রেসিপি-"কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল"।।২৬.০৮.২০২২।।

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি সবাই অনেক অনেক ব্যস্তার মধ্যে ও ভাল আছেন এবং সুস্থ্য আছেন? আমি ও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি, সুস্থ্য আছি। শত ব্যস্ততার মাঝে সকলের সাথে সকলেই নতুন নতুন ব্লগিং নিয়ে হাজির হয় প্রতিদিন। বন্ধুরা আজ শুক্রবার অনেক বিজি ছিলাম। তাই ঠিম মত পোস্ট করতে পারিনাই। যখন ফ্রি হয় তখন লিখা শুরু করে দিলাম। প্রতিদিনের ন্যায় আজ ও হাজির হয়েছি আমার আজকের নতুন ব্লগিং নিয়ে।

আমার বাংলা ব্লগ এর বন্ধুরা আমি আজ শেয়ার করবো একটি রেসিপি। আমার আজকের রেসিপি হচ্ছে "কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল"। আমরা সবাই জানি ছোট মাছ হিসেবে কাচকি মাছ অনেক মজার একটি মাছ। কাচকি মাছ আমরা বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খেয়ে থাকি। ভুনা, ভাজা, ঝোল যে যায় করুক না কেন সবই রেসিপি। সব রেসিপি নিজ নিজ স্থান থেকে মজাদার। সেই আলোকে আমি আজ আপনাদের শেয়ার করবো কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল রান্না। আমি সচরাচর ঝোল একটু বেশি পছন্দ করি তাই ঝোল রেসিপি বেশি শেয়ার করি।

কচুর মুখীর স্বাদ তো আমরা সবাই জানি কি রকম। কচুর মুখী স্বাদে যেমন অতুলনীয় তেমনি গুণে ও ভরপুর। এক কথায় কচুর মুখীর গুণাবলী বলে শেষ করা যাবে না।এই কচুর মুখী কোন কিছুর সাথে এড করে যখন রান্না করা হয় তখন স্বাদ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আমার কাছে কচুর মুখীর যেকোন রেসিপি ভাল লাগে।তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি আমার মূল রেসিপিতে।

Add a heading.jpg

আমি রেসিপিতে যাওয়ার আগে উপকরণ গুলো নিয়ে দেখাবো


উপকরণ সমূহঃ


উপকরণ প্রণালীপরিমাণ সমূহ
কাচকি মাছ২৫০ গ্রাম
পেঁয়াজ২ টা
রসুন৩ কোয়া
কচুর মুখী২০০ গ্রাম
মরিচের গুঁড়া২ চামচ
হলুদ গুঁড়াদেড় চামচ
ধনিয়ার গুঁড়া২ চামচ
জিরা গুঁড়া১ চামচ
তেলপরিমাণ মত
লবণস্বাদমত


হ্যালো বন্ধুরা, আমি সব উপকরণ নিয়েছি এবার আমি রান্নার ধাপে চলে যাব।

ধাপ-০১



kaski mas.jpeg

প্রথমে আমি কচুর মুখী নিয়েছি। কচুর মুখী গুলোকে ভাল করে চামড়া ফেলে দিয়ে আমার পছন্দমত কেটে নিয়েছি। কেটে নেয়ার পর ভাল করে ধুয়ে নিয়েছি। ধুয়ে নেয়ার পর একটি পাত্রে পরিমাণ মত পানি নিয়ে তাতে কচুর মুখীগুলোকে ঢেলে দিয়ে দিয়েছি।হালকা করে সিদ্ধ করে নিয়েছি। হালকা সিদ্ধ করার পর অন্য একটা পাত্রে ঢেলে নিয়েছি।

ধাপ-০২



kaski mas1.jpeg

এই ধাপে এসে আমি মাছ গুলো আগে ময়লা ফেলে দিয়েছি। এরপর ভাল করে ধুয়ে নিয়েছি। সাথে নিয়েছি উপকরণ সমূহ। পেঁয়াজ, রসুন, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরা ও ধন্যা গুঁড়া আর লবণ নিয়েছি।

ধাপ-০৩



kaski mas2.jpeg

এখন আমি রান্নার জন্য একটি পাত্র নিয়ে চুলায় বসায় দিয়েছি। চুলার জাল মিডিয়াম আঁচে রেখেছি। পাত্রটি গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মত তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে আসলে তাতে পেঁয়াজ, রসুন ঢেলে দিয়েছি । পেঁয়াজ নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-০৪



kaski mas3.jpeg

এখন আমি পেঁয়াজের সাথে মরিচের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধন্যা গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দিয়েছি। ভাল করে মিক্স করে নিয়েছি। মিক্স করার পর হালকা করে পানি ঢেলে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-০৫


kaski mas4.jpeg

এখন আমি কষা মসলার মধ্যে মাছ ঢেলে দিয়েছি। মাছের সাথে কচুর মুখী দিয়ে দিয়েছি। ভাল করে মিক্স করে নিয়েছি। হালকা করে কষিয়ে নিয়েছি ।

ধাপ-০৬



kaski mas5.jpeg

কষিয়ে নেয়া হয়ে গেলে পরিমাণ মত পানি ঢেলে দিয়েছি। মাছ আর কচুর মুখী ভাল করে সিদ্ধ না হওয়া অবধি সিদ্ধ করে নিবো।
কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছ রান্না হয়ে এসেছে। এখন পরিবশনের পর্যায়।

ধাপ-০৭



kaski mas6.jpeg

এখন আমি একটা পাত্রে কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছ রান্না নিয়ে দেখাচ্ছি কি রকম দেখতে হয়েছে। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ এর বন্ধুরা আশা করি আমার রেসিপি আপনাদের ভাল লাগবে। কেমন হয়েছে মতামত দিয়ে জানালে খুশি হবো আর নিজেকে ধন্য মনে করবো।

আমি আমার রেসিপিতে ব্যবহার করা সব তথ্য আমি নিজের থেকে লিখেছি এবং সব ছবি আমার নিজের মোবাইল দিয়ে করেছি।


নিম্নে ছবির বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ

ক্যাটাগরিফটোগ্রাফি
ডিভাইসWiko,T3
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
মডেলW-V770
লোকেশননিজ বাসায়, কক্সবাজার

logo1.png

হ্যালো বন্ধুরা, আমি আজকের মত আমার লেখা এখানেই শেষ করতেছি। আবার আর একটি নতুন ব্লগিং নিয়ে হাজির হবো
আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অন্য আর একদিন। সবাই সুস্থ্য থাকবেন আর ভাল থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা রইলো।

logo1.png

ধন্যবাদ সবাইকে


আমি সামশুন নাহার হিরা

@samhunnahar
আমি বাংলায় লিখতে, পড়তে ভালবাসি।
আমি আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালবাসি।
আমি আমার প্রাণের ভাষা বাংলাকে
অনেক অনেক ভালবাসি।

Banner2.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কাচকি মাছের সুস্বাদু লোভনীয় এবং মজাদার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন কচুর মুখী দিয়ে।। যদিও এই মাছ চুড়চুড়ি খেতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।। আপনার আজকে ভিন্নভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করা দেখে এমনভাবে প্রস্তুত করতে খুব আগ্রহ হচ্ছে।। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজাদার হয়েছিল।।

আপনি খুব সুন্দর করে সাবলীল ভাবে মতামত দিয়েছেন তা আমার খুব ভাল লেগেছে।

কচুর মুখি দিয়ে কাচকি মাছের খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। কচুর মুখি দিয়ে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে তা আমি খুবই পছন্দ করি। আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে কাচকি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর ভাবে রেসিপিটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

ভাইয়া কচুর মুখি দিয়ে যেকোন রেসিপি করলে সত্যি ভাল লাগে আপনি ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাহ্ বেশ মজাদার একটি রেসিপি আজ আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম তা হলো কচুরমুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল। আসলে ঠিকই বলেছেন আপু, কচুরমুখী দিয়ে কোন রেসিপি তৈরি করলে তার স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া কচুরমুখী দেহের জন্য খুবই উপকারী। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে ও অসংখ্যা ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল রেসিপি বাহ্ দারুন হয়েছে। আসলে কাচকি মাছ খেতে অনেক মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপি দেখার জন্য।

অনেক চমৎকার উপস্থাপনা, এমনিতেই কচুর মুখি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার তার সাথে কাচকি মাছ অনেক চমৎকার টেস্ট হয়েছে মনে হচ্ছ, ধন্যবাদ আপনাকে।

কচুর মুখি দেখছি আপনারও প্রিয় একটি খাবার। সত্যি খেতে অনেক মজার হয়েছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া।

কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল আগে কখনো দেখিনি এবং কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন দেখলাম এই রেসিপিটি। একদিন বাসায় তৈরি করে দেখতে হবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

আপু খেতে আমার ভাল লেগেছে। আপনি করে খেতে পারেন। ধন্যবাদ আপু পোস্ট দেখে মতামত দেয়ার জন্য।

কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কচুর মুখে দিয়ে কাচকি মাছের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু আসলেই নিজে নিজে যে টা করি আমরা সবাই সেটাই রেসিপি। আমি কচুর মুখি দিয়ে প্রথম রান্না করেছি খেতে ভাল লেগেছে।

কচুর মুখি দিয়ে খুব সুন্দর করে কাচকি মাছের ঝোলের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে ভালো লাগলো। এরকম রেসিপি গুলো অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। খুব সুন্দর করে আমাদের সামনে উপস্থাপনা করেছেন আপু আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনি খুব সুন্দর মতামত দিয়েছেন ভাইয়া,সত্যি আপনি সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন।শুভকামনা রইলো।

আপনি খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং হয়েছে আপনার এই রেসিপিটি। আপনার কচুর মুখী দিয়ে কাজ কি মাছের ঝোল রেসিপি দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করতেছে। লোভ লাগিয়ে দিলেন এই রেসিপিটি দেখে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে জেনে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া

কচুর মুখি দিয়ে মাছের ঝোল করেছেন। এরকম ঝোল রেসিপি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আর এগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

হ্যা ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন এই রকম মাছের ঝোল খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমার কাছে কাচকি মাছ কড়া করে ভেজে গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। কচুর মুখি দিয়ে এভাবে কখনো কাচকি মাছ রান্না করা হয়নি।আপনার রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একদিন তৈরি করে দেখতে হবে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু এই রেসিপি আমি নিজে থেকে করেছি। এই রেসিপি খেতে অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।

কাচকি মাছ আমরা অনেক রকম ভাবেই খেয়ে থাকি আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন কিন্তু আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে আলু এবং বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি করলে। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই জিভে জল এসে গেল আপু। উপস্থাপনা অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

বেগুন ও আলুর চ্চড়ি খেতে আমার ও ভাল লাগে। কিন্তু কচুর মুখি দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল ও মজার লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপু আমি সব সময় চিংড়ি মাছ অথবা ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর মুখি রান্না করে খেয়েছি। কখনো কাচকি মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি। তাই কাচকি মাছ দিয়েখেতে কেমন জানিনা। কিন্তু আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে-বেশ ভালো হয়েছে আপু।

কাচকি মাছ দিয়ে ও খেতে মজা হয়। রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন ভাল লাগবে।

কচুর মুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। খুব লোভনীয় পোস্ট। রিসিভের কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করুন।

কচুর মুখি দিয়ে রান্না অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু

আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কচু মুখী দিয়ে কাচকি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন

ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।