হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প উপস্থাপন করছি। আশা করি,সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটা শুরু করছি।
সোর্স
আমার গল্পের নায়কের নাম দুর্জয় আর নায়িকার নাম পায়েল। আমি প্রথমে গল্প শুরুর আগে সবার পরিচয়টা বলছি তাহলে বুঝতে সবার ভালো হবে। ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করত তো দুর্জয়ের পরিবার। তার বাবা পেশায় একজন মাছের ব্যবসায়িক ও তার মা একজন গৃহিণী দুর্জয় এর একটি বড় বোন আছে আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। দুর্জয়ের সবেমাত্র পড়াশোনা শেষ হয়েছে এখন সে চাকরির জন্য ছোটাছুটি করছে কিন্তু কোথাও একটি চাকরি মিলছে না। কারণ এখন কার যুগে যোগ্যতার থেকে যার মামা খালু আছে তাদেরই প্রাধান্য বেশি দেওয়া হয় আর এই জন্যই অনেক যোগ্যতা পূর্ণ ছেলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। যাই হোক গল্পে ফিরে আসা যাক দুর্জয় অনেক চেষ্টার পর একটি চাকরি পেয়েছিল। দুর্জয় বাড়িতে এসে তার মা-বাবাকে জানায় সে একটি চাকরি পেয়েছে ।তার বাবা দুজনকে জিজ্ঞাসা করে কি চাকরি পেয়েছিস খোকা? দুর্জয় মাথার নিচু করে বাবার প্রশ্নের উত্তর দেয় (কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)আমি একটি গার্ডম্যানের চাকরি পেয়েছি। দুর্জয়ের বাবা কথাটি শুনতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে রেগে যায় আর বলতে থাকে এত টাকা খরচ করে এই চাকরি করার জন্য তোকে পড়াশোনা করিয়েছি। এই বলে তার বাবা বাসা থেকে বের হয়ে যায়।ঠিক তখন তার মা এসে দুর্জয় কে সান্তনা দেয়। দুর্জয় তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে আমি চাকরি পেয়েছি বাবা খুশি হয়নি। তুমি দেখো আমি একদিন অনেক বড় চাকরি করব বাবার মুখে হাসি ফোটাবো। যাই হোক দুর্জয় পরের দিন থেকে নিয়মিত চাকরিতে যেতে শুরু করলো।
আবার অন্যদিকে নায়িকার চরিত্রে পায়েল রয়েছে সে কিন্তু দুর্জয়ের মত নয়। কারণ পায়েল সমাজের নামকরা ধনী পরিবারের মেয়ে। পায়েলের বাবার অনেকগুলো স্বর্ণের দোকান রয়েছে তার বাবা একজন নামকরা ব্যবসায়িক। বুঝতেই পারছেন তাহলে তাদের পরিবারের চলাফেরা কেমন হতে পারে। যাই হোক পায়েলের এখনো পড়াশোনা শেষ হয়নি সে সবেমাত্র ১২ ক্লাস পাস করেছে। পায়েল অত্যন্ত সুন্দরী একটি মেয়ে রাস্তা দিয়ে যখন সে হেঁটে যায় যুবক ছেলেরা তার দিকে তাকিয়ে থাকে কিন্তু সে কোন দিকে না তাকিয়ে তার মন মতন চলতে থাকে। আগেই বলেছি পায়েল একজন নামকরা সমাজের ধনী পরিবারের মেয়ে এই কারণে তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। পায়েলের মা ও একজন স্কুল মাস্টার এই কারণে পায়ের সব সময় একটা শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হয়। পায়েলের কাউকে পছন্দ হলেও সে বলতে পারে না। আর বললেও সেটা সবাই গ্রহণ করে না কারণ ওই একটাই কারণ ধনী পরিবারের মেয়ে।
কিন্তু যাই হোক না কেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য কাউকে না কাউকে নির্ধারণ করেই রেখেছে সেটা হাজার বাধা থাকলেও পূরণ হতে বাধ্য। যাই হোক এই কথাটার বলার কারণ গল্পের বাকিটা অংশে প্রকাশ করব।
আসলে পায়েল যতই ধনী ঘরের মেয়ে হোক না কেন বিধাতা যার সাথে যার সম্পর্ক নির্ধারণ করে রেখেছে তার সাথেই তার সম্পর্ক জোড়া লাগবে। দাদা আপনার গল্পে দুর্জয়ের চরিত্রটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যাহোক, আপনার গল্পের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দাদা খুব শীঘ্রই গল্পের দ্বিতীয় পর্বটি সবার মাঝে উপস্থাপন করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit