সত্য ঘটনা অবলম্বনে:- 😥গ্রামের পুকুরে যুবককে জিনে ধরা -অবশেষে মৃত্যুবরণ!!😢

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা!!

আসসালামুয়ালাইকুম/নমস্কার!!


আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আজ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করব।আমি যে পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা হচ্ছে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে।আমি যে ঘটনাটি শেয়ার করব সেটা কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি বাস্তব ঘটনা।আমি শেয়ার করব বলে করা হয়নি।তো আমি মনে করলাম যে বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করলে হয়তো একটু ভালো লাগবে।বন্ধুরা বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল কথায় চলে আসি।

জিনে ধরা -অবশেষে মৃত্যুবরণ



vecteezy_asian-miserable-depressed-man-sitting-and-sobbing-alone-in_8927553_439.jpg
free image location

আপনারা হয়তো সবাই জানেন না আমার শশুর বাড়ি হচ্ছে মহেশখালীতে।মহেশখালী হচ্ছে কক্সবাজার থেকে আলাদা একটি উপজেলা।আর আমার জন্মস্থান হচ্ছে কক্সবাজার উপজেলায়।আমার বেড়ে ওঠা হচ্ছে কক্সবাজার শহরে।বর্তমানে ফ্যামিলি সহ কক্সবাজারে বসবাস করি।কিন্তু মাঝে মাঝে ঈদ উপলক্ষে অথবা কোন অনুষ্ঠান থাকলে মহেশখালীতে যাওয়া হয়।এছাড়াও বাচ্চারা যেতে চাই তাই মাঝেমধ্যে যেয়ে ঘুরে আসি।তো আমার কথা হচ্ছে মহেশখালীতে আমাদের এক ভাতিজা মসজিদের ইমামতি করেন। উনার নাম হচ্ছে সাইফুল ইসলাম।আমাদের ভাতিজা সাইফুল একজন বড় আলেম।কোরআনে হাফেজ।সেই একটা মসজিদে বড় খতিবের দায়িত্বে আছেন এবং নামাজ পড়াই মসজিদে।

একদিন সন্ধ্যাবেলা যখন মাগরিবের আজান হয় তখন মসজিদের পুকুরে অজু করতে যাই সাইফুল।সেই সময় মসজিদে কিছু মেরামতের কাজ চলছিল।মসজিদের মেরামতের কাজে যে যুবকেরা কাজ করছিল আজান হওয়ার সাথে সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়ে গোসল করে নামাজের জন্য তৈরি হচ্ছিল।কাজের লোক গুলো মসজিদের পুকুরে গোসল করতে নামে।সেখান থেকে সবাই চলে আসে গোসল করে।কিন্তু এক যুবক থেকে যায় পুকুরে।ঘটনা হচ্ছে সাইফুল যখন অজু করতে পুকুরে নামে তখন দেখছিল দুইটা হাত নাড়া দিচ্ছে।ওই যুবককে জিনে ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।এখন সাইফুল যখন চিৎকার করা শুরু করলো মসজিদের আশেপাশের মানুষ এসে জড়ো হতে লাগলো।তখন ওই যুবককে বাঁচানোর জন্য কেউ পুকুরে নামতে চাইল না ভয়ে।শুনেছি এই পুকুরে নাকি খারাপ জিন আছে।কিন্তু কেউ যখন পুকুরে নামতে চাইল না শেষ পর্যন্ত সাইফুল পুকুরে লাফ দিল।

পুকুরে নামার পরে সাথে সাথে সাইফুল সহ ওই যুবককে নিয়ে টেনে পানির ভিতর নিয়ে যাচ্ছিলো। দুইজনের এই পরিস্থিতি দেখে গ্রামের লোকজন পুকুরে নেমে যায়।গ্রামের লোকজন পুকুর থেকে নেমে তারা দুই জনকে উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসে।কিন্তু উপরে নিয়ে আসলে কি হবে বেচারা ওই যুবককে বাঁচাতে পারলো না।তাৎক্ষণিক পানিতে থাকা অবস্থায় জিনে নাকি গলা টিপে যুবককে মেরে ফেললো।সাথে সাথে নাক দিয়ে একদম টাটকা রক্ত বের হচ্ছিল তখন।জিনের মেইন টার্গেট ছিল সাইফুল কে মেরে ফেলার।সেই মুহূর্তে সাইফুলের কোন হুশ ছিলোনা।সবাই তাকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে গেল।কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কি হবে তার জ্ঞান ফিরল না।

শেষ পর্যন্ত সবাই বিচার বিশ্লেষণ করে কতগুলা বড় হুজুর এনে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে আবার সুস্থ করে তুলল। কিন্তু বেচারা যুবকের অসহায় ফ্যামিলির আর্তনাত কান্নার শেষ ছিল না।শুনেছি ছেলেটি তার পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।এই ঘটনা থেকেই আমি যা বুঝতে পারলাম আসলে জিনের উপস্থিতি আছে এখনো। ঘটনাচক্রে এখন ঘনবসতি হয়ে গেছে তাই মানুষের ক্ষতি করতে তারা সুযোগ পায় না। সময় সুযোগ পেলেই ঠিক ক্ষতি করে দেয়।আশা করি আমার আজকের এই পোস্ট পড়ে সবাই সচেতন হবেন।একা কেউ পুকুরে নামবেন না বিশেষ করে সন্ধ্যা বেলায় মাগরিবের সময় অনেক খারাপের সময়।

আশা করি আমার আজকের ঘটনাটি পড়ে আপনাদের একটু হলেও খারাপ লেগেছে।ঘটনাটি একদম বাস্তব ছিল দুই সপ্তাহ আগের ঘটনা।আমপনাদের সাথে শেয়ার করার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনারা সবাই একটু সচেতন থাকবেন।কারণ বিপদ কখনো বলে আসেনা হঠাৎ করে ঘটে যায়।সবাই সাবধানে থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।আমার লেখায় কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1EqvbrjgRdc5s6T9umzbL9VGyFMV1GTAjUNHXz6UDut1kDFHrDWW6fW7z6g8Vqyyq6TNVrgRrZQEfksKN58VZbGvwqqs6hGWSR4gmyvNbEskZuS2e2WwbmQj5usbJmnoL7N28b9Shb96kS7qVP9casm9gvHMxzWMV8WKCGGzpAhbnebihnoFC2X1Htavqss.png

🌷আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🌷

সামশুন নহার হিরা

@samhunnahar

New_Benner_ABB-66.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সবার মুখে জিনের অস্তিত্বের কথা শুনি। কিন্তু কখনো স্বচক্ষে দেখা হয়নি, আর দেখতেও চাই না বা বা হ!! যাইহোক লোকটির জন্য বেশ খারাপ লাগলো। কিন্তু ওই পুকুরে কি আছে সেটা আসলে সবার তদন্ত করা উচিত। তারপরেও সাইফুল যে সাহস করে লোকটাকে বাঁচাতে গেল বেশ ভালো লাগলো জিনিস টি।

হ্যাঁ আপু সবাই বলতেছে পুকুরে নাকি জিন আছে।অনেক খারাপ একটা জিনিস আছে শুনেছি।

আপনার আজকের এই গল্প পড়ে বুঝতে পারলাম যে সুযোগ পেলেই জ্বীন মানুষের ক্ষতি করে। সেই যুবকটির কথা শুনে ভীষণ খারাপ লাগলো যে আর এই পৃথিবীতে বেঁচে নেই। গ্রামের কেউ না নামাতে সাইফুল সেই ছেলেটিকে বাঁচানোর জন্য নিজেই পুকুরে ঝাপ দিল। বিষয়টি খুবই ভালো ছিলো এমনিতে। আপনি আমাদেরকে সচেতন করে দিয়েছেন খুবই ভালো করেছেন। এরকম অনেক প্রস্তুত হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়। যেমন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজকে সেই যুবক এবং সাইফুলের কথা জানতে পারলাম। খুবই ভালো লিখেছেন।

হ্যাঁ ভাইয়া সাইফুল নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুবককে বাঁচানোর জন্য লাফ দিয়েছিল।

বেচারা যুবকটির জন্য অনেক খারাপ লাগল।আর সাইফুলের সাহসিকতার কথা শুনে খুব ভালো লাগল।যেখানে গ্রামের মানুষ পুকুরে নামতে চাচ্ছিল না। তখন সাইফুল নির্ভয়ে যুবকটিকে বাচাঁতে পুকুরে ঝাপিয়ে পরল।যাই হোক আমার কাছে ঘটনাটি ভাল লেগেছে।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

হ্যাঁ ভাইয়া সাইফুল নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুবককে বাঁচানোর জন্য পুকুরে লাফ দিয়েছিল।

আসলে অনেকেই ভূত,প্রেত জিন এগুলোতে বিশ্বাস করে না । কিন্তু আমার মনে হয় যারা অনুভব করতে পারে, তারা কোনো না কোনো নেগেটিভ এনার্জি অনুভব করে,যে কারণে এত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারে।বড্ড খারাপ লাগছে ওই ছেলেটির জন্য যার পরিবার তাদের সন্তানকে হারালো।যাইহোক এ ধরনের গল্প পড়লে, ভয়ও লাগে।কোথায় কি বাসা বেঁধে আছে আমরা নিজেরাও জানিনা।

হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন আসলে কোথায় থেকে যে কোন সময় কার পিছনে বিপদ চলে আসে সেটা নিজেও জানিনা।

এরকম ঘটনা আমি ভূত এফএমে অনেক শুনেছি আসলে আমি মনে করি সন্ধ্যা মুহূর্তে শয়তান নামক কিছু কিছু জিনেরা আছে যারা মানুষকে ভয় দেখায়। ভয় দেখাতে দেখাতে একটা সময় তারা মানুষকে মেরে ফেলে। মূলত আমি মনে করি সন্ধ্যা মুহূর্তে যেসব জায়গায় একটু নিরিবিলি সেখানে না থাকাই ভালো যেমনটা ওই যুবকের সঙ্গে ঘটেছে ব্যাপারটা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টদায়ক এবং দুঃখজনক। তাই আমি মনে করি সন্ধ্যা মুহূর্তে যদি কোন নিরিবিলি জায়গায় যাওয়া হয় অবশ্যই দোয়া কালাম পড়ে যাওয়াই ভালো যাতে করে জিনেরা কোন ক্ষতি করতে না পারে।

আসলে আমি জিন কে তেমন একটা বিশ্বাস করতাম না।ওই ঘটনার পর থেকে আমি আসলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে জিনের উপস্থিত আছে দুনিয়াতে।