প্রিয় কমিউনিটির ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে আপনাদের সময় কেমন যাচ্ছে এই তীব্র গরমে। এত গরমে সত্যি জীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। অনেকদিন বৃষ্টি ছিল অনেক বেশি আরামে ছিলাম এত গরমে আবার বেহাল অবস্থা। তবে ব্যস্ততার মাঝেও আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি টপিকস নিয়ে। মাঝেমধ্যে এতো ব্যস্ত হয়ে যায় পোস্ট করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে সাদ বাগান থেকে নেওয়া সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। মাঝেমধ্যে দূরে কোথাও বের হতে সুযোগ না হলে ছাদ বাগানে যেয়ে ঘুরে আসি।

বিশেষ করে যখন শাটডাউন ছিল তখন সবাই ছাদ বাগানের সময় কাটিয়েছিল। তবে আমাদের এখানে সুবিধা ছিল যখন শাটডাউন ছিল তখন এখানকার পরিবেশটা তেমন করা ছিল না। বলতে গেলে পুলিশের টহল ছিল সেনাবাহিনীর টহল ছিল। রিক্সা নিয়ে ৫/৮ মিনিটের ভিতরে পৌঁছে যায় তাই সমুদ্র সৈকতে গেছিলাম সময় কাটানোর জন্য। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছাদ বাগান থেকে নেওয়া ফটোগ্রাফি গুলো। আমাদের ছাদে অনেক বড় একটি বাগান আছে। ছাদ সাত তলায় হওয়ার কারণে তেমন একটা যাওয়া হয় না বিশেষ কোনো কাজ ছাড়া। তবে মাঝেমধ্যে বাচ্চারা বিরক্ত করলে উঠে যায়।

কারন ছাদের খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক পছন্দ করে বাচ্চারা। আর আমারও বোরিং লাগলে ছাদে যেয়ে ঘুরে আসি মনটা হালকা হয়ে যায়। তাই বাচ্চারা যখন আবদার করলো আমিও না বলি নাই। ছাদে গেলে সুবিধা হয় আমার সময় কাটাতে পারি আর সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিতে পারি। কি বলেন সুবিধা না? বাগানের ফটোগ্রাফি বা আকাশের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিতে পারি। আমার এই দিকটা খুব ভালো লাগে বন্ধুরা।

ছাদ বাগানের টব গুলোকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আর পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। বাসার সিকিউরিটি সেই ছাদ বাগানের অনেক বেশি পরিচর্যা করে থাকেন। বিশেষ করে বিকেল বেলায় সকাল বেলায় দুইবার করে পানি দেওয়া হয়। আর গাছগুলোকে কিছুদিন পর পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দেওয়া হয়। বুঝতেই তো পারছেন অনেক ঘাস উঠে যায় তাই। তো ছাদে যাওয়ার পরে দেখলাম বেশ কিছু ফুল ছিল। আর এখানে বিভিন্ন ধরনের ফলের এবং ফুলের গাছ থাকার কারণে অনেক ভালো লাগে।

তাছাড়াও ছাদে খোলামেলা পরিবেশের সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। তবে আগের তুলনায় এখন ফুলের সংখ্যা অনেক কম। বিশেষ করে শীতকালে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল দেখা যায়। এখন অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তাদের মধ্যে তেমন ফুল দেখা যায় না। যদিও রঙ্গন ফুল, গোলাপ ফুল, অপরাজিতা ফুলগুলো ছিল। আর রেইন লিলি ফুল গাছ বর্ষাকালে সব সময় দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ ছিল। লেবুর গাছ ছিল, ডালিমের গাছ ছিল আরো অনেক ধরনের ফলের গাছ ছিল। তাছাড়া ও ছিল আমের গাছ। কিছুদিন আগে গাছে আম ছিল কিন্তু এবারে যখন ছাদে গেলাম তখন কাছে আম ছিল না।

তো বন্ধুরা আর দেরি না করে এই সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম। বিশেষ করে সন্ধ্যা বেলায় যখন উঠলাম প্রচুর পরিমাণ বাতাস ছিল ছাদে রোদ ছিল না বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। গোলাপ ফুল গুলো খুবই সুন্দর ছিল। তাছাড়া ও রঙ্গন ফুল দেখতে আরো অনেক সুন্দর ছিল। বিশেষ করে গোলাপ ফুলের কলি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগছিল। আর পুরো বাগানের মধ্যেই অপরাজিতা ফুল গুলো অনেক বেশি ছিল। আমি ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম আর বাচ্চারা খেলাধুলা করছিল।

বিশেষ করে সেই দিনের আকাশটা খুবই সুন্দর ছিল। সেই সুন্দর আকাশের কিছু ফটোগ্রাফিও নিয়েছিলাম। তবে আমি আজকে আপনাদের সাথে ফুলের ফটোগ্রাফি এবং অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নিয়েছি। এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করার পরে বেশ কিছুক্ষণ বসে সময় কাটিয়েছিলাম। বিশেষ করে মাগরিবের আজান পর্যন্ত আমরা সেখানে ছিলাম। আর যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল তখন তো খুব ভালোই লাগছিল। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতের সেই সুন্দর ঝাউ গাছ গুলো ছাদের উপর থেকে দেখা যায়। সেই দৃশ্যগুলো অনেকক্ষণ উপভোগ করলাম।

যখন মাগরিবের আজান হবে তখন আমরা চলে আসি। সেই সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আজকের মত লেখা এখানে সমাপ্তি করছি আল্লাহ হাফেজ।