হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম
সবাইকে শুভ দুপুর আশা করি দিনটি সকলের ভালো কাটুক এই কামনা করি। যদিও আজকের দিনটা অনেক ব্যস্ত একটি দিন বুধবার আমাদের সপ্তাহিক শেষ দিন। তাই সবাই চেষ্টা করি সকাল-সকাল কাজগুলো শেষ করে দেওয়ার জন্য। সেই চিন্তা মাথায় রেখে আমিও আজকে আবারো চলে এসেছি আপনাদের সাথে ভালো মন্দ শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আজকে আমি আর কথা না বাড়িয়ে আমার মূল টফিক্স এ চলে যাব।
তো বন্ধুরা কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। বাচ্চাদেরকে নিয়ে কক্সবাজার ইনানীতে ঘুরতে গেছিলাম। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ খুব ভালো লাগে ভ্রমণ করতে বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু বাচ্চারা ছোট থাকার কারণে তেমন একটা ভ্রমণ করতে ভালো লাগেনা। তাই বাচ্চারা যখন একটু বড় হলো শুরু করে দিলাম ঘোরাফেরা। তো কক্সবাজার থাকলেও ইনানীতে বেশ কয়েকবার গেছি। তবে সেখানে রাত কাটা কখনো হয়নি। বাচ্চারা তার বাবার সাথে বায়না করলো রয়েল টিউলিপে থাকবে একদিন। আমাদের বাসা থেকে ইনানী দুই ঘন্টার যাতায়ত।
আপনারা অবশ্যই অনেকেই জানেন কক্সবাজারের ইনানীতে রয়েল টিউলিপ আবাসিক হোটেলটি অনেক উন্নত মানের একটি হোটেল। বেশির ভাগ লোকজন যারা ঘুরতে আসেন একটু রিলাক্সে কিংবা ভালো মানের হোটেলে থাকতে চাই। তারাই ইনানীর রয়েল টিউলিপে চলে যায়। কক্সবাজার থেকে ঘন্টা দুই একের রাস্তা। যদিও আমার প্লান ছিল নতুন একটি রিসোর্ট হয়েছে তা ডেরা নামে পরিচিত। তো ভাবছিলাম ডেরা তে যাবো। তবে চলে গেলাম রয়েল টিউলিপে।
এমন সুন্দর মনোরম পরিবেশ সত্যিই অসাধারণ লাগে আমার কাছে। তো একদিন শুক্রবারে আমরা সবাই চলে গেছিলাম ইনানী ভ্রমণে। কিন্তু গত বছরেরও গেছিলাম তবে গিয়েছিলাম ওয়াটার পার্কে। যাওয়া আসার মধ্যে তেমন একটা ভালো লাগে নাই। তবে এইবার সোজা চলে গেছি আমরা রয়েল টিউলিপ ফাইভ স্টার হোটেলে। আগে থেকে বলা ছিল আমরা রয়েল টিউলিপে যাব রুম বুকিং করব। তবে আমাদের অত বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়নি। কারণ আমার এক দেবর আছে সেখানে সরওয়ার নামে। আমার হাজব্যান্ড তার ছোট ভাই সরওয়ার কে বলে রাখছিল একটা ভালো মানের রুম দেখে রাখার জন্য। তো আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে পৌঁছালাম। পৌঁছানোর পরে আমি আর বাচ্চারা ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করেছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে।
তো আমার হাজব্যান্ড এবং আমার দেবর সরওয়ার সহ দুজনেই রুম বুকিংয়ের যাবতীয় কাজকর্ম সেরে নিলেন। আমরা যে রুমটা নিয়েছিলাম সেখানে বাংলার টাকায় ২২ হাজার টাকা ছিল রুম কস্ট। তবে সরওয়ার থাকায় এবং এখন বর্ষাকালীন সিজন হওয়ার কারণে ফিফটি পার্সেন্ট আমরা ডিসকাউন্ট পেয়েছিলাম। তার মানে আমাদেরকে এক রাতে থাকার জন্য ১১ হাজার টাকা দিতে হবে। বাচ্চারা তো ভীষণ এক্সাইটেড ছিল কারণ রয়েল টিউলিপ থেকে সোজা ইনানী বীচ দেখা যায়। রুমটা এভাবে নিয়েছিল সরওয়ার সাহেব বাচ্চারা যাতে রুমে বসে ইনানী সমুদ্র সৈকত দেখতে পাই। তো আমরা যতক্ষণ ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করেছিলাম ভীষণ ভালো লেগেছিল। কারণ ওয়েটিং রুম থেকে বসে ইনানী বীচ দেখছিলাম। তাছাড়া অতিথিদের জন্য বেশ সুন্দর আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল সেখানে। বিভিন্ন ধরনের জুস এর ব্যবস্থা ছিল।
তাছাড়া হোয়াইট কফি, ডার্ক কফি, হট কফি, স্ট্রবেরি জুস, লেমন জুস, অরেঞ্জ জুস। বলতে গেলে সব রকমের খাবারের ব্যবস্থা ছিল। যার যেমন ইচ্ছে মত খাওয়া যায়। সেখানে যখন বসেছিলাম সরওয়ার আমাদের জন্য অনেক গুলো জুস নিয়ে আসলো। বসে বসে আমরা খাচ্ছিলাম আর চারদিকে অতিথিদের অবস্থা দেখছিলাম। যদিও বর্ষাকাল কিন্তু ভীষণ ভিড় ছিল। অবশ্যই সেখানে না গেলে বুঝা যাবে না যে এত বর্ষাকালেও মানুষ এভাবে ঘুরতে বের হয়। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে কক্সবাজারে আসা মানে হচ্ছে ইনানী টার্গেট সকল টুরিস্টদের। যাবতীয় কাজকর্ম শেষ করে আমরা রুমে চলে গেলাম। সেটা আমি আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করব। আমাদের রুমের পরিবেশটা কেমন ছিল এবং রুম থেকে বাইরের দৃশ্য গুলো কেমন ছিল।
আশা করি আমি আপনাদেরকে কক্সবাজার ইনানীতে ভ্রমণের বিস্তারিত পর্ব আকারে শেয়ার করব। যদি আমার আজকের পোস্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। তাহলে আমি অনেক বেশি উৎসাহ পাব। এবং আপনাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করতে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা রাখি।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার রয়েল টিউলিপ রিসোর্ট ইনানী |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/282fyr
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ কক্সবাজার সুনামধন্য হোটেলে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দেখছি। এর আগে ব্যাচেলার নাটকে এই জায়গাটি দেখেছিলাম দারুন একটি জায়গা । আসলেই সুন্দর পরিবেশে মাঝে মাঝে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা উচিত। ভাল লাগল আপনার কাটানোর মুহূর্তের গল্প পড়ে ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বলতে গেলে খুবই সুন্দর একটি জায়গা। আসলেই বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার শেয়ার করা পোস্ট পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কক্সবাজারে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু।হোটেলটির বেশ জনপ্রিয়।বাচ্চাদের সাথে নিয়ে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপনারা।হোটেল থেকে একদম বীচ দেখা যায়,তাহলে তো বেশ ভালো একটি ব্যপার।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অর্ধেক খাবার খাওয়ালেন তারপর খাবার অফ করে দিলেন,কেমন লাগে বলেন তো। ২২ হাজার টাকার মধ্যে ১১ হাজার ডিস্কাউন্ট পেয়ে গেলেন। এমন অফার পেলে আমিও রয়েল টিউলিপে যেতে রাজি আছি,হি হি হি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চলে আসেন এই সিজনে অফার আপনিও পাবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit