হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে কালী পূজা ঘোরাঘুরি ও তার ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
দূর্গা পূজার শেষ হতে না হতেই চলে আসে কালী পূজা।দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার ১৫ দিন পর শুরু হয় কালী পূজা । এই সময়টাতে সবাই খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটায়। কারণ দূর্গা পূজার আনন্দটা কাটতে না কাটতেই চলে আসে কালী পূজা। আগে থেকে বলি ইন্ডিয়াতে কালী পূজা খুব ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়ে থাকে। দুর্গা পূজাতে যেমন প্যান্ডেল তৈরি করা হয় তেমন কালী পূজাতে ও প্রচুর টাকা ব্যয় করে প্যান্ডেল করা হয়। এই প্যান্ডেলের জন্য সরকার থেকে কিন্তু পুরস্কার ও কিন্তু দেওয়া হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন প্যান্ডেলের জন্য কত টাকা ব্যয় হতে পারে। আমার তো মনে হয় যে প্যান্ডেল করতে যে টাকা খরচ হয়ে থাকে সেই টাকা একটি সাধারণ পরিবারকে দিলে ১০ বছর ভালোভাবে খাইতে পারবে।
যাই হোক পূজার দিন সবাই মিলে চিন্তা ভাবনা করা হলো পূজায় সারারাত ঘুরে ঘুরে পূজা দেখা হবে। রাত্রে কথা কেন বলছি। কারণ দিনের বেলাতে এত পরিমাণে ভিড় হয়ে থাকে সেটা কল্পনার বাইরে। আর দিনের বেলাতে প্যান্ডেল গুলো ভালোভাবে সেই সৌন্দর্যটা দেখা যায় না। রাতের বেলায় বিভিন্ন ধরনের লাইটিং করা হয়ে থাকে যার কারণে পরিবেশটা আরো সুন্দর হয়ে থাকে।তাই আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে ১১ টা ১২ নাগাদ আমরা বের হব পূজা দেখতে আর সারারাত ধরে পূজা দেখব। কারণ ওই সময়টাতে লোকের ভিড়টা ও একটু কম থাকবে। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন যে সারা রাত রোডে ঘোরাঘুরি করলে প্রবলেম হতে পারে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে পূজার সময়টাতে কোন প্রবলেম হয় না। কারণ আমাদের মতন এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা সারা রাত ধরে পূজা দেখতে পছন্দ করে।
আমরা কিন্তু পূজা দেখতে যাব সবাই বাইকে করে। কারণ বড় গাড়ি অলি গলিতে ঢুকতে পারবে না।আর পূজার সময়টাতে প্রচুর ভিড় হয়ে থাকে যার কারণে বড় গাড়ি চড়ে ঘোড়াটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। যাইহোক আমরা রাতের খাওয়া দেওয়া শেষ করে যার যার বাইকে চড়ে আমরা পূজা দেখতে বের হলাম। আমরা প্রথমেই গিয়েছিলাম বারাসাত বয়েজ স্কুলে। ওখানে খুব জাকজমক ভাবে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। আর আমাদের বাসা থেকে বয়েজ স্কুলে যেতে বেশিক্ষণ সময় কিন্তু লাগে না। তার জন্য চিন্তা করা হলো প্রথমে কাছ থেকেই শুরু করা যাক। যে ভাবা সেই কাজ সঙ্গে সঙ্গে রওনা করলাম বয়েজ স্কুলের উদ্দেশ্যে। বয়েজ স্কুলের কাছে যেতেই আমাদেরকে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হল। কারণ ভেতরে আর বাইক নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তাই বাইক সাইডে রেখে আমাদের ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের বয়েজ স্কুলে যেতে প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণে ভিড় এখানে ছিল কি বলবো। চোখের সামনে দেখতে পেলাম কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তিদের যারা কিন্তু পূজা দেখতে বের হয়েছে। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতেই তারা আমাকে বলল তারা নাকি সন্ধ্যা থেকেই পূজা দেখতে বের হয়েছে। আসলে আনন্দটা যে শুধু যুবকদের তা কিন্তু নয়। এটি সব ধরনের শ্রেণীর মানুষের কাছে একটি আনন্দ। পূজা মানেই আনন্দ। যা এই বৃদ্ধ ব্যক্তিদের দেখলেই বোঝা যায়।
যাই হোক প্রচুর ভিড় হয়েছিল যার কারণে ভিতরে দশজন দশজন করে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আমরা কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি পেলাম। প্রথমে ঢুকতেই একটি সুন্দর নারায়ণের মূর্তি সামনে পড়ল। ঝরনার ভিতরে এই মূর্তিটি আর লাইটিং দিয়ে সাজিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। বয়েজ স্কুলে যে প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছিল সেটা তো অপরূপ সুন্দর লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমি যে কোন একটি রাজপ্রাসাদে এসেছি। ভিউ টা অত্যন্ত সুন্দর ছিল। আলোকসজ্জার কোন ত্রুটি ছিল না। সবকিছু সোনালী কালার দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল যার কারণে বিভিন্ন ধরনের লাইট তার ওপর পড়াতে তার রূপ যেন আরো বেড়ে গিয়েছিল। সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি করে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম ভিতরে ও অসম্ভব সুন্দর সাজানো ছিল।বড় একটি মায়ের প্রতিমা ছিল। যেখানে মায়ের পূজা করা হচ্ছিল। এখানে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম যা নিচে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৩.১১.২০২৩
সময়:১২.৩৪ মিনিট
স্থান: কলকাতা
কালীপুজোর সময় কলকাতায় গিয়েছেন এবং সেখানে বেশ ঘোরাঘুরি করেছেন আর অনেক অনেক ছবি উঠেছেন। আপনার আজকের এই ফটোগুলো আর ব্লক করে বুঝতে পারলাম বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল আপনাদের জন্য। যাইহোক অজানা বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit