একটি শিক্ষনীয় ঘটনা

বুজুর্গর কাছে একলোক এসে বললো, হুজুর আপনি সবসময় চিন্তা মুক্ত, হাসিখুশি ও সুখী কিভাবে থাকেন? আমাকে এর উপায়টি বলে দিন প্লিজ।
বুজুর্গ বললেন- ঠিক আছে। তুমি এক কেজি ওজনের এক বস্তা পাথর নিয়ে আসো।
লোকটি ঠিক বেছে বেছে প্রায় এক কেজি ওজনের এক বস্তা পাথর নিয়ে এসে বললো- এই যে নিয়ে এসেছি। এবার আমি আপনার মতো সুখী হবো?
বুজুর্গ হেসে বললেন- না কেবল কাজ শুরু। তোমাকে কয়েকটি জিনিস সবসময় করতে হবে।
লোকটি জানতে চাইলো, কী কাজ বলুন! আমি অবশ্যই করবো।
বুজুর্গ বললেন, শুরুতে এই দুটি কাজ করবে। ১) কারো থেকে কিছু আশা করে থাকলে তাদের নাম একটি পাথরে লিখে বস্তায় রাখবে। ২) কোন মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তাদের নামও পাথরে লিখে বস্তায় রাখবে। আর বস্তাটি সবসময় তুমি সাথে করে বয়ে বেড়াবে।
লোকটি প্রথমে লিখলো ঐ মানুষেদের নামগুলির নাম যাদের থেকে সে কিছু আশা করেছে। তারপর লিখলো ঐ মানুষগুলির নাম যাদেরকে সে কষ্ট দিয়েছে। লিখতে লিখতে লোকটি ৪৯ টি মানুষের নাম লিখে ফেললো।
বুজুর্গ বললেন এবার তুমি এই বস্তা কাঁধে করে সবসময় বয়ে বেড়াবে।
লোকটি বস্তা কাঁধে করে রওনা হলো। আর ভাবতে লাগলো- বস্তার ওজন অনেক বেশি। তাই লোকটি ঠিক করলো- আর কারো থেকে কিছু আশা করবে না আর কাউকে কষ্ট দেবে না।
বেশ কিছুদিন পর লোকটি বুজুর্গের কাছে আসলো। বুজুর্গ লোকটির বস্তার দিকে তাকালেন। বস্তার ভিতর পাথর অনেক কম মনে হলো। বুজুর্গ এর কারণ জানতে চাইলেন।
লোকটি হাসি মুখে উত্তর দিল- হুজুর ঐ দিনের পর থেকে আমি আর কাউকে কষ্ট দেইনি। আর যাদেরকে কষ্ট দিয়েছিলাম তাদের অনেকের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিয়েছি। আর কোন মানুষের থেকে এখন আমি আর কিছু আশা করিনা। তাই বস্তায় পাথরের সংখ্যা এখন অনেক কম। যে পাথরগুলি আছে এগুলি ঐ ব্যক্তিদের নামে, যাদেরকে আমি কষ্ট দিয়েছি কিন্তু তাদেরকে আমি খুঁজে পাচ্ছি না। হুজুর, আমি এখন বেশ শান্তিতে ঘুমাই। আমার চিন্তা অনেক কমে গেছে।
বুজুর্গ খুব খুশি হলেন। বললেন- তুমি তাদেরকে খুঁজতে থাকো। আর না পেলে ১০টি করে সৎ কাজ করে একটি করে পাখর কমিয়ে ফেলবে।

• অনুবাদ