প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানিয়ে আমি আমার আজকের ব্লগ শেয়ার করতে প্রস্তুত হয়েছি। আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই ভালো আছেন পরিবার পরিজনকে নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা ব্যস্ততম দিনে কোনদিন একটু ফ্রি থাকি আবার কোনদিন অনেক বেশি ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আজকেও ঠিক তেমনি হয়েছে সকাল থেকে আজকে ব্যস্ততা বেড়ে গেল। বিশেষ করে বের হয়েছিলাম একটু বাচ্চাদেরকে নিয়ে মার্কেটে। কিছু কেনাকাটা করার জন্য বের হয়েছিলাম। যেহেতু কেনাকাটার বিষয় সহজেই মার্কেট থেকে বের হওয়া যায় না এটা ওটার দরকার হয়ে পড়ে। আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে সহজে কেনাকাটা শেষ হয়ে যায় না। অবশেষে দুপুরের পরে বাসায় ফিরলাম।

যেহেতু দুপুরের পরেই ফিরেছি খাওয়া-দাওয়ার বিষয় রয়েছে। অবশেষে খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট নিলাম আর কিছু কাজ ছিল সেগুলো করে নিলাম। সবকিছু শেষেই আপনাদের সাথে উপস্থিত হয়েছি ব্লগ শেয়ার করার জন্য। আপনারা শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন বন্ধুরা আমি আজকে কি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে ব্লগ শেয়ার করব। হ্যাঁ অবশ্যই দেখে বুঝতে পারছেন বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সাথে একটি কেনাকাটার মুহূর্ত শেয়ার করব। মানুষের প্রয়োজনীয়তার শেষ নেই। একটি চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে আবার নতুন করে আরো চাহিদার সৃষ্টি হয়। কারণে-অকারণে অনেক কিছুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি আমরা। বন্ধুরা এমন কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো অবশ্যই কিনতে হয়, না কিনলে হয় না। আবার এমন কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো কিনলেও সমস্যা নাই আবার নাকেলেও কোন সমস্যা নেই।

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব স্বপ্ন শোরুম থেকে কেনাকাটা করার একটি মুহূর্ত। বেশ কিছুদিন আগে স্বপ্ন শোরুমে গেছিলাম কেনাকাটার জন্য। বুঝতেই তো পারছেন আসলেই অনেক কিছু প্রয়োজন হয়ে পড়ে অনিচ্ছে থাকার সত্বেও। স্বপ্ন শোরুমে গেছিলাম বাচ্চাদের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্য। তবে সেখানে গেলে অনেক কিছু প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি আমরা। কারণ এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো আমাদের জন্য খুবই দরকারী। কিন্তু চোখের সামনে পড়লেই আমাদের মনে পড়ে, না হয় মনে পড়ে না। সেজন্য সেখান থেকে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছিলাম। বিশেষ করে বাচ্চারা সেখান থেকে বেশ কিছু খেলনা কিনেছিল। আর বিশেষ করে গিফটের আইটেম কিনেছিলাম আমরা।

তাছাড়া এখানে যেয়ে বুঝতে পারলাম যে আসলে আমার আরো কিছু কিনতে হবে। যেহেতু অনেক ঠান্ডা এখন ভাবছিলাম কিচেন গ্লাভস কিনব। শুধু যে ঠান্ডার জন্য নয় বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তা করছিলাম রান্না ঘরে যেহেতু কাজ করা হয় তাই গ্লাভস পড়ে কাজ করলে বেশ ভালো হয়। গ্লাভস পরে কাজ করলে অনেক সময় হাতের এলার্জির সমস্যা হয় না।আবার গ্লাভাস পরে কাজ করলে অনেক সময় দেখা যায় যে এমন কিছু জিনিস আছে যা হাতে ধরতে ইচ্ছা করে না সেগুলো করা যায়। বিশেষ করে আমরা যখন মাছ কাটাকাটি করি অথবা মাছ পরিষ্কার করি তখন হাতে অনেক বেশি গন্ধ লেগে থাকে। মাছের গন্ধ গুলো সহজে দূর করা যায় না। কিন্তু যদিও মাছ আমরা বাজার থেকে কেটে আনি কিন্তু ঘরে যখন আমরা পরিষ্কার করতে যাই মাছের গন্ধ হাতে লেগে থাকে বারবার সাবান দিয়ে ধুলেও যায় না।

তো চিন্তা করছিলাম বের হলেই হাতের জন্য গ্লাভস কিনব। তাই স্বপ্ন শোরুম থেকে বেশ ভালো মানের সেদিন গ্লাভস কিনেছিলাম একজোড়া দুই হাতের জন্য। যখন বাসায় এসে হাতে পরলাম বেশ ভালই লাগছিল। তাছাড়া এখন শীতের দিনে যখন রান্নাঘরের কাজ করতে হয় হাতে একদম ঠান্ডা লাগে না। বিশেষ করে গ্লাভস গুলো মোটা টাইপের ছিল তাই পড়তেও আরাম পেয়েছিলাম। আর গ্লাভস পরে কাজ করলে হাতের মধ্যে ময়লা ধরে না রান্নার তালা-বাসন দোয়ার সময়। এছাড়াও আমি আরো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস এখান থেকে কেনাকাটা করছিলাম। স্বপ্ন শোরুমে প্রবেশ করলে মনটা একদম শান্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে সেখানে একদম বোরিং লাগে না। আমি সেখান থেকে আরো কিছু রান্না ঘরের জিনিসপত্র কিনেছিলাম। সেই সাথে বাচ্চারা বেশ কিছু স্টিকার নিয়েছিল তাদেরকে খেলা করার জন্য।

তাছাড়া ও সেইদিন আদিলা’র জন্মদিন ছিল তাকে গিফট করার জন্য মেয়ের বাবা এবং তার ছোট বোন বেশ কিছু আইটেম ক্রয় করেছিল। আমরা যখন বিল করতে যাই অনেকগুলো টাকা চলে আসে। একটা কথা না বললে নয় তা হচ্ছে স্বপ্ন শোরুমের জিনিসগুলো ভালো মানের হলেও তারা প্রচুর পরিমাণ দাম নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে সেখানে ভ্যাট যোগ করার কারণে আরো অনেক বেশি দাম হয়ে যায়। যাক যেহেতু আমরা গেছি আগেও অনেক কেনাকাটা করেছি সেই মার্কেট সম্পর্কে আমাদের ভালো আইডি আছে। যেহেতু জিনিস গুলো ভালো পাওয়া যায় তাই সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি। আর অনেক সময় দেখা যায় যে বাইরে যে জিনিসগুলো পাওয়া যায় না সেখানে গেলেই পাওয়া যায়। তাই সেজন্য অনেক দূর থেকে আমরা গেছিলাম স্বপ্ন শোরুমে।

কক্সবাজারে স্বপ্ন শোরুমের দু’তিনটে শাখা রয়েছে। আমরা গেছিলাম একদম সুগন্ধা পয়েন্টের দিকে শোরুমে। অবশেষে আমরা টাকাগুলো তাদেরকে পেইড করে চলে আসি আমাদের গন্তব্যস্থলে। সেই দিন আমি যখন কেনাকাটা করছিলাম বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে আজকে আমি আমার মনের অনুভূতিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আশা করি বন্ধুরা আপনাদের পড়ে বেশ ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।