সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সকলেই ভালো আছেন প্রিয় বন্ধুরা? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায় সর্বদা ভালো থাকার চেষ্টা করি। পরিবেশ পরিস্থিতি এতই কন্ট্রোলের বাইরে যাচ্ছে নিজেকে ভালো রাখা পরিবারের সবাইকে ভালো রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে আমাদের। যেহেতু ওয়েদারটা বর্তমানে খুবই খারাপ যাচ্ছে তাই নিজেকেও ভালো আছি বলেই বলতে খুবই অস্বস্তি বোধ করি। যদি আমরা সুস্থ না থাকি তাহলে কিভাবে সুস্থ আছি বলবো। এত গরমের মধ্যে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাছাড়া ও গরমের তীব্রতা লোডশেডিং সবকিছু মিলিয়ে যখন ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে সারাদিনটা খুবই খারাপ যায়। আজকে বাচ্চাদের স্কুলের ১ম মূল্যায়ন পরীক্ষা ছিল।
তো সকাল-সকাল উঠে গেলাম বুঝতেই তো পারছেন যেহেতু রাতে ঘুম কম হচ্ছে সকালে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। বাচ্চাদেরকে নিয়ে স্কুলে চলে গেলাম সেখান থেকে আবার বাসায় ফিরে আসি। কিছু খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপনাদের সাথে পোস্টটি লিখতে উপস্থিত হয়ে গেছি। আপনার অবশ্যই শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন আজকে আমি কি পোস্ট শেয়ার করবো। সমাজের এতিম ও অসহায় সখিনার জীবনের গল্পের আজকে আমি ষষ্ঠ তম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এটি সমাজের একটি বাস্তব চিত্র আমার জানাশোনা একটি ঘটনা। পর্যায়ক্রমে আমি আপনাদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য চেষ্টা করতেছি। আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যাদের জীবনটা একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুঃখে ভরা থাকে।
সৃষ্টিকর্তা এমন কিছু মানুষকে এভাবেই পাঠিয়ে থাকেন তাদের জীবনে কখনো সুখের নাগাল পাওয়া যায় না। অবশ্যই সেটা আপনি বা আমি না বুঝলে ও সৃষ্টিকতা বেশ ভালোই বুঝে থাকেন। কারণ নিয়তির খেলা কার কাছে কেমন হয় সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ঠিক করে রাখেন। সখিনার জীবনের সংগ্রাম চলতে চলতে এক সময় স্বামী ছাড়া তার সন্তানকে বড় করতে লাগলেন। এক সময় তার বড় ছেলেকে বিয়ে করালেন এবং বড় ছেলে বউকে নিয়ে আলাদা করে ঘর করলেন। তার এক বড় মেয়েকে বিয়ে দিলেন সেখানেও তার ঘর সংসার হলো। বাকি রইলো সখিনার ঘরে অবিবাহিত দুই ছেলে সন্তান এবং এক মেয়ে সন্তান। এক ছেলেকে সখিনা তার বড় ছেলের সহযোগিতায় বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। ছোট ছেলে এবং ছোট মেয়েকে পড়ালেখা করাতে থাকে। এক সময় তার ছোট মেয়েও বেশ ভালো পড়ালেখা করল। তার ছোট ছেলেরও বেশ ভালো পড়া লেখায় দক্ষতা ছিল।
এক সময় সেই ছোট ছেলেটাও আর পড়ালেখা না করেই এক প্রকারের গ্রামের ছেলেদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তার ছোট মেয়ে চাকরি করার জন্য চেষ্টা করতে থাকলো। সখিনার স্বপ্ন ছিল তার ছোট মেয়েকে চাকরি করাবে এবং তার ছোট ছেলেকেও চাকরি করবে। এরই মধ্যে সখিনার ছোট মেয়েকে একটা ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দেয়। বাকি রইলো সখিনার সংসারে আর দুই সন্তান। যেহেতু মেজো ছেলে সন্তান বিদেশে থাকত তাই ছোট ছেলে সন্তানকে নিয়ে সখিনা ঘরে থাকতো। সখিনা আর তার ছোট ছেলে খুব সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করতে লাগলেন। তারপরে সখিনার মেজো ছেলেকে সখিনার ভাইয়ের মেয়ে বিয়ে করালেন। যেহেতু তার ভাইয়ের মেয়ে সখিনার মেজো ছেলের পছন্দের ছিল।
ছেলের পছন্দের ছিল তাই আর কেউ না করতে পারে নাই। কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তেমন মতামত ছিল না। মতামত না থাকার কারণেও সখিনার মেজো ছেলে তার মামাতো বোনকে বিয়ে করতে উঠে পড়ে লাগলো। এক সময় বাধ্য হয়ে সে বিদেশে থাকাকালীন অনলাইনের মাধ্যমে তাদের কাবিন করা হয়। এভাবে তাদের জীবন চলতেই থাকে। সখিনার মেজো ছেলে বিদেশ থেকে আসলে তারপরে তার ছেলের বউকে ঘরে বউ করে নিয়ে আসবে এভাবে তারা সবকিছু ঠিকঠাক করে রাখল। এখন সখিনা চাইছে তার ছোট ছেলে কে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু তার ছোট ছেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মেয়েদের সাথে ফোনে আলাপ করতে থাকে। মাঝে মধ্যে কোথায় চলে যাই একদিন দুইদিন পরে আসে। সখিনা তার পাশের বাড়ির মেয়েদেরকে নিয়ে রাতে থাকতো।
যেহেতু তার ছোট ছেলে মাঝে মধ্যে ঘরে আসতো না তাই তার রাতে ভয় করত সেই জন্য। তবে সখিনার বেশ আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। কারণ সে খুব বেশি টেনশন করতেন সেজন্য তার অসুস্থতা শেষ রইলো না। যদিও বেশি কিছু অসুস্থ না সখিনার টেনশন বেশি ছিল ঘুমের সমস্যা সবকিছু লেগে থাকত। যেহেতু তার জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দিয়ে জীবনটা অতিবাহিত করতে লাগলেন তার এমন টেনশন হওয়ারই কথা অসুস্থ হওয়ারই কথা। আপনারা এর আগের পর্বগুলো যারা পড়েছেন বুঝতে পারবেন সখিনার জীবনের কাহিনী গুলো কত কষ্টের মধ্যে গেছে। এক সময় তার ছোট ছেলে দুবাইতে চলে যায়। সেই দুবাইতে চলে যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে শোনা যায় সেই ছোট ছেলে নাকি বিয়ে করে চলে গেছে।
এমন ঘটনা শোনার পরেই সখিনারমেজো ছেলে একদম রেগেমেগে অবস্থা খারাপ। কারণ সখিনার মেজো ছেলে চাইনি তার ছোট ভাই এমন একটা কান্ড করুক। কারণ তার ছোট ভাইকে সেই অনেক কষ্ট করে বড় করেছে। কিন্তু শেষমেষ সেই বিয়ে করার আগেই তার ছোট ভাই বিয়ে করে নিল এটা মেনে নিতে তার খুবই কষ্ট হয়েছিল। সখিনার ছোট ছেলে যে মেয়েকে বিয়ে করেছে সেই মেয়েটি একটি বিবাহিত মেয়ে ছিল। সে হয়তো কোন বিপদের মধ্যে পড়ে এমন একটি ঘটনা ঘটাই ফেলছে তাই সেই আগে প্রকাশ করেনি। যখন সেই বিদেশে পাড়ি দিল তখন ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে এবং জানা গেল তার সেখানে একটি ছেলে সন্তান ও রয়েছে।
এখন কথা হচ্ছে যে সখিনার সেই ছোট ছেলের বউকে ঘরে নিয়ে আসতে হবে। না হয় সখিনা তার ছোট ছেলেকে সেই একেবারে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলবে। সেই ছেলের বউয়ের বাড়িতে ঘর করবে এমন একটা কথা শুনা গেলো। তারা সবাই একমত হয়ে সবাই সিদ্ধান্ত নিল যে ওই বউকে ঘরে নিয়ে আসবে। তাই তারা সবাই মিলে ছোট ছেলের বউকে ঘরে নিয়ে আসলো। যখন সখিনার পরিবারের সব সন্তানেরা যেয়ে তার ছোট ছেলের বউকে ঘরে নিয়ে আসলো তখন ঘটনাটা অন্য রকমের হয়ে গেল। তখন তার মেজো ছেলে একদম নারাজ হয়ে গেল। সখিনার মেজো ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজনও নারাজ হয়ে গেল।
অর্থাৎ সখিনার ভাইয়ের বাড়ির লোকজন কিছুতে মেনে নিতে পারছিল না। এভাবে সখিনা এবং সখিনার সেই ছোট ছেলের বউ এবং নাতিকে নিয়ে কোন রকমের দিন অতিবাহিত করতে লাগলেন। সেই ছোট ছেলের বউ সখিনাকে অনেক বেশি আদর যত্ন করতে থাকলেন।
চলবে, আশা করি পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকবেন—------
লেখার উৎস | গ্রামের বাস্তব একটি গল্প |
---|---|
ইমেজ সোর্স | কেনভা দিয়ে তৈরি |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | গল্প লেখা |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1785206345400308211?t=zsT6E76I_pPrJQd8pa9CxA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit