আমার বাংলা ব্লগ পরিবার,
সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগিং পর্বে। আশা করি বন্ধুরা আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি তবে একটু বেশি ভাল আছি আজকে তাই বলতে হয়। কারণ বেশ কিছুদিন গরমে অস্থির হয়ে গেছিলাম তাও আবার রমজানের দিন। কিন্তু গত রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে তবে বেশি বৃষ্টি না মাঝারি ধাঁচে হচ্ছে। পরিবেশটা ঠান্ডা ঠান্ডা বেশ ভালোই যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতের মাসে বৃষ্টি মানে অনেক কিছু। শুনেছি আমাদের গ্রাম অঞ্চলে নাকি ধানের জমিতে পানির অভাবে শুকিয়ে মাটি ফেটে গেছে। সৃষ্টিকর্তা চাইলেই সব কিছু সম্ভব। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে চাষের জমি গুলো ভিজে যাবে ধানের চারা গুলো নতুন ভাবে গজাবে বেশ ভালোই হবে। আমাদের সবাইকে সৃষ্টিকর্তার নিয়ামত স্বীকার করা উচিত। যাক বন্ধুরা অনেক কথাই বলে ফেলেছি এগুলো বলতে গেলে আসলেই অনেক লম্বা কথা হয়ে যাবে। আর কথা না বাড়িয়ে মূল টপিকসে ফিরে আসি।
আপনাদেরকে বেশ কয়েকটি পর্ব আমি শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজার পর্যটন মেলায় ঘোরঘুরি নিয়ে। বেশ ভালোই এনজয় করেছিলাম মেলায়। যেহেতু পর্যটন মেলাটি বিশেষ করে পর্যটকদেরকে কেন্দ্র করে হয় অনেক বেশি ডিসকাউন্টের সুযোগ দেওয়া হয় তাদের। পর্যটকদেরকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তাই অনেক ভিড় জমে যায় এই পর্যটক মেলার সময়। দেশের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে থেকে লোকজনের আগমন হয়। বেশ ভালই লাগে আমার কাছে পর্যটন মেলার পরিবেশটা। অনেক নতুন মানুষের মুখ দেখতে পাই এই মেলায়। আমি মূলত দুই থেকে তিনবার গেছিলাম। প্রথম যেদিন গেছিলাম সেদিন আমাকে মেয়েরা নাইট্রোজেন চিপস খাওয়ার জন্য আবদার করেছিল। আসলেই বিষয় টা আমার কাছে পছন্দ হয়নি।
কিন্তু আমার কাছে পছন্দ না হলে কি হবে? যারা ডিজিটাল জেনারেশন আছেন তারা তো সেখানে বেশি ভিড় জমিয়েছিল। তো সেখানে দেখতে পেলাম বিশেষ করে যারা ইয়াং যুবক যুবতীরা আছেন তারা গ্রুপ করে নাইট্রোজেন চিপস গুলো খাচ্ছেন আর ভিডিও এবং ফটোগ্রাফি নিচ্ছেন। সবাই অনেক বেশি মজা করতেছে সেখানে। কিন্তু আমার দুজন বাচ্চাকে আমি সামলাতে পারলাম না। এই চিপস খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেল। চিপস খেলে সাথে সাথে নাক দিয়ে মুখ দিয়ে অনেক ধোঁয়া বের হয় খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়। আসলে বিষয়টা আমার কাছে এত বেশি হেলদি মনে হয়নি। তাই আমি খেতে দিই নাই কিন্তু বাচ্চারা খুবই জোরাজুরি করছিল।
কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন ওদের বাবাকে নিয়ে মেলাতে ঘুরতে গেলাম হয়ে গেছে তখন বিপত্তি। কারণ উনি বাচ্চাদের অন্যায় আবদার গুলো বেশি পূরণ করে। আমরা মেলায় বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করছিলাম। ঘোরাঘুরি করার পরেই হোটেল মিডিয়ার সামনেই এই দোকানটি বসে ছিল। তো হেঁটে হেঁটে সেই দিকে গেছিলাম। অনেক কিছু দেখছিলাম অনেক কিছু কিনছিলাম। যেহেতু হোটেল মিডিয়ার এই রোড দিয়ে পুরো রোডের মধ্যে দোকানপাট বসেছিল। সেদিকে খাবারের দোকান ছিল হোটেল মিডিয়ার সামনে। তো হঠাৎ করেই মেয়েরা তার বাবাকে নিয়ে সেই নাইট্রোজেন চিপস খাওয়ার জন্য দোকানের হাজির।
আমি বললাম খেতে হবে না এগুলো ভালো হবে না। কিন্তু মেয়ের বাবারা বলে কি একটু খেলে সমস্যা হবে না খেয়ে দেখো তুমিও। তো একটা চিপস বক্স অর্ডার করলাম। আসলে সেখানে লাইন জমে গেছিল সবাই অনেক লম্বা করে লাইন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই সেখানে আড্ডা দিচ্ছে মজা করতেছে। ফটোগ্রাফি নিচ্ছে এবং ভিডিও নিচ্ছে এই অবস্থা। আর মাঝে মধ্যে দেখবেন যে কিছু উগ্র ভাবে চলাফেরা করে এমন ছেলে মেয়েরা থাকে। তাদের পোশাক আশাক দেখলে খুবই বেমানান মনে হয় আমার কাছে। তারাও সেখানে অনেক বেশি ভিড় করছিল। তারা খাওয়া-দাওয়া করে পেমেন্ট করে যাওয়ার পরেই আমি একটা অর্ডার করে নিলাম চিপস বক্স। আসলেই আমরা চারজন ছিলাম কিন্তু একটাই হবে না চিপস বক্স।
কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে আগে কি রকম খেয়ে দেখতে হবে। সেই জন্য একটা অর্ডার করি আগে। অর্ডার করার পরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। কিছুক্ষণ পরে আমাদেরকে হ্যান্ডওভার করে। কারণ অনেক জন ছিল আমাদের আগে। তো মুখে দিয়ে আসলে মুখটা বন্ধ করে দিতে হবে এই চিপস খাওয়ার সময়। তারপরে নাক দিয়ে ধোঁয়া গুলো বের করতে হবে সিস্টেমটা হচ্ছে এরকমই। যখন আমি মুখে দিলাম এত ঠান্ডা ছিল এত ঠান্ডা বলার মত না নাক দিয়ে ধোঁয়া গুলো বের হচ্ছিল। মুখটা বন্ধ করে দিলাম বেশ ইন্টারেস্টিং বিষয়। কিন্তু বাচ্চারা খেতে জানছিল না। কারণ তারা চিপস গুলো মুখে দিয়ে ঠান্ডা সেই জন্য হাঁ করে থাকছিল। সাথে সাথে ধোঁয়া গুলো চলে গেছিল আর নাক দিয়ে তেমন ধোঁয়া বের হয় নাই।
তবে আদিলা বেশ কিছুটা পারছিল খেতে। সিস্টেম টা জানা ছিল তার হা হা হা। আপনারা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারছেন বাচ্চাদের খাওয়ার সিস্টেম গুলো। আসলে এখানে তেমন কিছু ব্যাপার না। বিষয়টা হচ্ছে নাইট্রোজেন চিপস গুলো খেলে নাক দিয়ে ধোঁয়া বের হবে। একটু মজা করা যাবে এনজয় করা যাবে এটা হচ্ছে ব্যাপার। আর চিপস গুলো খেতে খুবই ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল। আপনারা যারা খেয়েছেন তারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন বিষয়টা কি রকম। তো একটা নাইট্রোজেন চিপস ১৭০ টাকা মেবি দাম নিয়েছিল আমাদের কাছ থেকে। আসলে মাঝে মধ্যে টাকাটা কোন বিষয় না। কারণ ব্যাপারটা হচ্ছে সবাই মিলে একটু আনন্দ করা এটা হচ্ছে বড় বিষয়। যেহেতু বাচ্চারা সান্ত্বনা পেল এই বিষয়টা নিয়ে।
মুহূর্তটি বেশ ভালোই কাটিয়েছিলাম আমরা সবাই মেলায় ঘুরে। সেই মুহূর্তটি ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। অবশেষে আপনাদের কাছে শেয়ার করা হয়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই বন্ধুরা সবাইকে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার পর্যটন মেলা |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়াটা মোটামুটি ঠান্ডা এবং বৃষ্টিও হয়েছে। এরকম আবহাওয়া ভালোই লাগে। যাই হোক আজকে আপনি পর্যটন মেলায় গিয়ে ভিন্ন ধরনের এই চিপস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। মূলত নাক দিয়ে ধোয়া বের হওয়ার এই বিষয়টার জন্যই এগুলো এতটা জনপ্রিয়। আর দামটাও মোটামুটি এরকমই থাকে। সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু গালের ভিতর ঢুকিয়ে দিলে যখন মুখটা বন্ধ করে দিবেন তখন দেখবেন যে নাক দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। খুব ইন্টারেস্টিং একটি বিষয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাবা রা এইরকমই হয়ে থাকে আপু। বাচ্চারা কিছু আবদার করলে কখনো ফিরিয়ে দেয় না। তাদের অবদার পূরণ করে। নাইট্রোজেন চিপস নামটা প্রথম শুনলাম। এবং বেশ ইন্টারেস্টিংও বটে। তবে যতটা জানতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে আমার মনে হয় না এটা স্বাস্থ্যকর কিছু। চিপস খাওয়ার পর ধোয়া বের হওয়া এটা মোটেই ভালো কিছু না। পর্যটক মেলায় পুরো পরিবার বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা মূলত নাইট্রোজেন গ্যাস মিক্স করার কারণে এমন ধোঁয়া বের হয়। তবে আমারও বিষয়টা ভালো লাগেনি। কিন্তু এনজয় করার জন্য এমন ধরনের খাবার জনপ্রিয় হয়ে গেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/nahar_hera/status/1770897963780280406?t=ZTAbo0NubWRpZBKxPvqwEQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রমজান মাসে কিছুদিন আবহাওয়া খুব ভালো যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে। তবে মেলাতে ঘুরতে গেলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। আর এসব মেলাগুলোতে সৌন্দর্য আলাদা ভাবে লক্ষ্য করা যায়। তবে আপু বাচ্চারা জড়াজড়ি করলে তাদের আবদার রাখতে হয়। তবে আপনি যে চিপসের কথা বলেছেন এই টিপস গুলো আমি আমাদের এদিকে দেখি নাই। সত্যিই অবাক করার বিষয় হচ্ছে চিপস গুলো খেতে অনেকের মুখ এবং নাক দিয়ে ধোঁয়া বের হইতেছে। আর বর্তমান সময়ে ইয়াং ছেলেমেয়েগুলো যেখানে সৌন্দর্য এবং মানুষ বেশি থাকে ওখানে বিট করে বেশি। যাইহোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া দিনগুলো বেশ ভালই যাচ্ছে ঠান্ডা ঠান্ডা। বর্তমান যুগের ইয়াং জেনারেশনরা কি করবে বুঝতেই পারে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পর্যটন মেলায় গিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ সেখানে গিয়ে একদম ভিন্ন ধরনের কিছু চিপস খেয়েছেন যা দেখে খুব খুশি হলাম৷ এই চিপসগুলো সাধারণত মোবাইলের মধ্যেই দেখা হয়েছিল৷ তবে কখনো বাস্তবে এগুলোর খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং এগুলো খাওয়া হয়নি৷ তবে আজকে যেভাবে আপনি এগুলো খাওয়ার একটি এই মুহূর্ত শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লেগেছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি খেয়েছি ভাইয়া বাচ্চাদের কাছ থেকে। তবে এতটা খেতে সুস্বাদু নয়। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে মুখে দিলে মুখ বন্ধ করলে নাক দিয়ে ধোঁয়া বের হয় এ বিষয়টা খুব বেশি এক্সাইটেড।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কলকাতার বড় বড় মেলা গুলোতেও দেখি এরকম নাইট্রোজেন চিপস বা নাইট্রোজেন বিস্কুট এর স্টল বসে। তবে আমার কোনদিনও তেমন কোন ইন্টারেস্ট হয়নি এই ব্যাপার নিয়ে। যাইহোক, আপনার বাচ্চারা যেহেতু আবদার করে ফেলেছে, সেক্ষেত্রে তো আর কিছু করার নেই আপু। তবে এখনকার ইয়াং জেনারেশন দেখছি এই ব্যাপারটাতে বেশ আগ্রহী, যে মুখ বন্ধ করে খাব, নাক দিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে যাবে। হা হা হা....🤭🤭
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলছেন দাদা ব্যাপার টা খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এখনকার সময়টাই এমন, হুট করেই অনেক কিছহ ভাইরাল হয়ে যায় আর সেটার পেছনে বিশাল একটা গ্রুপ ছুটতে থাকে আগে-পিছে কিছু না ভেবেই। এই নাইট্রোজেন চিপ্স বা স্মোকিং চিপ্স হচ্ছে তেমন ই একটা বিষয়। যেটা সলেই খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কিন্তু বড়রাই যেখানে বোঝে না, সেখানে ছোটদের কি আর এত সহজে মানানো যায়। তাই বাচ্চাদের আবদার মিটাতে এটার অভিজ্ঞতাও নিতে হলো আপনাদেরও। আশা করছি পরে খারাপ কোন প্রতিক্রিয়া হয় নি ওদের।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit