শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা সব সময় চেষ্টা করি নিজেকে ব্যস্ত রাখার এবং ভালো সময় কাটানোর। আজকে আমি আবার হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি টপিক্স নিয়ে। চেষ্টা করি সপ্তাহে ৭ দিন সাত ধরনের টপিকস নিয়ে আপনাদের সাথে চলে এসেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের চারপাশে অনেক কিছু ঘটে থাকে। বাস্তব জীবনে আমরা যেগুলো দেখে থাকি সেগুলো সিনেমা নাটক কেও হার মানাবে। কারণ আমাদের মানুষের জীবন এত বৈচিত্র্যময়। নিশ্চয়ই আপনারা আমার শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন কি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করব।
গতকালকে হঠাৎ করে আমার ছোট মেয়ের স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ একটি নোটিফিকেশন দেখে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে ফেলল এমন অবস্থা। সেখানে লেখা আছে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাংলা ভার্সনের একজন শিক্ষিকা মৃত্যুবরণ করেছে। তবে কেন মৃত্যুবরণ করেছে সেটা কিন্তু আমার কাছে জানা ছিল না। তবে জানাজা দাফন কাফন সম্পূর্ণ উল্লেখ করা ছিল কিন্তু আমার কাছে শিক্ষিকার পরিচয় জানা ছিল না। যেহেতু বাংলা ভার্সনের শিক্ষিকাদের প্রতি তেমন পরিচয় করে ওঠেনি। যেহেতু ছোট মেয়েকে নার্সারিতে প্রথম বছর ভর্তি করায় দিয়েছি তাই তেমন পরিচয় হয়ে ওঠেনি। আর বাংলা ভার্সনে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে যেহেতু ছেলে মেয়ে অনেক বেশি। তবে আমার কাছে একটু কৌতুহল ছিল ওই শিক্ষিকার পরিচয়টা জানার।
এরপরে সোশ্যাল মিডিয়াতে যখন প্রবেশ করি তখন বেশ কয়েকটি পোষ্টের মধ্যে দেখতে পেলাম শিক্ষিকার বিস্তারিত তথ্য। যদিও খুব কম বয়সি ছিল একদম ছোট ছোট দুইটি কন্যা সন্তান ছিল তাদের। ছোট মেয়ে এখনো ব্রেস্ট ফিডিং করে এত ছোট। শিক্ষিকা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন হাসপাতালের আইসিওতে ছিলেন। এত হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা ঘটে গেল যে আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো। আমাদের কক্সবাজারে ইদানিং ডেঙ্গুর পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি আমরা। সামান্য জ্বর কাশি হলে খুব কষ্ট লাগে অনেক বেশি ভয় কাজ করে। বেশ কিছুদিন আগে যখন বাড়ির সবার জ্বর হয়েছিল তখন অনেক বেশি ভয়ে ছিলাম। এরপরে যখন টেস্ট করে দেখলাম ডেঙ্গু নেগেটিভ তখন একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম।
কিন্তু গত কালকের ঘটনাটা আমার বারবার মনে পড়তেছে। আল্লাহ জানে ছোট ছোট বাচ্চা দুটো নিয়ে কোন কষ্টে আছে তাদের আত্মীয়-স্বজন। যেহেতু মা তো চলে গেল তাদেরকে ছেড়ে। হয়তো সেই মা মরেও শান্তি পাবে না। বিশ্বাস করবেন এত ছোট বাচ্চা দুটো হয়তো এক বছর পর পর হয়েছে। ছোট বাচ্চা দুইটা ছোট টা বড় মেয়ের থেকে এক বছরের ব্যবধান বেশি হবে না। সৃষ্টিকর্তা চাইলে অনেক কিছু করতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা তাইলে ওই শিক্ষিকার একটু হায়াত বাড়িয়ে দিতে পারতেন ছোট বাচ্চাগুলো দেখে। হয়তো সৃষ্টিকর্তায় তাতেই মঙ্গল দেখেছেন তাই করেছেন। এখন বাচ্চা দুটোর জীবন নিয়ে হচ্ছে চিন্তা ভাবনা।
রাখে আল্লাহ মারে কে। হয়তো তারা একদিন বড় হয়ে যাবে একদিন তারা মায়ের স্মৃতি গুলো ভুলে যাবে। যেহেতু বাচ্চা গুলো অনেক ছোট একজন দুধের বাচ্চা অন্যজন হচ্ছে তিন বছরে চার বছর হবে। তাদের কাছে তো কখনো মায়ের স্মৃতি মনে থাকার কথা নয়। হয়তো আত্মীয়-স্বজনেরা বাবা বাচ্চাগুলোকে কষ্ট করে বড় করবে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে বাঁচাতেও পারেন সৃষ্টিকর্তা চাইলে মারতেও পারেন। আমি একটা চিন্তায় ছিলাম আসলেই কোন শিক্ষিকা মরে গেল হয়তো তার ছোট ছোট বাচ্চা থাকতে পারে। যেমন চিন্তা করলাম তেমনি হলো এত কিউট বাচ্চা গুলো মাশাল্লাহ খুবই সুন্দর। দেখলে মনটা একদম জুড়িয়ে যায় এমন ফুটফুটে দুটি সন্তান।
আল্লাহ জানে ওদের জীবনের কত কষ্ট লেখা আছে। কারণ এই পৃথিবীতে মা ছাড়া বড় হওয়া খুবই কষ্টের। হয়তো তাদের বাবা আর একজন বিয়ে করবে আজ না হয় কালকে। কিন্তু তাদের কি হবে তারা কার সাথে বড় হবে কিভাবে বড় হবে কি যন্ত্রণা সহ্য করবে সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা বরাদ্দ করে রেখেছেন। তবে দোয়া করি তারা যেন সুস্থভাবে এই পৃথিবীতে সুন্দর একটি জীবন পাই। তাদের উপর যেন সৃষ্টিকর্তার রহমত করেন তাদের জীবনটা যেন সুন্দরভাবে অতিবাহিত হয় এটাই কামনা করছি। সবাই সাবধানে থাকবেন যেহেতু ডেঙ্গু সারা দেশে এখন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় ডেঙ্গু রোগের প্রভাব তেমন একটি নেই বললে চলে। কিন্তু আমাদের কক্সবাজারে ডেঙ্গুর উপদ্রব এত বেড়ে গেছে দিন দিন অনেক বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ডেঙ্গু রোগের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাবধানতা অবলম্বন করতেছি। আমাদের সবার উচিত ভালোভাবে মশারি দিয়ে ঘুমানো। দিনের বেলায়ও মশার থেকে সাবধানে থাকতে হবে। কি পন্থা অবলম্বন করলে আমরা ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পাব সেগুলো অবশ্যই আমাদেরকে মেনে চলতে হবে। সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাতে ভালো থাকতে পারি। সৃষ্টিকর্তা সবকিছু করতে পারেন চাইলে হঠাৎ করে মৃত্যুবরণ করাতে পারেন। চাইলে হায়াতের মধ্যে বরকত দান করতে পারেন। সবাই সুস্থ সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। সবার মধ্যে নেক হায়াত দান করুক আল্লাহর কাছে তাই কামনা করি।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ভিক্টিজি ডট কম |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে বাচ্চা দু'টোর জন্য খুব খারাপ লাগছে। তাছাড়া এই সময়টায় সব জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। কিছুদিন আগে আমারও আপনার মতো জ্বর হয়েছিল আর ডেঙ্গুর সবধরনের সিনডম ছিল। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে গতবছর আমি আর আমার হাজবেন্ড একসাথে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলাম আর ভেবেছিলাম হয়তো বাঁচবো না। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের ছেলের জন্য হয়তো বাঁচিয়ে রেখেছেন। আল্লাহ যা করেন হয়তো ভালোর জন্যই করেন। ছোট ছোট বাচ্চা দু'টো আজ মা হারা হয়ে গেলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের হয়েছিল শুনে খারাপ লাগলো। অবশেষে আপনারা সুস্থ হলেন শুনেে খুশি হয়েছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাচ্চা দুটো এতিম হয়ে গেছে এটা শুনেই খারাপ লাগছে। এরকম মৃত্যুর খবর শুনলে খুবই খারাপ লাগে। আমাদের সবকিছুই মেনে নিতে হয় আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া আমারও শুনে অনেক খারাপ লাগছিল প্রথমে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/nahar_hera/status/1845535708972556327?t=d_CtD1uwUKEBrq8Lam_Sag&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডেঙ্গুর প্রভাব অনেক বেড়ে গেছে। আর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছে। এটা সত্যি অনেক কষ্টের বিষয়। আর এরকম ঘটনা যদি আমাদের চারপাশেই ঘটে তাহলে কষ্টটা আরো বেশি লাগে আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বর অনেক মারাত্মক রোগ আকারে ধারণ করেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিষয়টা খুবই দুঃখজনক আপু। সত্যিই আমাদের জীবনে কখন কি ঘটে যাবে বলা মুশকিল। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিংবা আশেপাশের ঘটনাগুলো সত্যিই নাটক সিনেমাকে হার মানাবে।বাচ্চা দুটোর জন্য খুব খারাপ লাগছে। আল্লাহ ওদেরকে হেফাজতে রাখুক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু বাচ্চা দুটো একদম এতিম হয়ে গেছে এখন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit