একুশে ফেব্রুয়ারির দিন মেয়েদেরকে নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়া।

in hive-129948 •  2 years ago 

শুভ বিকেল সবাইকে!


ful8.jpeg

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসিরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই কর্মব্যস্ত জীবনের সাথে ভালো-মন্দ মিলিয়ে ভালো আছেন। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের ভারতীয় বাংলাদেশি ব্লগার ভাই-বোনদেরকে লেখার শুরুতেই শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার আজকের ব্লগ শুরু করতেছি। প্রতিদিন ভিন্ন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি আজও তার কোন ব্যতিক্রম নয়। আজ আমি যেই টপিকস নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা হচ্ছে যে একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদ মাতৃভাষা দিবসের দিন মেয়েদেরকে নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।

ful1.jpeg

ful.jpeg

একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদের স্মরণে মেয়েদের স্কুলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলোচনা সভা শেষ হওয়ার পরে মেয়েরা আবদার করে শহীদ মিনারে যাবে। কিন্তু আমিও আগে থেকে প্ল্যান করে রাখছিলাম স্কুলের অনুষ্ঠান শেষ হলে শহীদ মিনারে যাব। স্কুল আর শহীদ মিনারের দূরত্ব তেমন বেশি না যেতে দুই মিনিট লাগে স্কুল থেকে। সেই কথা অনুযায়ী মেয়েদের কে নিয়ে গেলাম শহীদ মিনারে। গিয়ে দেখি শহীদ মিনারের চারপাশে বেশ জমজমাট একটি পরিবেশ। সকাল থেকে সেখানে বিভিন্ন ধরনের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ful6.jpeg

ful7.jpeg

তবে আমরা যেহেতু শেষ মুহূর্তে গেছি স্কুলের অনুষ্ঠান শেষ করে তেমন কিছু দেখতে পায়নি। সোজা চলে গেলাম শহীদ মিনারের পাশে ফুলের দোকানে। দুই মেয়ের জন্য দুইটা গোলাপ ফুল দিয়ে দুইটা তোরা করে নিলাম বাচ্চাদের জন্য। বাচ্চারা অনেক খেলাধুলা করে আনন্দ করে এবং শহীদ মিনারে শহীদের স্মরণে ফুলগুলো দেয়। ফুল দেওয়ার পরে বেশ কিছুক্ষণ খেলাধুলা করে সেখানে। শহীদ মিনারে আরো অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা এসেছেন মা-বাবার সাথে।

ful3.jpeg

ful12.jpeg

এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল থেকে ফুল দেওয়ার জন্য এসেছে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা। আমার ভীষণ ভালো লাগে যখন মেয়েদের স্কুল ছিল না তখন ছোট থাকতেও ওরা বাবার সাথে কিংবা আমি নিয়ে আসতাম। আসলে বাচ্চাদের এসব অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া অনেক ভালো যাতে দেশের কালচার দেশের বিভিন্ন ঘটে যাওয়া ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। শুধু পাঠ্যপুস্তক এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন সৃজনশীল মানসিকতা তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। আমি ক্লাস থ্রির অনেক গার্ডিয়ান দেখেছি যারা বাচ্চাদেরকে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাচ্ছেন না।

ful11.jpeg

ful10.jpeg

এই বয়সে এসে যদি একটা বাচ্চাকে পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে এত চাপাচাপি করে তাহলে তারা ভবিষ্যতে কোন রূপে মানুষ হবে সেটা তো জানি না। এমন পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখায় ভালো হতে পারে কিন্তু ভবিষ্যৎ জীবন তেমন সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে না সেটা আমি প্রমাণ স্বরূপ বলতে পারি। যতটুকু চেষ্টা করি প্রতিটি দিবসে বাচ্চাদেরকে যুক্ত রাখার সেই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান মনোনিবেশ করার।

ful13.jpeg

ful15.jpeg

অনেক কথা বলে ফেলেছি আর কথা বাড়াবো না। অনেক রোদ ছিল শহীদ মিনারে। কেন জানিনা শহীদ মিনারে গাছপালা তেমন না থাকায় রোদের প্রখর একটু বেশি হয়। তাই এত গরম অনুভব করছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেশিক্ষণ থাকি নাই ২০-৩০ মিনিট থাকার পরে চলে আসি বাসায়।


qara-xett.png


ক্যামেরার বিবরণ


ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল রাইটিং
লোকেশনw3w


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1ErQjV81WrS7JqZTWQdBGha46B6ouHda5Uef2pPD592KM6WQ5DPtmJAFbRpCJxBV1deubp3jTX5M8sF2eMPzpt7ToKs7xvshYmvG2N9uBGen8JJSxhXd6cj7tosB3JWqedqnSVHWyMFLQizB7ouZeu28paqWxpHmLGq5FJ23YStCWcEHwtnsfm6gSWK8GH8.gif

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

banner-abb_New.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপু, একদম ঠিক বলেছেন, ছোট ছোট সোনামণিদের এসব অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া ভালো। যার কারণে তারা দেশের কালচার ও ঘটে যাওয়া ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন মেয়েদের কে নিয়ে শহীদ মিনারের ফুল দিয়ে, শ্রদ্ধা জানিয়ে সময়টুকু বেশ ভালই কাটিয়েছেন। এবং সেই বিষয়ে খুব সুন্দর বর্ণনা করে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ঠিক বলছেন ভাইয়া শুধু মাত্র পড়ালেখার মধ্যে আবদ্ধ না রেখে সবকিছু মধ্যে মনোনিবেশ করাই ভালো।

প্রথমেই বলবো আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন ৷ কারন আপনার মেয়েদের নিয়ে আপনি শহিদ মিনারে গিয়েছেন ৷ আর এখন থেকে যদি দেশ প্রেম মনে উদয় হয় তবেই মানুষের মতো মানুষ হবে ৷

একুশে ফেব্রুয়ারির দিন মেয়েদেরকে নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়া মূহুর্ত টা দারুণ ছিল ৷ তা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারছি ৷

দারুন মানে সে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছে মেয়েরা আমারও ভালো লেগেছে তাদেরকে নিয়ে যেতে পেরে।

একুশে ফেব্রুয়ারির দিন আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন এবং আজকে সেই টপিক সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।মা এবং মেয়ে দুজনে মিলে তাহলে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন। একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি সত্যি সবার জীবনে খুবই স্মরণীয়।ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে এরকম অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়ে গেলে কিন্তু তারা অনেক কিছুই জানতে পারে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার আজকের লেখার টপিক আমার কাছে।

একদম ঠিক বলছেন আপু বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং দেশের স্মরণীয় অনুষ্ঠানে নিয়ে গেলে বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে পারে।