আসসালামু আলাইকুম সবাইকে
আমি সামশুন নাহার হিরা @samhunnahar। আমি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং করতেছি সবার জনপ্রিয় জায়গা কক্সবাজার শহর থেকে। তো বন্ধুরা বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই নিজের মনের মতো করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী সবকিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসি সব সময়। আজকে আমি নতুন একটি টপিক্স আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ব্লগিং ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আসলে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়ে পড়ে দৈনন্দিন জীবনে। সেটা সংসারের ক্ষেত্রে কিংবা নিজের জন্য হোক। অথবা বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন পড়ে। তো শত চেষ্টা করি বের না হওয়ার চেষ্টা করলেও কিন্তু বের হতে হয়। কারণ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আমাদের জন্য খুবই দরকার হয়। তবে শপিং করতে আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাইরে যাওয়া খুবই কঠিন হয়ে যায়। কেন জানিনা খুব ঝামেলার মনে হয় নিজেকে। আগে অনেক বেশি কেনাকাটা করতাম। কিন্তু আজকাল বাচ্চাদেরকে নিয়ে বের হয়ে কেনাকাটা করাটা একদম বোরিং লাগে আমার কাছে।
কেন জানি একটার জন্য গেলে আরো দশটা জিনিস ক্রয় করতে হয়। সুতরাং প্রয়োজনীয় জিনিসের চেয়ে বেশি জিনিস কিনতে যাওয়ায় নিজের পকেটটা খালি হয়ে যায় হা হা হা। বুঝতেই তো পারছেন বাজেটের বাইরে কোন কিছু কিনতে গেলে নিজের পকেট খালি হওয়ারই কথা। তো কেউ চাইনা নিজের পকেট টা খালি করতে। একদিন চলে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করার জন্য। তবে তার মধ্যে আমার প্রথম টার্গেট ছিল আলাদা কিছু পায়জামার কাপড় নিবো। পায়জামা কাপড়গুলো তেমন একটা কেন হয় না। থ্রি পিস এর সাথে যেহেতু ম্যাচিং করা থাকে তাই আর তেমন কেনা হয়ে ওঠেনা। তবে কয়েকদিন পরলে যখন কালাটা একটু ধুসর হয়ে যায় তখন আর ভালই লাগে না।
তো সেদিন বের হয়েছিলাম কয়েকটা পায়জামার কাপড় কিনব বলে। তাছাড়া আরো অনেক কিছু কিনেছিলাম। বলতে পারেন যেগুলো বাজেটের বাইরে ছিল। একটা আমার পরিচিত দোকান আছে সেখানে চলে গেলাম দুই মেয়েকে নিয়ে। সেদিন ওদের বাবা বাসায় ছিল না তাই নিয়ে যেতে হল। তাছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমি বিকেল বেলায় বের হয়। তাই বিকেল বেলায় বের হলে ওদেরকে বাসায় একা রেখে যেতে ইচ্ছে করে না। যদি দিনের বেলায় বের হয় তাহলে মোবাইল একটা রেখে বাসায় আরেকটা নিয়ে হুট করে গিয়ে কাজটা করে আসতে পারি। তো সেদিন যখন গিয়েছিলাম তখন সাথে নিয়ে গেছিলাম। আমার প্রয়োজনীয় কাপড় গুলো কিনে নিলাম আগে। সেই সাথে চলে গেলাম স্টার প্লাস নামের আরেকটা শোরুমে।
এই শোরুমে দেশ-বিদেশী বেশ ভালো মানের জিনিস পাওয়া যায়। তবে দামেও অনেক বেশি বলতে হয়। কিন্তু জিনিস গুলোর মান অনেক ভালো তাই বলা যায়। একটা জিনিস ৫-৬ বছর ব্যবহার করলেও কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় না। প্রায় সময় আমার হাত ব্যাগ গুলো স্টার প্লাস থেকে নেওয়া হয়। অনেক ভালো লাগে লাস্টিং করে তাছাড়া কালার একদম গ্যারান্টি থাকে। যদিও একটা ব্যাগের কালার কিংবা গ্যারান্টি দিলেও ভালো থাকলেও ততদিন পরা হয় না। নিত্য নতুন জিনিস ক্রয় করতে বেশ ভালই লাগে। তো সেদিন বাচ্চাদের জন্য কিছু মাথার ব্যান্ড কিনেছিলাম। তাছাড়া আমার জন্য পছন্দের একটি লিপিস্টিক নিয়েছিলাম। আরো হাতের কিছু চুড়ি কিনেছিলাম। কেনাকাটা করার পরে দেখতেছি রাত ৯ টা বেজে গেল। তখন বাচ্চারা চিকেন খাবে বললো।
কিন্তু আমি প্রায় সময় এ জি ফুডের চিকেন গুলো খেয়ে থাকি। খুবই ভালো লাগে এ জি ফুডের চিকেন গুলো। কিন্তু এ জি ফুডের দোকান দেখি হঠাৎ বন্ধ করে ফেললো সেদিন। তো আরো দুই একটা দোকান দেখলাম সেগুলো বন্ধ ছিল। খুঁজতে খুঁজতে একটা দোকান পেয়ে গেলাম। তো দোকানের নাম ছিল এন সি। এটা তবে আমার জন্য প্রথম ছিল আমি কোনদিন যাই নি এন সি তে। যেহেতু বেশি রাত হয়ে যাচ্ছিল তাই আমি খাবার গুলো সেখানে না খেয়ে পার্সেল নিয়ে ছিলাম। পার্সেল নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে মুখ হাত ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বাচ্চাদেরকে খেতে দেওয়া হয়। তবে খাবার গুলো এত বেশি ভালো মানের ছিল না। যদিও বাচ্চাদের জন্য চিকেন বললেই ভালো মন্দ কিছুই বুঝে না। বেশ মজার করে খাওয়া দাওয়া করলো। এই হচ্ছে আমার আজকের ব্লগিং বন্ধুরা।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/4abnmd
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এজ জিনিসটা বোধ হয় কম-বেশি সবার সাথেই হয় যে, যা কেনার প্রয়োজনে মার্কেটে যাওয়া হয় তার চেয়ে অতিরিক্ত অন্যান্য জিনিসও কেনা হয়ে যায়। আর পকেটের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায় 😵💫। খুব কম মানুষ ই এটা কনট্রোল করতে পারে। আমিও সেই চেষ্টায় আছি, একটু সচেতন হয়ে চললে কন্ট্রোল করাও যায় আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম আপু বেশি যেন খরচ না হয় সেভাবে চলতে হবে আমাদের।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু এটা আমাদের কমন বিষয় একটা বললে আর একটা কিনা হয় না। আর বাচ্চাদের নিয়ে গেলে বোঝেনি তো পকেট একেবারে খালি হয়ে যায়।বারতি জিনিসের টাকা গুলো আমাদের দিতে হয়।যাইহোক আপু আপনি অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে কেনাকাটা মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু বের হয় একটার জন্য কিন্তু কিনতে হয় অনেক গুলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু আপনার মত আমারও বাচ্চা কে নিয়ে শপিং করতে ভালো লাগে না। একা একা যেতেই মনে হয় বেশি ভালো লাগে ।নিরিবিলি কেনাকাটা করা যায় ।বাচ্চাদের নিয়ে ঠিকঠাক মতো শপিং করা বেশ ঝামেলার মনে হয় ।তারপরে আপনি বেশ ভালই শপিং করলেন ।বাচ্চাদের নিয়ে চিকেন কিনে বাসায় নিয়ে এলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ।আর একটা জিনিস কেনার উদ্দেশ্যে গেলে কখনোই সেই একটা জিনিস কিনে বাড়ি ফেরা যায় না ।সঙ্গে আরো অনেকগুলো কিনতেই হবে।এটা নিয়ম হয়ে গিয়েছে। বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ ।আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন অনেক সময় গেছে আপু ওদের সাথে রাগ করে আমি কিছু না কিনে চলে এসেছি। এত বিরক্ত করে বলার মতই না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শপিং করতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। তবে গরমে শপিং করা কিছুটা কস্টকর। আর আপনি ঠিক বলেছেন শপিং করতে গেলে প্রয়োজনের বাহিরে অতিরিক্ত জিনিস কেনা হয়ে যায়। আর বাচ্চাদের নিয়ে শপিং এ যাওয়া মানেই তাদের পছন্দের জিনিস কেনা। সেই সাথে খাওয়া তো আছেই। শপিং করার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিশেষ করে আপু শীতকালে শপিং করতে খুবই ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাহাহা! আপু টাকা বাচাঁনোর ধান্দা 😁। ভাগ্নীদের নিয়ে গেলে ওটা সেটা নিতে তো চাইবেই, যেমনটা আমরাও ছোটবেলা চাইতাম মায়ের সাথে বাজারে গেলে 😁। না দিলে সোজা কান্না করে দিতাম। যাক, বেশ কিছু জিনিসপাতি কিনেছেন দেখছি, আসলে বেশি ভালো মানের জিনিস দাম বেশি হলেও সেটা টিকে বেশিদিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওদেরকে তো নিয়ে গেলেই আগে তাদেরকে কিনে দিয়ে তারপর আমার কিনতে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে কাকে বলেন এসব কথা? আমি তো শপিং এ গেলেই মনে হয় সব নিয়ে আসি। কেনা যেন শেষ হয় না। আর শপিং তো বরিং লাগবেই। আমরা তো এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। ডিসকোর্ড এর প্রতি একটি টান আছে না আমাদের। তো ভালোই তো কেনা কাটা করলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা হা হা খুব মজা পেলাম আপনার খুব সুন্দর কথা গুলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit