শুভ বিকেল,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সম্মানিত ভাই ও বোনেরা। শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সবাইকে আমার আজকের নতুন ব্লগে। আশা করি আপনাদের সবার দিনকাল অনেক ভালো যাচ্ছে। আমিও ভালো আছি ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটাচ্ছি। আজকে দুই দিন ধরে ওয়েদার টা কেমন জানি একদম অন্ধকার হয়ে আছে। আপনারা হয়তো সবাই জানেন ঘূর্ণিঝড় “দানা” আবারো হানা দিচ্ছেন। আমাদের এখানে অবস্থা একদম তেমন ভালো না অন্ধকার হয়ে থাকছে কখন ঝড় বৃষ্টি বাতাস শুরু হবে বোঝা যাচ্ছে না। দোয়া করবেন সবাই আমাদের জন্য যারা উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করি। বন্ধুরা দিনকাল এতই ব্যস্ত যাচ্ছে। মনে করেছিলাম বাচ্চারা যদি একটু বড় হতে থাকে হয়তো আমার ব্যস্ততা কমে যাবে। আসলে এই ধারণা একদম ভুল। যত দিন যাচ্ছে তত ব্যস্ততা যেন জড়িয়ে ধরছে। আসলেই আমি মনে করেছিলাম বাচ্চারা বড় হলে হয়তো আমাদের দায়িত্ব কমে যাবে।
কিন্তু এ ধারণাটা একদম ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বাচ্চারা যত বড় হচ্ছে তত দায়িত্ববোধ তাদের প্রতি টেক কেয়ার বেড়ে যাচ্ছে তাদের প্রতি আরো বেশি নজর দারি বেড়ে যাচ্ছে। আপনারা তো জানেন দেশের পরিস্থিতির দিন দিন খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আসলেই বাচ্চাদেরকে একা ছেড়ে দেওয়া তাদেরকে অবহেলা করে রাখা কোনোমতেই উচিত নয়। সেজন্য প্রতিনিয়ত তাদের দেখাশোনা করতে হয়। স্কুলে আসা-যাওয়া কোচিং এ আসা যাওয়াতে সাথে যেতে হয়। বেশ চিন্তার মধ্যে থাকি যতক্ষণ বাইরে থাকে ততক্ষণ। তাই দিন ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে সাথে দায়িত্ববোধ বেড়ে যাচ্ছে। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে যে বিষয় নিয়ে শেয়ার করতে উপস্থিত হয়েছি তা অবশ্যই আপনারা শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন। চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে মেয়েকে শব্দায়ন কবিতা আবৃত্তি একাডেমিতে ভর্তি করায় ছিলাম।
মাশাল্লাহ মেয়ের বাংলা উচ্চারণ, কবিতা আবৃত্তি উচ্চারণ সবকিছু মোটামুটি ঠিক হয়েছে। হয়তো এটা একদিনের কোন ক্লাস নয় এখানে নবম দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রিরা রয়েছে। সেই হিসাবে আমার মেয়ে এখন প্রথম পর্যায়ে। আশা করি শব্দায়ন একাডেমিতে নিয়মিত ক্লাস করলে মেয়ের বাংলা উচ্চারণ, কবিতা আবৃত্তি সব ক্ষেত্রে অনেক দক্ষতা অর্জন করবে। এখন যেহেতু বছর প্রায় শেষের দিকে শব্দায়ন কবিতা আবৃত্তি একাডেমিতে বাচ্চাদের মূল্যায়ন পরীক্ষা নিচ্ছে। বিশেষ করে বার্ষিক কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা তাদের আরম্ভ হয়ে ইতিমধ্যে ফাইনাল মহড়া শেষ হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবারে শব্দায়ন কবিতা আবৃত্তি একাডেমিতে বাচ্চাদের চূড়ান্ত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ছিল। সেখানে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তাদেরকে প্রতিটি ক্লাসের মধ্যে খুব সুন্দরভাবে তৈরি করে নিয়েছিল। প্রতিটি শ্রেণীতে দুই থেকে তিনজন করে শিক্ষক থাকেন।
যদিও শিক্ষকগুলো কলেজ ইউনিভার্সিটির। তাছাড়াও তাদের প্রশিক্ষণের রয়েছে সহকারি অনেকেই। আমার কাছে শব্দায়ন কবিতা আবৃতি একাডেমি অনেক ভালো লাগে। কারণ এখানে সুন্দর করে হাতে কলমে বাচ্চাদেরকে শিখিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে উচ্চারণ করতে হয়। কিভাবে কবিতা আবৃত্তি করতে হয়। গত বৃহস্পতিবার যখন বাচ্চাদের ফাইনাল কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ছিল তখন বৃহস্পতিবারে বাচ্চাকে নিয়ে আমি গেছিলাম। সেখানে তাদের একক কবিতা আবৃত্তি ছিল এবং দ্বৈত কবিতা আবৃত্তি ছিল।
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল ৩:৩০ এর মধ্যে। আমি গেছিলাম তিনটার মধ্যে কারণ তাদের টিচার দিয়ে বাচ্চাদেরকে একটু প্র্যাকটিস করাবো বলে। যেহেতু অনুষ্ঠানের আগের একটি ক্লাস আমি করাতে পারি নাই গ্রামে ছিলাম তাই। সে অনুযায়ী গেছিলাম এবং অন্য একটি মেয়ের সাথে আমার মেয়ের দ্বৈত কবিতা আবৃত্তি ছিল। অবশেষে অনুষ্ঠান শুরু হয় সব ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হয় এবং সাথে তাদের মা বাবারাও উপস্থিত ছিলেন।
যখন অনুষ্ঠান শুরু হয় আমি সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। যখন কবিতা আবৃত্তি শুরু হয় তখন বাচ্চাদের প্রতিভা দেখে আমি একদম মুগ্ধ। ছোট ছোট বাচ্চারা কত সুন্দর করে কবিতা আবৃত্তি করতেছে। যারা মাত্র কেজিতে পড়ে এমন সময় ছোট ছোট বাচ্চাদের কবিতা আবৃত্তি গুলো দারুণ ছিল। যারা বড়রা ছিলেন নবম দশম শ্রেণীর তাদের কবিতা আবৃত্তি মূলত সেইরকম ছিল। সত্যি আমার গায়ের লোম গুলো শিহরিত হয়ে গেছিল তাদের কবিতা আবৃত্তি গুলো শুনে। বুঝতেই তো পারছেন যেহেতু কেজি থেকেই ছাত্রছাত্রী নেওয়া হয় সেখানে প্রত্যেকটি শ্রেণীর জন্য আলাদা আলাদা কবিতা আবৃত্তির ব্যবস্থা আছে।
প্রথমে কেজি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এক কবিতা আবৃত্তিগুলো আগে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বিচারক মন্ডলী ছিলেন কাদের উচ্চারণ কেমন, কবিতা আবৃত্তির ধরণ কেমন এবং কথা বলার ভঙ্গি কেমন সবকিছুই যাচাই-বাছাই করে মার্ক দেওয়া হবে। এক কবিতা আবৃত্তি শেষ হলে আবার দ্বৈত কবিতা আবৃত্তির জন্য একে একে সবাইকে ডাকা হয়। এভাবে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার মহাড়া চলতে থাকে আমরা সবাই বসে অপেক্ষা করছিলাম এবং শুনছিলাম। সত্যি বর্তমান সময়ের ছাত্রছাত্রীরা এত বেশি এক্সপার্ট ইংরেজিতে বলেন বাংলাতে বলেন সবকিছুতেই অনেক বেশি একদম এগিয়ে বলতে হয়। কেন হবে না বলেন গার্ডিয়ানেরা এত বেশি সচেতন তাদেরকে অনেক বেশি গাইডলাইন করেন।
হয়তো আমাদের বাচ্চাদের মত আমরা যদি এত বেশি গার্ডিয়ানের সহযোগিতা পেতাম আমরা আরো অনেক দূরে গিয়ে যেতে পারতাম। আমাদের মা-বাবার চেয়ে আমরা একটু বেশি সচেতন সেটা বলতে হয়। সেই অনুযায়ী বাচ্চারা মাশাল্লাহ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে সেটা অবশ্যই আমাদের গর্বের বিষয় সবার জন্য। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমাদের মেয়েদের দ্বৈত কবিতা আবৃত্তি শেষ হয়। শেষ হওয়ার সাথে সাথে আর কোন অপেক্ষা করি নাই সোজা চলে আসি বাসায়। যেহেতু দীর্ঘ ৩-৪ ঘন্টা বসে থাকছিলাম তাই অস্থির হয়ে গেছিলাম। আর ছোট মেয়ে অনেক বেশি ডিস্টার্ব করছি আমাকে। আর এদিক ওদিক না দেখে সোজা বাসায় চলে আসি।
সেদিন অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সবার সাথে। সেই সুন্দর মুহূর্তটি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আশা করি আমার আজকে শেয়ার করা মুহূর্তটা আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই বন্ধুরা সবাইকে সময় দিয়ে পোস্ট পড়ে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আমি মনে করি যদি এভাবে কবিতার প্রতিযোগিতা করা হয় তাহলে বাচ্চাদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি ও লেখার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি হবে। আর এভাবেই তারা সাহস ও নিজেদের মধ্যে যোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হবে যে কোন বিষয়ে স্টেজে উঠে বলার জন্য। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট কিন্তু আমাদের উপহার দিয়েছেন আপনি। দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কথা যেন ঠিক হয় আপু। আমার মেয়ে যেন অনেক মেধাবী হয় আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে এমন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এতে মেধার বিকাশ ঘটার পাশাপাশি স্টুডেন্টরা অনেক চালাকচতুর হতে পারে এবং অনেক বিষয়ে নিজেদের তৈরি করতে পারে। তবে দেখা খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন এই বার্ষিক কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন সম্পর্কে। সুন্দর একটি পোষ্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তারা এই বয়সে যেগুলো করার সাহস পায় আমরা তা কখনো করতে পারি নাই এমন একটি বয়সে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/nahar_hera/status/1849506811747107105?t=AmxAYV9hr9beXPP5BmmQsw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মেয়েরা স্কুলে পড়াশোনার কারার কারনে তাদের উসিলায় অনেক জাগায় আপনার যেতে হয়। শব্দায়ন একাডেমিতে বার্ষিক কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহন করলেন। আসলে এই প্রতিযোগিতা গুলো করলে স্টুডেন্টেদের জন্য অনেক ভালো হয়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া সত্যি বাচ্চাদের কারণে অনেক জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit