আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৫ই মে, রবিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
মে দিবস মে মাসের ১ তারিখ বুধবার ছিল, এবং শুক্রবার বন্ধ মাঝখানে বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে বেশ অনেকেই বাড়ি গিয়েছিল আমাদের ডিপার্টমেন্টের। আমরাও খানিকটা ফাঁকি মারলাম একটা দিন ছুটি নিয়ে আমরাও তিন দিনের ঘোরাঘুরি করে আসলাম, এলাকায় এসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা ৩০০ ফিটে ঘোরাঘুরি ইত্যাদি আনন্দের মাধ্যমে তিন দিন কেটে গেল।
শনিবার যখন আবার গাজীপুরে দিকে রওনা হলাম এবং ফ্যাক্টরিতে গেলাম লাঞ্চেরপরের সময় হঠাৎ বন্ধুর ফোনে কল তার বাবা অসুস্থ তাকে আসতে হবে। যদি আমি জানতে পেরেছি আর পরে, কারণ আমাদের ডিপার্টমেন্টে বেশ ফ্রিডম রয়েছে যার যখন খুশি তখন বাহিরে যেতে পারে, তাই আমাদের ফিক্সড কোন সময় নেই লাঞ্চের জন্য তাই কখন কে বের হচ্ছে সেটা বোঝা যায় না।
যাইহোক বিকেল বেলা ঘটনা শুনলাম, নরমাল অসুস্থ ভেবেই খুব একটা চিন্তা করলাম না। একটু টেনশন হচ্ছিল তাই সন্ধ্যার মধ্যেই সব কাজ শেষ করে অফিস থেকে বের হলাম এবং বন্ধুকে কল করলাম। ইতিমধ্যে জানতে পারলাম আঙ্কেল স্ট্রোক করেছেন। যেহেতু বন্ধুর বাবা দেখতে যাওয়া উচিত, কিন্তু এদিকে অলরেডি তিনদিনের ছুটি কাটিয়ে এসেছি একদিনের মধ্যেই যদি আবার ছুটি কাটাই কেমন হয়।
যাইহোক আমাদের বড় আপু বলল যেহেতু আঙ্কেল অসুস্থ দেখতে হওয়া উচিত, তাই রাত্রেবেলা রওনা না হয়ে আজকে সকাল বেলা রওনা হলাম ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর উদ্দেশ্যে, মহাখালী থেকে আপু জয়েন করল, বাকি সবাই ব্যস্ত অথচ আমি সব থেকে দূর ছিলাম। যাইহোক দায়বদ্ধ থেকেই যাওয়া, কারণ আমার বাবা অসুস্থ হয়েছিলেন আমি জানি এই পরিস্থিতি গুলো কতটা কঠিন।
রোগী দেখে আসার সময় দুই ভাই বোন মজা করতে করতে আইসক্রিম খেলাম একসাথে লাঞ্চ করলাম সেই সংসদ ভবন আড্ডা দিলাম, এবং রিক্সা দিয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করলাম শেষে আপুকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আর গাজীপুর যাওয়ার সময় ছিল না।
আসলে হসপিটালে গেলে বোঝা যায় মানুষ আসলে ভালো নেই, মানুষ আসলেই কতটা দুর্বল , আর সুস্থতা যে মহান সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় নেয়ামত এটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। কারণ কয়েক মিনিটের মধ্যেই দু একটি লাশ দেখতে পেলাম। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থতা দান করুক।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া হাসপাতালে গেলে বোঝা যায় মানুষ কতটা অসুস্থ অবস্থায় চলাফেরা করে। আর সুস্থতা আল্লাহ তায়ালার কতো বড় নেয়ামত। আপনার বন্ধুর বাবা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনাই করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হঠাৎ করে বন্ধুর বাবার এরকম একটা অসুস্থর খবর শুনলে তখন বন্ধুর পাশে থাকাটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ সেই সময় মানুষের মনটা এমনিতেই খারাপ থাকে নিজের কাছের কেউ যদি থাকে তখন নিজের কাছেই ভালো লাগে । ভালো করেছেন ছুটি নিয়ে আপনারা দুই ভাই-বোন মিলে চলে গিয়েছেন আবার দেখে আসার পথে দুজনে মিলে আইসক্রিম খেয়ে মজা করতে করতে চলে এসেছেন । ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা ঠিক কথা ভাই, হসপিটালে গেলেই আসলে টের পাওয়া যায় যে, মানুষ আসলে ভালো নেই। তবে আপনি এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও যে বন্ধুর বাবার অসুস্থতার সময় তার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন, এটা কিন্তু যথেষ্ট ভালো একটা কাজ। যাইহোক, এখন আপনার বন্ধুর বাবা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেই হলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit