হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে জন্মদিনের আনন্দঘন মুহূর্তটি উপস্থাপন করছি।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বেশ কিছুদিন আগে শুনতে পেলাম দীপ্র দাদার জন্মদিনের কথা। দাদার কাছে জিজ্ঞেস করতেই দাদা বলল জন্মদিনে সে পার্টির আয়োজন করবে। আমি তো শুনে বেশ খুশি কারণ পার্টি মানে পেট ভরে খাওয়া দাওয়া। রবিবার ছিল দীপ্র দাদা জন্মদিন। খুব অল্প লোক নিয়েই পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। যেমন বড় দাদা, ছোট দাদা, দিদি সবাইকে নিয়েই পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। রবিবারে সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো দাদা বৌদির বিরিয়ানি হোটেলে পার্টি এবং খাওয়া-দাওয়া আয়োজন করা হবে। রবিবার সূর্যাস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি তৈরি হয়ে গেলাম দীপ্র দাদার জন্মদিনে যাওয়ার জন্য এবং শুধু আমি একা না দাদারা ও কিন্তু তৈরি হলো। এরপর আমরা সবাই মিলে দাদাদের গাড়িতে চড়ে দাদা বৌদির বিরিয়ানির হোটেলে যাওয়ার জন্য রওনা করলাম। আমি কিন্তু গাড়িতে গেলাম না আমি গেলাম নিলয় দাদার বাইকে চড়ে। কারণ আমার একটু খোলামেলা ভাবে চলতে খুব ভালো লাগে। মেইন রোডে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দেখলাম এক ঝাঁক গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে রোডের উপর। আমি বললাম নিলয় দাকে এই জ্যাম ছাড়িয়ে যাওয়াটা অসম্ভব। আমি দাদাদের ফোন দিয়ে বললাম যেহেতু তারা গাড়ি নিয়ে আসছে রাস্তায় যাতে আটকে না যায় আমাদের মতন এজন্য অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে বললাম। কারণ আমরা যে পরিস্থিতির ভিতর পড়েছি দাদারা যাতে না পড়ে।
যাই হোক, অনেক কষ্টে ভিড় কাটিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম আমাদের মূল গন্তব্যে। সেখানে যেয়ে দেখি খাবার খেতে লাইন দিতে হচ্ছে। তাড়াতাড়ি বাইকটি পার্কিং করিয়ে আমি লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম। দাদারা ততক্ষণ এখনো আসেনি। আমি সবার জন্য লাইনে একাই দাঁড়িয়ে ছিলাম যাতে দাদারা আসতে আসতে আমরা অনেকটা কভার করতে পারি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখলাম দাদারা এসেছে দাদারা গাড়ি থেকে নেমে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লো। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আমরা ভিতরে ঢোকার অনুমতি পেলাম। আমার খুবই খারাপ লাগছিল কারণ খাবার খেতে লাইন দিয়ে খেতে হবে এটা আমার কোনদিন পছন্দ না। কিন্তু কিছুই করার নেই কলকাতার বাজারে দাদা বৌদির বিরিয়ানি একটি নাম করা রেস্টুরেন্ট। তাই এখানে তো একটু খেতে গেলে কষ্ট করতেই হবে। ভিতরে ঢুকেই আমরা কিছু খাবারের অর্ডার করলাম। যেমন চিকেন পকোড়া, চিকেন তান্দুরি, ফিস টিক্কা, চিলি চিকেন এবং অবশেষে বিরিয়ানির অর্ডার করলাম। যেহেতু অনেকগুলো অর্ডার আমরা করেছিলাম সেহেতু একটু সময় নিয়ে আমাদের খেতে হবে। কিন্তু বেশিক্ষণ আমাদের বসে থাকতে হলো না একে একে আমাদের অর্ডারটি চলে এলো এবং সবার শেষে স্পেশাল মটন বিরিয়ানি এলো।
ক্যামেরা পরিস্থিতি : oppo
ক্যামেরা মডেল : oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য :3.37mm
তারিখ :২৭.১০.২৪
সময় :৯.১৪মিনিট
স্থান: ব্যারাকপুর
বিরিয়ানি খেতে সুন্দর লেগেছিল স্পেশাল বিরিয়ানি দুই পিস বটন খেয়ে শেষ করতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছিল। এর ভেতর বড় দাদা তার একটি মটনের পিস আমাকে দিল। খুব কষ্টে খাবারটা শেষ করলাম। আর অন্যদিকে তাকিয়ে দেখি শুধু আমার অবস্থা যে খারাপ তা কিন্তু নয় যার জন্মদিন মানে দীপ্র দাদার অবস্থা আরো ভয়াবহ। কারণ দাদা স্পেশাল বিরিয়ানি নিয়েছিল সঙ্গে ছোট দাদার হাফ চিকেন বিরিয়ানি দীপ্র দাদা নিয়েছিল। যখন দেখলাম দাদা আর খেতে পারছে না তখন দাদাকে বললাম এখন শেষ করেন আর খেলে দেখা গেল পেটটা ফেটে বের হয়ে গেল খাবারগুলো 😁😁😁😁। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা মূল কাজটি শুরু করতে যাব। তখনই দাদা বলল যে জন্মদিনের কেকটা বাড়িতে কাটা হোক। কারণ সবারই খাওয়া দাওয়া করে আর কেক খেতে চাচ্ছিল না। বাড়িতে যেতে যেতে কিছুটা হজম হয়ে যাবে পরবর্তীতে বাড়িতেই কেক কেটে খাওয়া যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ বিল মিটিয়ে আমরা আবার গাড়িতে উঠে পড়লাম গাড়িতে চড়তে খুবই কষ্ট হচ্ছিল যেটা বলার বাইরে। অবশেষে খুব কষ্ট করে বাড়িতে এলাম বাড়িতে এসে দাদাদের ফ্ল্যাটে দীপ্র দাদার জন্মদিনের কেক কাটা হলো সঙ্গে টিনটিন বাবু ও ছিল। আমাদের সবার থেকে বেশি আনন্দ পেয়েছিল টিনটিন বাবু
যাই হোক, কেক খাওয়া দাওয়া করে। বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লাম। দীপ্ত দাদার জন্মদিনে প্রচুর খাওয়া-দাওয়া হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে আবারো কোল ড্রিংকস খেয়ে নিলাম যাতে দ্রুত খাবারগুলো হজম হয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে সুন্দর একটা সময় কাটালাম।
দাদাবৌদির বিরিয়ানি খুব লোভনীয়। জন্মদিনের ট্রিট হিসেবে দারুণ ব্যপার। দাদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। টিনটিনবাবুর খুশি মুখ দেখে আনন্দ হল৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জন্মদিনের পার্টি তে ভালোই এনজয় করেছেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। কলাপাতায় বিরিয়ানি পরিবেশন করেছে জিনিসটা বেশ ভালো লাগলো দেখে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট দাদার জন্মদিন ছিল জেনে খুবই ভালো লাগলো। আর জন্মদিন মানেই সবার সাথে দারুন সময় কাটানো। আমাদের টিনটিন জন্মদিন পালন করতে আরও বেশি ভালোবাসে। তাই তো সে অনেক বেশি আনন্দ করেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit