প্রিয় বন্ধুরা সবাইকে শুভরাত্রি।
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। নিশ্চয়ই সবাই সুন্দর সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আজকে ছুটির দিনে। তবে ছুটির দিন মানে হচ্ছে অনেক ব্যস্ততা। সেই সাথে ছুটির দিন মানে হচ্ছে অনেক আনন্দ মুহূর্তের একটি দিন। সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন শুক্রবারে আমি অনেক ব্যস্ত থাকি। তবে আমি কেন সবাই ব্যস্ত থাকেন নিশ্চয়ই পরিবারের অনেক ধরনের কাজকর্ম থাকে। তাছাড়া নিজের প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কাজ পড়ে থাকে। যেগুলো আমরা ছুটির দিনে করার জন্য চেষ্টা করি। যেহেতু ছুটির দিন ছাড়া করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের কাজের মধ্যে অনেক ধারাবাহিক কাজ গুলো থাকে। যেমন বাচ্চাদের স্কুল খোলা থাকে। তাছাড়া অনেকের অফিস খোলা থাকে। এছাড়াও ব্লগিংয়ের কাজ গুলো নিয়মিত করতে হয়। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি সময় কাটালাম আজকে ছুটির দিনে। তো বন্ধুরা ভাবছি সেই সময়টুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করলে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। তাহলে শুরু করা যাক বন্ধুরা………
যেহেতু এখানে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আক্রমণে পুরা শহরের অনেক ক্ষতি হলো। এমন জায়গা আছে যেখানে ঘর বাড়ি সব উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সত্যি বলতে এগুলো বাস্তব চিত্র না দেখলেই বলা যাচ্ছে না। শুনেছি ৯১ ঘূর্ণিঝড়ে নাকি এরকম ক্ষতি হয়নি মানুষের। কিন্তু আমি তো স্বচক্ষে দেখি নাই। মানুষের মুখে মুখে শুনেছি ঘূর্ণিঝড় ৯১ নাকি অনেক ভয়াবহ ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় টা আরো বেশি ভয়াবহ। বিশ্বাস করেন মহেশখালীতে বিচ্ছিন্ন সকল বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। তো বন্ধুরা অনেক চিন্তায় আছি সেই সাথে অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম বেশ কয়েকদিন। ভাবলাম আজকে একটু বাইরে ঘুরতে যাব বাচ্চাদেরকে নিয়ে। যেহেতু আগের সপ্তাহে যাওয়া হয়নি ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে। তো আজকে সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম যেহেতু বিকেলে বের হব।
তাই আগে ভাগে কাজগুলো করে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম সকালে। ভাবছিলাম একেবারে সন্ধ্যায় বের হয়ে রাতে ডিনার করে ফিরব। সেই উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে। সোজা লাবনীর পয়েন্টের দিকে নেমে গেলাম। আমি গেলে প্রায় সময় লাবনী পয়েন্টের দিক দিয়ে যাই। সুগন্ধা পয়েন্ট দিয়ে আমার যেতে ইচ্ছে করে না যেহেতু আমার বাসা থেকে লাবনী পয়েন্ট অনেক কাছে। লাবনী পয়েন্ট থেকে নেমে একদম হেঁটে হেঁটে সুগন্ধা পয়েন্টের দিকে উঠে যাই। তো সে ভাবনায় একটা অটো নিলাম অটো নেওয়ার পরে চলে গেলাম সোজা লাবনী পয়েন্টের রোড দিয়ে। আপনারা অনেকে নিশ্চয় খেয়াল করেছেন হোটেল কল্লোল এর নিচে দারুন একটি রেস্টুরেন্ট আছে। রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে কাসুন্দী রেস্তোরাঁ। আমি ভাবলাম সেখানে প্রবেশ করব। যেহেতু বাচ্চারাও বায়না করলেন কাসুন্দী রেস্তোরাঁই যাওয়ার জন্য।
কারণ সেখানে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সন্ধ্যা বেলায় গানের আসর বসে। ভালোই লাগে ব্যান্ড সংগীত তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সংগীত পরিবেশন করা হয় সন্ধ্যাকালে। তাছাড়া বেশ মানুষ জমে যায় কাসুন্দী রেস্তোরাঁতে। তো বাচ্চারা যেহেতু বললো যাবে আমারও ইচ্ছে হলো চলে গেলাম। কিন্তু প্রতিদিন ঐ রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করি এবং গান গুলো শুনি। এর আগেও গেছিলাম একবার। সত্যি কথা বলতে এ কাসুন্দী রেস্তোরাঁতে এত বেশি দাম রাখে খাবারের বলার মত না। যেহেতু একদিকে গানের আসর অন্যদিকে রেস্টুরেন্ট বেশ সুন্দর একটি সময় উপভোগ করার মত। সোজা চলে গিয়ে একটা সিটের মধ্যে বসলাম। এরপর চারপাশের পরিবেশ দেখলাম বেশ ভালই লাগছিল ঠান্ডা ঠান্ডা।
যেহেতু কল্লোল হোটেল বীচ এর একদম কাছাকাছি। তাই সমুদ্রের ঠান্ডা বাতাস গুলো গায়ে এসে লাগছিল। ভাবলাম হালকা কিছু অর্ডার করে খাব। যেহেতু রাতে একেবারে ডিনার করে ফিরব তাই হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। খাবারের মেনু টা দেখলাম দেখে আমার চোখটা যেন মাথায় উঠে গেল। একটা ফুচকার প্লেটের দাম ২০০ টাকা। তাও এত বেশি না একদম অল্প বলতে পারেন তাই না? আমাদের তো আর এক প্লেটে হবেনা ফুচকা খেলে ইচ্ছে মত খেতে হয় হা হা হা। তো যেখানে বাইরে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে রাখে সেখানে ২০০ টাকা বলতে অনেক পরিমাণের তাই না? দাম রাখার মূল কারণ এত সুন্দর একটি গানের আয়োজন। আসলে সেখানে ২০০ টাকার ফুচকার প্লেট রাখা স্বাভাবিক। কিন্তু কেন জানি আমার খেতে ইচ্ছে করে নাই। তো বাচ্চারা বলল মা এখানে খাবো না ফুচকা বীচে যেয়ে খাব। আসলে বীচে ঠান্ডা পরিবেশে সেই সাথে আকাশের দৃশ্য এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভব করে খাবার খাওয়ার অনুভূতিটা অন্য ধরনের। বাচ্চারা যেহেতু বললো বীচে খাবে তাই আমিও সোজা চলে গেলাম লাবনী বীচের একদম সোজাসুজি।
সেখানে গিয়ে পাশাপাশি কিছু ফুচকার দোকান আছে ওই ফুচকার দোকানের খাবার গুলো খুবই ভালো লাগে। তাই ফুচকা এবং চটপটি অর্ডার দিলাম। সাথে গরম গরম চা দারুন। খাওয়া শেষ করে সমুদ্রের পাড়ে যেয়ে দেখি আরেক কান্ড। পানি একদম উপরে উঠে গেছে যেহেতু ওয়েদার টা ভালো না আবার জোয়ার ও আসলো। অনেক ভালো লাগছিল। একটা চেয়ার নিয়ে বসে পড়লাম। বসার পরে অনেকক্ষণ টাইম পাস করলাম সেখানে। এরপরে সোজা চলে আসলাম ডিনার খাওয়ার জন্য। তো সেটা অবশ্যই আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করব। আশা করি আমার আজকের এই মুহূর্তটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে পড়ে। ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে আমার ব্লগিং পড়ার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার, কাসুন্দী রেস্তোরাঁ |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/3kaepw
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সন্ধ্যা বেলায় কাসুন্দি রেস্তোরাঁয় গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলেন এবং খাওয়া-দাওয়া টাও বেশ ভালোভাবে করেছিলেন। বীচে গিয়ে নিশ্চয়ই আরো ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। যাইহোক পরবর্তীতে আশা করছি আপনাদের ডিনার করার মুহূর্ত ভাগ করে নিবেন। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছি। অবশ্যই আপনাদের সাথে খাওয়ার মুহূর্তটি শেয়ার করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন,যেখানে রেস্টুরেন্টের আনন্দঘন মুহূর্তটা। রেস্টুরেন্টের নামটা আমার কাছে দারুন মনে হলো কিন্তু পূর্বে আমার নাম কখনো শুনিনি। যাইহোক বিস্তারিত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দারুন একটি রেস্টুরেন্ট ভাইয়া এই রেস্টুরেন্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি আপু মাঝে মাঝে বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে ঘুরলে মন অনেক ভালো থাকে। আপনি কাসুন্দি রেস্তোরাঁয় গিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু রেস্তোরাঁয় জিনিসের দাম অনেক। তবে ৫০ টাকার ফুচকা ২০০ টাকা এরা তো একেবারে ডাকাত। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করি আপু ভালো সময় গুলো দেওয়ার অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু কয়েকদিন যাবৎ হামুনের খবর শুনে আমরাও চিন্তিত ছিলাম। পত্র-পত্রিকায় খবর শুনে জানতে পেরেছি অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। যায়হোক আশা করি মহেশখালী ও কক্সবাজার বাসি খুব তারাতারি ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। কাসুন্দী রেস্তোরাঁটা বেশ বড়ই দেখলাম। সন্ধার সময় গান হলে বাচ্ছারা ভালোই আনন্দ করেছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশ্যই ভাইয়া দোয়া করবেন সবার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নিউজে এবং ফেসবুকে দেখলাম। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কক্সবাজার এর অনেক ক্ষতি হয়েছে। যেটা একেবারেই দুঃখজনক। একই রেস্তোরাঁয় খাওয়া এবং গানের আসর। অসাধারণ বলতেই হয় আপু। মেয়েদের নিয়ে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন কাসুন্দী রেস্তোরাঁয়। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই রেস্তোরাঁয় বসে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে। এর আগেও আমি দু-একবার গেছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সন্ধ্যাবেলায় কাসুন্দী রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালোই সময় অতিবাহিত করেছিলেন। এটা বেশ ভালো উপভোগ করলাম আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে। আসলে এরকম রেস্টুরেন্টে ফুচকার দাম অনেক বেশি থাকে। জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর আমার তো দেখেই পছন্দ হয়েছে। আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু জায়গাটিতে বসে আসলে উপভোগ করার মত। জায়গাটি যেমন সুন্দর খাবারের দামও তেমন বেশি। অনেক ধন্যবাদ আমার পুরো পোস্ট পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit