আ _{^{মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।}}

উপস্থিত বুদ্ধি মাঝে মাঝে অনেক বড় বড় বিপদ থেকেও বাঁচিয়ে তুলতে পারেন, খুব সহজভাবেই একটা জটিল কাজকে সমাধান করে ফেলা যায়, অনেক সময় আমরা এমন কোন ঝামেলায় পড়ি বিভ্রান্ত হয়ে আর বেশি ভুল করি এই সকল ভুল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি অনেক বেশি পরিমাণ কাজে লাগে।

কালকে আমাদের থিসিস বই জমা দেয়ার লাস্ট ডেট, তাই ভাবলাম একদিন আগেই চলে যাই। ডিপার্টমেন্ট হেড আমাদের বই দেখে খুবই খুশি হলেন বেশ সুন্দর করে আমরা সবকিছু সাজিয়েছে। আমার একটা টেনশন ছিল কনটেন্ট বক্স ( সূচিপত্র ) এটি নিয়ে কারণ আমি সবকিছু তৈরি করতে করতে কনটেন্ট বক্স তৈরি করতেই অবহেলা করেছিলাম। তাই শুধুমাত্র প্রথম ৬ চ্যাপ্টার তৈরি করলেও ১৭ চ্যাপ্টারের বইয়ের কন্টেন্ট বক্স অপূর্ণ ছিল।

এইটা আমার মনে পড়েছিল যখন আমি প্রিন্ট করতে একজনকে অলরেডি পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি ভেবেছিলাম সূচিপত্রটা এত গভীরভাবে দেখা হবে না, কিন্তু সবকিছু ঠিক করে যখন বই জমা দেয়ার সময় আসলো তখন ভেতরের সবকিছু থেকে সূচিপত্রটাই বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হলো। কারণ শিক্ষকরা জানেন যেহেতু বই তৈরি হয়ে গেছে এর ভেতরের সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে মেইন ভুলটা পেইজের নাম্বারিং বা সূচিপত্রে হয়।

যাইহোক আমার পেজ নাম্বারিং এবং অনেকগুলো পেজের কাজ বাকি রয়ে গেছিল, স্যার একটা বুদ্ধি দিলেন এভাবে কাজ করতে। এটা ঠিক করার দুটো পদ্ধতি রয়েছে যেখান থেকে প্রিন্ট করা হয়েছে সেখানে গিয়ে আরো চার-পাঁচটা পেজ এড করে পুনরায় বই তৈরি করে নিয়ে আসতে হবে, দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং বুদ্ধি এখানে প্রয়োগ করতে হবে।

আমি তাই করলাম, যদিও বন্ধু চাচ্ছিল উত্তরায় গিয়ে এটা ঠিক করে আবার পরের দিন ইউনিভার্সিটিতে আসতে কিন্তু আমি না করলাম। সোজা কম্পিউটার ল্যাবে চলে গেলাম দেড় ঘন্টার মধ্যে সূচিপত্র পুরোটা তৈরি করা শেষ, ক্যাম্পাসের একজন স্টাফ যার কাছে প্রিন্টারের এক্সেস রয়েছে আমরা তার কাছ থেকে প্রিন্ট করে ফেললাম।

এরপর আমরা বুদ্ধি করলাম কিভাবে একটা আস্ত বইয়ের মধ্যে নতুন করে চারটা পেজ এড করা যায়। আমরা বইয়ের কভার সাইড গুলো খুলে দেখার চেষ্টা করলাম বইটা বাঁধাই করা কিভাবে, এখানে স্টার প্লাস এবং আঠার ব্যবহার করা হয়েছে আমরাও এই দুটো জিনিস জোগাড় করে ফেললাম। এখন আমাদের একটা ব্লেড প্রয়োজন কারণ স্টাফলার এমন ভাবে বসানো হয়েছে এটা খোলা সম্ভব নয়।

যাইহোক স্টাফলেটের সেই অংশ থেকে একটু একটু করে পেজ কেটে পুরো পেজগুলোই আমরা আলাদা করে ফেললাম, এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং বুদ্ধি লাগিয়ে আমাদের নতুন পেজ গুলো বইয়ের মধ্যে অ্যাড করে ফেললাম। তারপর উপরে যে পেজগুলো এড করতে হবে সেগুলো পুনরায় সিরিয়াল মোতাবেক এড করে পিন আপ করে, আঠা লাগিয়ে বইটা তৈরি করে ফেললাম।

মজার বিষয় হল আমরা ঘাস লতা পাতা ও ব্যবহার করেছি

যখনই স্যার আমাদেরকে বলেছিল এটা এপ্রুভ করা যাচ্ছে না তখনই যদি আমরা প্যানিক হয়ে উত্তরা চলে যেতাম কিংবা বাসায় চলে আসতাম তাহলে কাজটা হতো না, আমরা ততক্ষণাক ঐখানে বসেই এই কাজগুলো করেছি এবং আজকের মধ্যে আমাদের সবকিছু কমপ্লিট করতে পেরেছি। তবে ছোট্ট এই কাজটা করতে আমাদের প্রায় তিন চার ঘন্টা লেগে যায়। তবে আমরা বেশি এনজয় করেছি কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করতে গিয়ে আমাদেরকে এমন একটা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল। লাইব্রেরীতে সবাই হা করে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল আমরা কি করছিলাম সবই ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না।

_{আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।}

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖