ট্রাভেলিং- রয়েল টিউলিপ ভ্রমণে হোটেল থেকে নেওয়া কিছু ওয়ালমেট এবং ফটোগ্রাফি।

in hive-129948 •  last year 

সবাইকে শুভরাত্রি বন্ধুরা,

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্য সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি বন্ধুরা আপনারা সকলেই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন পরিবার পরিজনকে নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক অনেক ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। তবে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে আজকে বলার মতই না। আজকে মেয়েদের স্কুলে কালচারাল প্রোগ্রাম ছিল। সেখানেই সারাদিন সময় দিতে হয়েছে বাচ্চাদেরকে। যেহেতু মেয়ে কালচারাল প্রোগ্রামের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাই তাকে সেখানে সময় দিতে হয়েছে।

R8.jpg

R11.jpg

বেশ কয়েকবার বাসা থেকে স্কুল এবং স্কুল থেকে বাসায় আসা-যাওয়ার কারণে আজকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। যাক অবশেষে সন্ধ্যায় আমরা স্কুল থেকে চলে আসি বাসায়। এরপরে সংসারের অনেক কাজকর্ম ছিল। এবং বিকেলের নাস্তা খাওয়া সেই সাথে রাতের খাবার রেডি করা। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে। তবে একটা বিষয় না বললে নয় সেটা হচ্ছে যত ব্যস্ত থাকি না কেন কমিউনিটির কাজ গুলো করে নিতে হয়। অনেক কাজ করে শেষ হয়ে যায় কিন্তু কমিউনিটির কাজ গুলো শেষ না করলে মনে হয় অনেক কাজ পেইন্ডিং থেকে গেছে।

R3.jpg

আজকে আপনাদের সাথে যে বিষয় শেয়ার করব তা হচ্ছে হোটেল রয়েল টিউলিপ থেকে সংগ্রহ করা কিছু সুন্দর ওয়ালমেটের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি। বন্ধুরা আপনাদেরকে আমি বিভিন্ন দৃশ্য শেয়ার করেছিলাম এবং বিভিন্ন মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম রয়েল টিউলিপের। আজকে আমি রয়েল টিউলিপ ভবনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। সেই সাথে শেয়ার করব সেই রয়েল টিউলিপের সুন্দর সুন্দর দৃশ্যে দেখার কিছু অনুভূতি। আমি তো প্রথমেই ওয়েটিং রুমে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। এতই সুন্দর করে রাখা হয়েছিল রয়েল টিউলিপের ওয়েটিং রুম টি।

R4.jpg

R5.jpg

যখন গেস্ট পৌঁছাই তখন তাদেরকে আপ্যায়ন করা হয়। আসলে এখানে তো আপ্যায়নের জন্য কোন ধারাবাহিকতা ছিল না। যার যেমন ইচ্ছে তেমন বিভিন্ন ধরনের জোস এর ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়াও ব্যবস্থা ছিল আরো অন্যান্য রকমের নাস্তার। যখন আমরা রুম বুকিং করার পরে রুমে চলে যাই। এরপরে আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে যায়। বের হওয়ার পরে ঘোরাফেরা করে যখন আমি সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছিলাম। তখন আমার কাছে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু দৃশ্য চোখে পড়ে। এতই সুন্দর ছিল ওয়ালমেট গুলো আমার কাছে বেশ ভালই লাগে।

R9.jpg

R10.jpg

তাছাড়া রয়েল টিউলিপের ভিতরের ডিজাইন এমন ছিল যে সব দিকে মুজাইক করা।এতই ভালো লাগছিল যে মনে হয়েছিল সব গলি গুলো একই রকমের। একেক গলি সরু অনেক লম্বা বেশ ভালোই লাগছিল লাইটিং এর ব্যবস্থা গুলো। আপনারা অবশ্যই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বুঝতে পারছেন কত সুন্দর এবং উন্নত মানের একটি হোটেল। সত্যি এখানে থাকলে যে এত পরিমাণ টাকা নেই সেটা সার্থকতা। আমি মনে করি এখানে এক রাত বা দুই রাত থাকলে হবে না। কারণ এখানে বেশ কয়েকদিন থাকলে অনেক সুন্দর দৃশ্য ভালো ভাবে উপভোগ করা যাবে।

R7.jpg

R.jpg

যদিও রয়েল টিউলিপ থেকে আমাদের বাসার দূরত্ব বেশি না। আসলেই বাসা যেহেতু কাছাকাছি আছে তাহলে আমরা সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে দিনে এসে দিনে আসতে পারি। তাই আর বুকিং এর কোন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ইচ্ছা অনিচ্ছা বলে একটা কথা আছে। মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করে এমন উন্নত মানের সুন্দর কিছু পরিবেশের সাথে সময় কাটানোর। তাই সেজন্য চলে গেছিলাম পাশাপাশি হলেও সেখানে রাত কাটানোর জন্য। রয়েল টিউলিপ হোটেলে না গেলে বুঝতাম না এত সুন্দর একটি হোটেল। যদিও এক রাতে জন্য ২২ হাজার টাকার একটি রুম বুকিং করেছিলাম। আমি মনে করি এখানে ২২০০০ টাকা কোন টাকার ব্যাপার না। বিষয়টা হচ্ছে পরিবেশটা খুবই সুন্দর এবং উন্নত মানের।

R1.jpg

R2.jpg

বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন মুহূর্তের ব্লগিং গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এই জায়গার। তবে ফোনের গ্যালারিতে এই ফটোগ্রাফি গুলো থেকে গেছিল। আমি আজকে যখন ফোনের গ্যালারি দেখছিলাম এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার চোখে পড়ে। তাই ভাবলাম যে আজকে রয়েল টিউলিপ এর ভিতরের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের শেয়ার করি। সাথে আমার অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পারলে ভালই লাগবে। তাছাড়াও আপনাদের দেখার সুযোগ হয়ে গেল এবং আমার মনের অনুভূতি গুলো আপনাদের সাথে প্রকাশ করা হয়ে গেল।

R6.jpg

সেই চিন্তা ভাবনা থেকে আপনাদের সাথে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করা। বন্ধুরা হয়তো আপনাদের কাছেও আমার আজকের শেয়ার করা রয়েল টিউলিপের ইন্ডিভিজুয়াল ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালোই লাগবে। সেই সাথে আমার শেয়ার করা অনুভূতিগুলো ভালো লাগবে। সময় দিয়ে আমার আজকের ব্লগ ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই বন্ধুরা। চেষ্টা করবেন সব সময় পরিবারকে প্রাধান্য দেওয়ার। পরিবারের পাশে থাকার। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকবেন দোয়া করি।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার ইনানী রয়েল টিউলিপ
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

Polish_20230713_210902326.png

Steem_Pro.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হ্যাঁ আপু আপনি অনেক ব্যস্তময় একজন মানুষ । মেয়েদের স্কুলে নিয়ে আসা নিয়ে যাওয়া তারপর বাড়ির কাজকর্ম সেরে চেষ্টা করেন কমিউনিটিতে সময় দেওয়ার। হোটেলের রয়েল টিউলিপের ওয়ালমেটের দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো । অনেক সৌন্দর্যময় ডিজাইন করেছে। যেটা আপনি উপভোগ করেছেন সবগুলো ওয়ালমেট খুবই সুন্দর ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

অনেক বেশি ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছি। তারপরও কমিউনিটির কাজ গুলো করতে অনেক ভালো লাগে।

কক্সবাজারের অভিজাত হোটেলের মধ্যে রয়েল টিউলিপ অন্যতম। অভিজাত হোটেল গুলোতে চোখ ধাধানো ইন্টেরিয়র। আধুনিক স্থাপত্যশৈলির অনন্য নিদর্শন। আপনার পোস্টকৃত ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। ভালো লেগেছে ছবি গুলো। প্রতিটি পেইন্টিং বিখ্যাত কোন না কোন শিল্পির তুলির আচড়ে সৌন্দয্য ছড়িয়ে যাচ্ছে। হোটেলের গেস্টদের মুগ্ধ করছে। যেনে ভালো লাগলো বাড়ি কাছে হওয়ার পরেও টিউলিপে রাত্রিযাপন করেছেন।পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

এই হোটেলটি অনেক সুন্দর আপু। তাছাড়া বেশ সুন্দর চারপাশের পরিবেশ। ভিতরের পরিবেশ ও আরো অনেক সুন্দর।

টিউলিপ হোটেলে খুব সুন্দর একটি মুহুর্ত উপভোগ করেছেন আপনি৷ একইসাথে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছে। একইসাথে আপনি যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তা এই প্রথম আপনার কাছ থেকে দেখতে পেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।

অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করা ফটোগ্রাফি এবং আমার অনুভূতি গুলো ভালো লাগার জন্য।

এইটা ঠিক বলেছেন আমরা যতই না ব্যস্ত থাকি না কেন এই কমিউনিটির কাজগুলো যদি সময় মত না করতে পারি তাহলে মনের মধ্যে অনেক চিন্তা হয়। আমিও যখন প্রচুর ব্যস্ত হয়ে পড়ি কোনদিন তখন একেবারে ঘুমানোর সময় সব কাজগুলো শেষ করে ঘুমাই। আপনিও আমার মত দেখে ভালো লাগলো। যাইহোক আপনি রয়েল টিউলিপ হোটেলে থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ওয়ালমেট এর ফটোগ্রাফি করলেন দেখলাম। তাছাড়া এরকম আঁকাআঁকি গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া সবগুলো ছবির বর্ণনাও খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন দেখলাম। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে আপনার।