কয়েকটি এলোমেলো চাঁদের ফোটোগ্রাফি ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের কয়েকটি এলোমেলো চাঁদে ফোটোগ্রাফি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ফটোগ্রাফি যেন এক অদ্ভুত নেশায় পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে ফটোগ্রাফি ছিল একেবারেই হালকা একটা শখ, এখন সেটি আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। বিশেষ করে যখন রাস্তা-ঘাটে হাঁটতে হাঁটতে এমন কোনো সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ে, তখন সেটা মোবাইল ক্যামেরায় ধরে রাখার জন্য আমি আর থাকতে পারি না। ফটোগ্রাফির প্রতি আমার আকর্ষণ এখন দ্বিগুণ বেড়ে গেছে, এবং এটা শুধু ঘোরাঘুরির কারণে নয়, বরং প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো, ফুল, পাতা, গ্রামীণ পরিবেশের ছবি তোলার মাধ্যমে আমার এক অদ্ভুত আনন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, কিন্তু প্রতিবার নতুন নতুন করে অন্য রকম দৃশ্যের সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের সাথে শেয়ার করি । যেমন আজকে আমি আপনাদের মাঝে চাঁদে ফোটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি ...

চাঁদ শুধুমাত্র রাতের আকাশের উজ্জ্বল এক বস্তু নয়; এটি সৌন্দর্য, কল্পনা, বিজ্ঞান ও আবেগের এক অনন্য প্রতীক। বিজ্ঞানীরা চাঁদ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের হৃদয়ে চাঁদের অবস্থান চিরকালীন।পূর্ণিমার আলো হোক বা অমাবস্যার অন্ধকার, চাঁদের সৌন্দর্য কখনো ম্লান হয় না। চাঁদ আমাদের ভালোবাসা, বিস্ময় আর কল্পনার এক চিরস্থায়ী উৎস, যা যুগে যুগে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে।

রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করা চাঁদ দেখলেই অনেকের মন চায় একে ক্যামেরায় ধরে রাখতে। কিন্তু চাঁদ ফটোগ্রাফি মোটেও সহজ কাজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, সঠিক পরিকল্পনা এবং উপযুক্ত সরঞ্জাম।পূর্ণিমার উজ্জ্বল চাঁদ হোক বা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্যময় রূপ, প্রতিটি দৃশ্যই একেকটি অনন্য শিল্পকর্ম এবং কিছু কৌশল, যেটা সব ফোটোগ্রাফির ক্ষেত্রে দরকার হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে চাঁদকে বিশেষভাবে দেখা হয়। মুসলিম ক্যালেন্ডারে চাঁদের হিসাব অনুযায়ী মাস গণনা করা হয়। হিন্দু ধর্মেও পূর্ণিমা ও অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বৌদ্ধ ও চীনা সংস্কৃতিতেও চাঁদের উত্সব পালিত হয়।এই চাঁদের এমন আবেদন শুধু শিশুদের জন্য নয়, বরং সারাজীবনের জন্য এক মুগ্ধতার উৎস হয়ে থাকে।

পূর্ণিমার রাতে ঝলমলে চাঁদ দেখে যে কারও মন ভালো হয়ে যায়। আবার চাঁদের আলো যখন মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যায়, তখন তা এক ধরনের বিষাদময় সৌন্দর্য নিয়ে আসে।চাঁদকে নিয়ে কত গল্প-গুজব, কল্পকাহিনি! শৈশবে আমরা সবাই শুনেছি চাঁদ নিয়ে কত গল্প! কারও মতে, চাঁদে এক খরগোশ থাকে, কেউ বলে সেখানে পরীরা বাস করে। দাদি-নানির মুখে শোনা এসব গল্প আমাদের কল্পনার জগতে রঙ ছড়িয়েছে।

কিন্তু বাস্তবের চাঁদ আমাদের একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এক রহস্যময় জগৎ, যেখানে মানুষ পদচিহ্ন এঁকেছে, গবেষণা চালিয়েছে, এবং ভবিষ্যতে যেখানে আরও অনেক নতুন রহস্য উন্মোচনের অপেক্ষা করছে।চাঁদ কেবল আকাশের একটি উজ্জ্বল বস্তু নয়, এটি একাধারে সৌন্দর্য, কল্পনা, বিজ্ঞান ও আবেগের প্রতীক। বিজ্ঞানীরা চাঁদকে নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের হৃদয়ে চাঁদের অবস্থান চিরকালীন।

_{বিঃদ্রঃ- এই ফটোগ্রাফি গুলো কয়েক দিন আগে আমার নানা বাসায় থাকা অবস্থায় আকাশ চাঁদটি উঠেছিল সেখানে থেকে সংগ্রহ করেছি।}

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি । আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত । আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।