ভারত- বাংলাদেশি সকল ব্লগার বন্ধুদের কে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আশা করি সকলেই অনেক ভালো আছেন এই শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের শুভ কামনায় অনেক অনেক ভালো আছি। আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি
@samhunnahar। আমি প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার চেষ্টা করি নতুন নতুন ব্লগিং শেয়ার করার মাধ্যমে। আজ ও আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।
আজ আমি শেয়ার করবো কক্সবাজারের জনপ্রিয় আবাসিক হোটেল লং বীচ নিয়ে কিছু কথা। কিছু দিন আগে আমি ছবি গুলো আমার মোবাইলে ধারণ করেছিলাম। ভাবছিলাম আপনাদের সাথে সেই বিষয়ে কিছু শেয়ার করবো লিখে। তাই আজ আপনাদের সাথে আমি আমাদের কক্সবাজারের জনপ্রিয় আবাসিক হোটেল লং বীচ এর সৌন্দর্য নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করবো। সাথে আপনাদের ছবির মাধ্যমে হোটেল দেখার সুযোগ করে দিবো। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে। তাহলেই শুরু করা যাক বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগিং।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে হোটেল লং বীচ এর পুরো ভবন আর সাথে নাম। আমি দূর থেকে ছবি টা নিলাম। আমি একদিন বিকেল বেলা হাটার জন্য বের হয়েছিলাম। রাস্তা দিয়ে সব দিক দেখে দেখে হাটার সময় হঠাৎ চোখে পড়ে এই লং বীচ এর অপরুপ সুন্দর দৃশ্য। আমার খুব ভাল লাগে তাই আমি কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।
লোকেশন
এরপর আমি হেটে হেটে সামনের দিকে আসলাম। দেখেই আমি অভাক এত সুন্দর করে বানানো হয়েছে যা অনেক অনেক দৃষ্টি নন্দন। আসলেই কক্সবাজারের হোটেলের পরিবেশ গুলো বেশ সুন্দর বলা যায়। যেটাতে যায় না কেন সব গুলো বেশ সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশে ঘেরাও। প্রাকৃ্তিক সবুজের ঘেরাও প্রত্যেকটি হোটেলের পরিবেশ। আমার অনেক বার ঢাকা- চট্রগ্রামে যাওয়া হয়েছে কিন্তু এত সুন্দর পরিবেশ অন্য কোথায় নেই। কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল গুলো অনেক সুন্দর।
লোকেশন
লোকেশন
ফ্রন্ট সাইড টা এত এত সুন্দর বলে বুঝাতে পারবোনা। সত্যি ছবির তুলনায় অনেক অনেক গুণ সুন্দর বলতে হয়। আপনারা যারা দেখেন নাই লংবীচ হোটেল, কক্সবাজার আসলে একবার হলেও দেখে যাবেন। আমি আজ বাহিরের দিক টা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। পরে অন্য একদিন বিতরের দিকটা শেয়ার করার চেষ্টা করবো। এই ফ্রন্ট সাইড টা এমন সুন্দর ফুলের বাগান, পার্কিং এর জায়গা সব মিলে অসাধারণ বলা যায়।
সামনে আরেকটু যেয়ে দেখা যায় সুন্দর একটি ঝাউ গাছ যা সামনের সুন্দর আরও অনেক গুণ বেড়ে গেলো। এই ঝাউ গাছ গুলো আসলেই কোন বাড়ি কিংবা হোটেলের সামনে যদি লাগানো হয় তাহলে অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। এখানে হোটেলের সুন্দর এই ঝাউ গাছটির জন্য আর ও দ্বিগুণ বেড়ে গেল যা আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।
হোটেলের বিতর সুন্দর একটি ক্যাফে রয়েছে। এর বিতরে প্রবেশ করেছিলাম যার ছবি গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো অন্য একদিন। এই ক্যাফে দেখতে অনেক সুন্দর বিতরে। এছাড়া ও রয়েছে বিতরে শপিং সেন্টার যা অনেক হাই কোয়ালিটির। আমার কাছে লং বীচ এর প্রত্যেকটা সাইড খুব সুন্দর লাগছে।
লোকেশন
এই কাচের ফুল টা হোটেলের বিতরে প্রবেশের মাঝখানে অবস্থিত। আমি বাহিরের দিক থেকে দেখেছি অনেক ভাল লাগলো। দেখতে তাই বিতরে ও প্রবেশ করে দেখি। বাহিরের যে লুকিং বিতরের দিক থেকে দেখতে হাজার হাজার গুণ সুন্দর দেখতে। এখানে আমার শেয়ার করা ছবি টা আমি বাহির সাইড থেকে নিয়েছিলাম।
আমাদের কক্সবাজারের প্রত্যেকটা আবাসিক হোটেলের ডেকোরেশন আমার দৃষ্টিতে অনেক সুন্দর। আমি আমাদের দেশের অন্যান্য হোটেল গুলোর মানের দিক বিবেচনা করে বলছি। অন্যান্য দেশের চিন্তা ধারা ত অন্য রকম। তাদের সাথে তো আমরা পাল্লা দিয়ে চলতে পারিনা বা তুলনা করতে পারিনা। দেশের বিতরের কথা বলতেছি।
লোকেশন
এই গাছ গুলো বাহিরের দিকের সুন্দর আর ও বাড়িয়ে দেয়। এই গাছের নাম মনে হয় পাম ওয়েল গাছ। লং বীচ এর চারপাশে গাছ গুলো লাগানো হয়েছে। রাতে ছবি গুলো নিয়ে ছিলাম আমি। আমার কাছে দিনের তুলনায় রাতের ছবি গুলো বেশ ভালই লাগে।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত আশা করি আপনাদের সকলের অনেক অনেক ভাল লেগেছে। ভাল লেগে থাকলে একটি সুন্দর কমেন্টে জানিয়ে দিন। আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে কাজ করতে অনেক অনপ্রাণিত করে থাকে। আর নতুন নতুন ব্লগ নিয়ে আসতে আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে যায়। তাই আপনাদের সহযোগিতা অনেক অনেক প্রয়োজন। লং বীচ এর আর বিস্তারিত নিয়ে আবার ও হাজির হবো আরেক দিন।
ক্যামেরার বর্ণানা নিম্নে দেওয়া হলো
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
অনেক কথা হয়েছে বন্ধুরা, আমার আজকের পোস্ট টি সময় দিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আজ আমার লেখা এখানে শেষ করতেছি বন্ধুরা। আবার উপস্থিত হবো নতুন আরেক টি ব্লগিং নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অন্য এক দিন। সবাই পূজার ছুটি উপভোগ করুন, আর ভাল থাকুন।
সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম।
সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদিও কখনো যাওয়া হয়নি তবে এই লং বিচ হোটেলের কথা শুনেছিলাম। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম যে হোটেল টি কতটা সুন্দর। বাহিরের দিকটাই তো দারুন লাগছে। আশা করি খুব শীঘ্রই লং বিচ হোটেলের ইনডোর লুক টাও আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। তবে আপু চেষ্টা করবেন ফটোগ্রাফি গুলো আরেকটু স্পষ্ট করে ক্যাপচার করার। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু চেষ্টা করবো আরো সুন্দর করে ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার।আপনি ঠিক বলেছেন আপু অনেক সুন্দর একটি হোটেল।আমার বাসার পাশে হওয়ায় বাচ্চাদের সাথে ঘুরতে যাওয়া।চেষ্টা করবো ইনডোর শেয়ার করার।ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালোই হলো এই হোটেলের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন আপনি। বাংলাদেশের কক্সবাজারে যদি কখনো যাই তাহলে এখানে থাকার চেষ্টা করব। তবে আপনি যেহেতু বাইরের অংশের বর্ণনা দিয়েছেন টুকটাক ভেতরের অংশের বর্ণনার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। তাহলে বুঝতে পারবো হোটেলের ভেতরটা কেমন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলাদেশের কক্সবাজারে টুরিস্টদের জন্য অসংখ্য হোস্টেল রয়েছে আপু। এগুলো প্রায় সবাই দৃষ্টিনন্দন। আমিও কয়েকবার গিয়েছিলাম বেশ ভালো লাগে ওখানকার পরিবেশটা। আপনি কক্সবাজারের অন্যতম সুন্দরের রাণী হোটেল (লং বীচ) এর অসাধারণ ফটোগ্রাফি সহ মনমুগ্ধকর গল্প করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit