🥰..আসসালামুয়ালাইকুম ..🥰

🥰..এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব..💗🙏।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট ছোট সাত প্রকার মাছের চচ্চড়ি ভাজি রেসিপি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

বাঙালি খাবারের ইতিহাসে মাছের নানা রকম রেসিপি প্রতিনিয়ত মানুষের মন জয় করে। এর মধ্যে একটি খুব জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু হলো ছোট ছোট সাত মিশালি মাছের চচ্চড়ি ভাজি। এটি শুধুমাত্র একেকটা মশলার চমৎকার মিশ্রণ নয়, বরং একটি রুচি কর খাবার যা একবার খেলে আবার খেতে ইচ্ছা করবে। বিশেষ করে মাছের প্রেমিকদের জন্য এটি এক আদর্শ রেসিপি।ছোট ছোট সাত মিশালি মাছের চচ্চড়ি ভাজি শুধু স্বাদে অত্যন্ত সুস্বাদু নয়,এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। মাছের বিভিন্ন প্রজাতির সংমিশ্রণে তৈরি হয় অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ যা শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য উপকারী। এই মাছ গুলো আব্বু কয়েক দিন আগে কিনে নিয়ে এসেছিল। আমার ছোট মাছ এই রকম চচ্চড়ি ভাজা খেতে অনেক বেশি মজা লাগে।এই রেসিপিটি খেতে বেশ চমৎকার হয়েছিল। চলুন এবার রেসিপি শুরু করা যাক ,

প্রয়োজনীয় উপকরণ

• সাত প্রকার ছোট মাছ।
• পিঁয়াজ কুচি।
• মরিচ কুচি।
• হলুদ গুঁড়া।
• লবণ।
• মসলা গুঁড়া।
• তেল।

ধাপ : ১

প্রথমে ছোট ছোট সাত প্রকার, মাছ গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে কেটে পরিষ্কার করে নিয়ে একটি পত্র রেখে দেয়।

ধাপ : ২

এরপর আলু চিকন চিকন করে কেটে কড়াইয়ে দেয়। তারপর মাছ গুলো এক সঙ্গে দিয়ে , সেখানে মরিচ ও পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম।

ধাপ : ৩

এরপর পরিমাণ মত লবণ, হলুদ গুঁড়া, মসলা গুঁড়া,তেল দিয়ে দিলাম।

ধাপ : ৪

এরপর সব গুলো এক সাথে হতের সাহায্যে মিক্সড করে নিলাম। তারপর পরিমাণ মত পানি দিয়ে দিলাম।

ধাপ : ৫

তারপর কয়েক মিনিট এর জন্যে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেয়। এরপর তরকারি সিদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে দেয়। যেহেতু আমি ঝোল রাখবো না,তাই আস্তে আস্তে আগুনের তাপে ঝোল গুলো কমিয়ে নেয়।

তারপর ছোট মাছের চচ্চড়ি ভাজি হয়ে গেল ,পরিবেশনের জন্য চুলা থেকে নামিয়ে নেয়।

😋পরিবেশন 🧑‍🍳

এই ছিল আজকের মজাদার ছোট মাছের চচ্চড়ি ভাজির রেসিপি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।