সবাইকে জানাই ২১ শে ফেব্রুয়ারির শুভেচ্ছা ।। ❤️

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কিছু ইতিহাস শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

লোকেশন

২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতীক। এটি আমাদের শিখিয়ে দেয় যে ভাষার জন্য আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। বিশ্বব্যাপী আজকের এই দিনটি ভাষার বৈচিত্র্য ও সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে। তাই, আমাদের দায়িত্ব হলো মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং পরবর্তী প্রজন্মকে এর গুরুত্ব বোঝানো।ভাষা মানুষের পরিচয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা, সম্মান এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ২১ শে ফেব্রুয়ারি এক অবিস্মরণীয় দিন। আজকের এই দিনটি কেবলমাত্র বাংলাদেশের নয়, বরং সারাবিশ্বের ভাষা প্রেমীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ।

প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২১ শে ফেব্রুয়ারি যথাযথ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মর্যাদায় পালিত হয়। বাংলাদেশে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং র‍্যালির মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়। এছাড়া স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সংস্থা মাতৃভাষার প্রচার ও সংরক্ষণ নিয়ে নানা কর্মসূচি আয়োজন করে।

লোকেশন

২১ শে ফেব্রুয়ারির পটভূমি

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা বাংলাভাষী জনগণের জন্য ছিল সম্পূর্ণ অন্যায়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে ওঠে, যার চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে। ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার সহ আরও অনেক বীর শহীদ হন। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলে ১৯৫৬ সালে বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।এই বিষয়ে আমার কম বেশি সকলেই জানি।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এই স্বীকৃতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরেছে এবং বিভিন্ন ভাষার সংরক্ষণ ও প্রচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

লোকেশন

২১ শে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে কিছু সুন্দর মতামত...

• ভাষার জন্য আত্মত্যাগ: "একটি জাতির আত্মপরিচয়ের মূল ভিত্তি তার ভাষা। ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের শেখায় যে ভাষার জন্যও মানুষ জীবন দিতে পারে, আর সেই আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যায় না।"

• মাতৃভাষার গৌরব: "মাতৃভাষা শুধু একটি মাধ্যম নয়, এটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জাতীয় চেতনার প্রতীক। আমাদের ভাষার প্রতি সম্মান জানানো মানে আমাদের শেকড়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।"

• আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার গুরুত্ব: "যে জাতি তার ভাষাকে সম্মান করতে জানে, সে জাতি তার সংস্কৃতিকেও টিকিয়ে রাখতে পারে। মাতৃভাষা রক্ষা করা মানে জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা।"

• শিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষা: "একজন শিশু তার মাতৃভাষায় সবচেয়ে ভালোভাবে চিন্তা করতে পারে। তাই প্রাথমিক শিক্ষা অবশ্যই মাতৃভাষায় হওয়া উচিত, যাতে তারা সৃজনশীল ও মেধাবী হয়ে উঠতে পারে।"

• ভাষার বৈচিত্র্য সংরক্ষণ: "বিশ্বে হাজারো ভাষা বিলুপ্তির পথে। মাতৃভাষা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিটি ভাষারই নিজস্ব সৌন্দর্য ও গুরুত্ব আছে, এবং আমাদের সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।"

• শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা: "সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ সকল ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের গর্ব। তাদের ত্যাগের কারণেই আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি।"

• ভাষার প্রতি দায়িত্ব : "শুধু ২১শে ফেব্রুয়ারি নয়, বছরের প্রতিটি দিনই মাতৃভাষাকে সম্মান করা উচিত। আমাদের ভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটি ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব।"

লোকেশন

আমি আমার নানা বাড়ি যাওয়ার পথে এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের বদরগঞ্জ উপজেলার শহীদ মিনারের সামন থেকে সংগ্রহ করেছি । আজকের এই বিশেষ দিনে আমাদের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের দায়িত্ব হলো মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং পরবর্তী প্রজন্মকে এর গুরুত্ব বোঝানো।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি।আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।