সবাইকে শুভ সকাল,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা। প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আমি বেশ ভালোই আছি দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছে ব্যস্ততার মধ্যেই। গতকাল তো আমরা প্রথম রোজা এবং প্রথম ইফতারি করলাম। আজকে রোজার দ্বিতীয় দিন হয়ে গেল। হয়তো দেখবেন এভাবে দেখতে দেখতে রোজা শেষ হয়ে গেছে। মানুষের জীবন থেকে হায়াত গুলো কিভাবে চলে যাচ্ছে আমরা টেরও পাচ্ছিনা। এই তো কিছুদিন আগে রমজান মাস চলে গেছিল। হঠাৎ আবার রমজান মাস চলে আসলো। সব কিছু মানিয়ে নিয়ে আমাদেরকে চলতে হচ্ছে। হয়তো একদিন এভাবে আমাদের জীবনটাও শেষ হয়ে যাবে। একদিন এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে। যাক বন্ধুরা অনেক কথাই বলে ফেলেছি এবার মূল টপিক্সে ফিরেআসি।
কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজার বৌদ্ধ মন্দিরে ঘোরাঘুরির কিছু সময়। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মন্দিরের ভিতরে নতুন একটি মন্দির স্থাপন করা হয়েছে সেখানে ঘোরাঘুরি করেছি। বৌদ্ধরা আমাদের কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিশেষ করে মহেশখালীতে অনেক বেশি আছে। এছাড়াও আমাদের কক্সবাজারের চৌফলদন্ডি এলাকাতে অনেক বসবাস তাদের। তাছাড়াও কক্সবাজার মেইন শহরে তাদের অনেক বেশি বসবাস। বলতে পারেন আমাদের এই কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দারবান ও মহেশখালী সব জায়গায় তাদের বসবাস অনেক বেশি।
তাদের বড় বড় উৎসব গুলোতে বিশেষ করে মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরে উৎসব করে থাকেন। এছাড়াও পানি খেলা উৎসব এবং অন্যান্য উৎসব কক্সবাজারের মন্দিরে করে থাকেন। তবে বলতে পারেন এই দুইটি মন্দির খুবই জনপ্রিয় বৌদ্ধদের জন্য। শুধু বৌদ্ধদের নয় পাশাপাশি আমাদের অন্যান্য ধর্মালম্বী লোকজনও এই মন্দির গুলো ভ্রমন করে থাকেন। এই মন্দির গুলো নিয়ে অনেক পুরনো ইতিহাস রয়েছে। চেষ্টা করব একদিন আমি এই কক্সবাজারের বৌদ্ধ মন্দির এবং মহেশখালী আদিনাথ মন্দির সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
সেদিন যখন বাচ্চাদেরকে নিয়ে বৌদ্ধ মন্দিরে ভ্রমণ করতে গেছিলাম তখন প্রথমে পুরাতন মন্দিরটা আমরা দেখছিলাম ঘুরে ঘুরে। পুরাতন মন্দিরে বেশ কিছু সময় ঘোরাফেরা করি। কারণ পুরাতন মন্দিরটাও দারুন ছিল। বৌদ্ধ মন্দিরের ডিজাইন গুলো খুবই ভালো লাগে। যেহেতু দ্বিতীয় তলা সিস্টেমের কাঠ দিয়ে তৈরি করা বেশ দারুন ছিল। যদিও বিশেষ কোনো উৎসব ছাড়া মন্দিরগুলোতে খুব নিরবতা পালন করে থাকেন। কারণ তাদের বড় উৎসবের সময় এখানে অনেক বেশি ভিড় করে বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষজন। তবে কিছু কিছু পর্যটকরা আসেন ঘোরাফেরা করতে।
তো আমরা পুরাতন মন্দির দেখতে দেখতে সোজা চলে গেলাম নতুন মন্দিরের দিকে। নতুন মন্দির দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেছি কারণ এত চমৎকার ভাবে তারা ভাস্কর্যগুলো করেছেন এবং মন্দিরের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের নকশা দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন অনেক ভালো লাগছিল দেখে। বিশেষ করে মন্দিরের ভিতরের কালারটা খুবই সুন্দর ছিল। তারা গোল্ডেন কালারের এত সুন্দর করে কালারিং করেছে। তাছাড়া ভিতরে অনেক ধরনের জিনিসপত্র ছিল মন্দিরের।
আমার কাছে সব চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তাদের মন্দিরের ভেতরের ডিজাইন গুলো। এত সুন্দর করে লাইটিং করে রাখা হয়েছে এবং কালারটা এত চমৎকার হয়েছে। মাঝে মাঝে ওয়ালের মধ্যে নকশাগুলো দেখে ভালো লাগছিল। আপনারা তো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারছেন তাদের মন্দিরের ডিজাইন গুলো কি রকম সুন্দর দেখাচ্ছে। বৌদ্ধ মন্দিরের সামনের ডিজাইন গুলো আরও ভালো লাগে দেখতে। বাচ্চারা তো খুবই আনন্দিত তারা দেখতে পেয়ে। আসলে তারা হচ্ছে আনন্দে নেওয়ার মানুষ ছোট বাচ্চারা। যখন যে পরিবেশে যাবে যখন সুন্দর কিছু দেখবে তখন তারা অনেক বেশি আনন্দিত হয়।
যেহেতু এত সুন্দর একটি জায়গা ছিল আমি আর দেরি করি নাই বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। আপনারা তো বুঝতেই পারছেন ফটোগ্রাফি করার মানেটা কি। কারণ আগে এত ফটোগ্রাফির গুরুত্ব বুঝতাম না। এখন তো প্রতিটি নিঃশ্বাসেই ফটোগ্রাফি আর ফটোগ্রাফির কথা সব সময় স্মরণ করি হা হা হা। আর দেরি না করে এদিক ওদিক বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম নতুন মন্দিরের। সেই সাথে বাচ্চারা অনেকক্ষণ সময় ধরে খেলাধুলা করে সেখানে।
আমিও চারপাশের দৃশ্য গুলো উপভোগ করেছিলাম। যেহেতু বিকেল হয়েছিল চারপাশ থেকে বাচ্চারা বের হয়েছিল খেলাধুলা করার জন্য। আমি বাচ্চাদেরকে আরও কিছুক্ষণ সময় দেওয়ার পরে তাদেরকে বললাম চলে যাওয়ার জন্য। যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে আসছিল মেয়ের আবার কোচিং ছিল মেয়ের ম্যাডামের কাছে। আমি বললাম চলে যাই। যেহেতু এক জায়গায় জুতা গুলো রেখে দিয়েছিলাম। জুতাগুলো হাতে নিয়ে সবাই আমরা আবারও মন্দির থেকে বের হয়ে গেলাম।
মন্দির থেকে বের হওয়ার পরে সবাই জুতা গুলো পড়ে নিয়ে একটা অটো নিলাম। অটো নেওয়ার পরে সোজা বাসায় চলে আসলাম। এই হচ্ছে কক্সবাজার বৌদ্ধ মন্দিরে ঘোরাঘুরি মুহূর্ত গুলো। আশা করি আপনাদের কাছে বেশ ভালই লাগবে বন্ধুরা। মাঝে মাঝে চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু জায়গায় ঘোরাঘুরি করার। সেই বিষয় গুলো চেষ্টা করি আপনাদের সাথে শেয়ার করার। সময় দিয়ে দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | বৌদ্ধ মন্দির কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বেশ কিছুদিন আগে আমরা আপনার পোস্টের মাধ্যমে কক্সবাজার বৌদ্ধ মন্দিরে ঘোরাঘুরির কিছু মূহূর্ত দেখতে পারছিলাম। আজকে আপনি আমাদের মাঝে বৌদ্ধ মন্দিরের ভিতরে নতুন একটি মন্দির এর কিছু সৌন্দর্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে এই প্রাচীন মন্দির গুলো আমার দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আগের শিল্পীরা প্রাচীন মন্দির গুলো খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করেছিলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখানে দুইটা মন্দির ছিল একটা হচ্ছে কাঠের অন্যটি হচ্ছে ইট দিয়ে করা। আজকে আমি যেটা শেয়ার করেছি সেটা হচ্ছে ইদানিং করা হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বাংলাদেশের কক্সবাজারে যেতে আমার খুব ইচ্ছা হয়। কারণ এই কক্সবাজার হল এশিয়ার মধ্যে সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত। আর এই সমুদ্র সৈকতে আমার অনেক দিন যাওয়ার ইচ্ছা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চলে আসেন দাদা একদম সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি আছি। আর আসলে বোনকে একটু বলবেন অনেক ভালো লাগবে। দিন দিন আমাদের কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বেড়েই চলছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা এটা ঠিক সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না ৷ তাই তো সময়ের সাথে নিজেকে উসর্গ করা উচিত ৷ কিছুদিন আগে বৌদ্ধ মন্দিরে ঘোরাঘুরি করার একটা পোষ্ট পরেছিলাম ৷ আজকে তারই আরেকটি নতুন মন্দির ঘোরাঘুরি করার অনুভুতি শেয়ার করলেন ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক নীরব আর শান্ত নিরবতা পরিবেশের ৷ ধর্ম একক হলেও উৎসব গুলো সবার সেটা যে কোনো ধর্মের হোক না কেন ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অনেক চমৎকার একটি ব্লগ উপস্থাপনা করার জন্য ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বুঝতে পারছেন পরিবেশটা খুবই নিরব ছিল। তবে ভালো লাগে সেখানে ঘোরাঘুরি করতে এমন নীরব পরিবেশে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কক্সবাজার বৌদ্ধ মন্দিরে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। সত্যি আপু আমিও আগে ফটোগ্রাফি করার মর্ম বুঝতাম না। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি এর মাধ্যমে কক্সবাজার বৌদ্ধ মন্দিরে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে এভাবে ঘুরলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনারা বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাইরে গেলে সব সময় মাথায় থাকে আপু ফটোগ্রাফি গুলো করার হি হি হি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/nahar_hera/status/1767943798485926118?t=nd7hsK6PzrFYAgtweY0_nQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছুদিন আগেই কক্সবাজার যাওয়া হয়েছিল৷ তবে এই মন্দিরে কখনো যাওয়া হয়নি৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এই মন্দির সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি৷ সবগুলো ফটোগ্রাফি একটি থেকে একটি অসাধারণ হয়েছে৷ এই স্থানে যা কিছু ছিল তা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরেকবার ঘুরতে আসলে দেখবেন আর কি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit