পড়ো না। দেখো আমি তো তোমার চোখের সামনেই আছি কিছু হয়নি আমার সব ঠিক হয়ে যাবে। শুভ তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলে তখন নার্স এসে সবাইকে রুম থেকে বের হতে বলে। তখন মনিকা নার্সকে রিকোয়েস্ট করে আমি যদি তার পাশে থাকি তাহলে কোন প্রবলেম হবে কি। নার্স বলে আপনি থাকতে পারেন কিন্তু তাকে ডিস্টার্ব করা যাবে না। সবাই চলে যায় মনিকা থেকে যায় শুভর কাছে।
শুভর ঘটনাটি শোনার পর তাকে দেখতে অর্পা আছে।অর্পা এসে দেখে মনিকা শুভকে ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছে। সে ভিতরে ঢোকার আগেই কাশি দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মনিকা ও শুভ তাকিয়ে পড়ে শুভ দেখতে পায় তার বন্ধু অর্পা এসেছে। শুভ তাকে ভেতরে আসার কথা বলে।অর্পা বুঝতে পারে যে মেয়েটি শুভকে ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছে। সে আর কেউ নয় এই সেই মনিকা।অর্পা নিজে থেকেই মনিকার সঙ্গে পরিচয় করে নেয়। অনেকটা সময় মনিকা ও শুভর সঙ্গে কথাবার্তা বলে সে চলে যায়।অর্পা চলে যাওয়ার পর মনিকা শুভকে জিজ্ঞাসা করে এই মেয়েটাই সেদিন আমার ফোন ধরেছিল। মেয়েটি খুব সুন্দর স্মার্ট খুব ভালোভাবে কথা বলতে পারে। শুভ মনিকাকে বলে তুমি এখন রেস্ট নাও রেস্ট না নিলে তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে। মনিকা বলে তুমি কি মানুষ নিজে অসুস্থ রয়েছো তারপরেও আমার কথা চিন্তা করছো। শুভ বলে আমি তো ছেলে আমি দুর্বল হয়ে পড়লে সবাই দুর্বল হয়ে পড়বে আমার চিন্তা করাটাই স্বাভাবিক। মনিকা বলে বাদ দেন এসব কথা এখন রেস্ট নিতে হবে ঘুমিয়ে পড়েন।
ভাইয়া আপনি সবসময়ই খুব সুন্দর সুন্দর গল্প শেয়ার করেন। আমি গল্প পড়তে ও লিখতে খুব পছন্দ করি। তবে আপনার গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকের গল্পটাও খুব সুন্দর হয়েছে। যদিও এর আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি। তবে এই পর্ব পড়ে বুঝলাম মনিকা আর শুভর বিয়ের ছয়মাস পড়েই এক ঝড়ে তাদের সুখের সংসার তছনছ করে দেয়। সেই ঝড়ে শুভ এক পা হারিয়ে ফেলে আর মনিকা সবকিছুই স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়। তবে এর মধ্যে যেহেতু অর্পা চলে এসেছে,তাহলে এবার হয়তো এখানে নতুন আরেকটি ঘটনার সূচনা হতে পারে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হতে পারে অনেক কিছু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সময় করে আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং আপনার মূল্যবান কিছু কথা আমাকে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আমাদের মাঝে এই সুন্দর গল্পটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit