ফটোগ্রাফি পোস্ট: কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি ।।

🥰..... আসসালামুয়ালাইকুম .....🥰

🥰.....এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব......💗🙏।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশ ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে ,ফটোগ্রাফি করা দিন দিন কেমন জানি একটা নেশায় পরিনত হয়ে যাচ্ছে। যদিও আগে আমি তেমন একটা ফটোগ্রাফি করতে পারতাম না । কিন্তু বর্তমান এই প্ল্যাটফর্মে সাথে যুক্ত হয়ে ঘোরাঘুরি , পাশাপাশি ফটোগ্ৰাফি করা আসক্ত দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে । বিশেষ করে রাস্তা ঘাটের মধ্যে চলার পথে কখনো যদি কোন কিছুর সুন্দর দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তখন আমি সেই দৃশ্য গুলো সাথে সাথে আমার মোবাইলের ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করার চেষ্টা করি। আমার কাছে প্রাকৃতিক দৃশ্যের , মধ্যে যা কিছু আছে সব গুলোর ফটোগ্রাফি করতে বিশন ভালো লাগে ।আমার তোলা বেশিরভাগ ফটোগ্রাফি গুলো হচ্ছে গ্ৰামিন পরিবেশের ফুল, পাতা , রাস্তা এর আগে ও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।

ঘাসফড়িং

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত ঘাস ফড়িং। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সবখানে সবুজ শস্য ক্ষেত বা সবজির বাগানে বিভিন্ন ধরনের ঘাসফড়িং একা বা দলবদ্ধ হয়ে বিচরণ করে।আরশোলার মতো ঘাস ফড়িংও একটি অতিপরিচিত পতঙ্গ । ঘাসফড়িং-এর কিছু প্রজাতি পঙ্গপাল নামে পরিচিত। এগুলো বাদামি বর্ণের মাঝারি আকৃতির পতঙ্গ এবং ঝাঁক বেঁধে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। কখনও কখনও এদের সংখ্যা এত বেড়ে যায় যে মুহুর্তের মধ্যে একটি ক্ষেত্রের সমস্ত ফসল খেয়ে সাবাড় করে ফেলতে পারে। পঙ্গপাল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের শস্য ক্ষেতের জন্য মারাত্মক হুমকি । যেহেতু এখন সবুজ ধান ক্ষেত কেটে ফেলা হচ্ছে।তাই এরা বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। কিছু দিন আগে আমাদের নতুন ধান এনেছে বাসা ,রাতে হঠাৎ দেওয়ালে দেখতে পায় এই ঘাস ফড়িং টি । সঙ্গে সঙ্গে আমার ফোনে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।

নীল আকাশের নিচে খেলার মাঠ

লোকেশন
উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন , এটি মূলত প্রাকৃতিক দৃশ্যের একটি অংশ। খোলা আকাশের নিচে বিশাল বড় খেলার মাঠ।মাঠে নতুন সোনালী ধানের শস্যে শুকানোর আগমন। এই নতুন ধান দিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়।নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নবান্ন ঋতুকেন্দ্রিক একটি উৎসব । আগে এই নবান্ন উৎসবের অনেক নিয়ম ও মজার ছিলো ।ধান কাটা, মাড়া, সিদ্ধ করা, শুকানো সব কাজ একদিনেই সম্পন্ন করা হয়ে ছিলো । তবে এখন আর সেইরকম ভাবে হয় না । এখন সময়ের সাথে সাথে সব কিছু ভিন্ন। কয়েকদিন আগে আমাদের ধান কাটা হয়েছে। সেগুলো সেদ্ধ করে শুকানোর জন্য এই বড় খেলার মাঠ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের বাসায় পাশাপাশি সেইরকম বড় জায়গা ও রোদ নেই । যেহেতু বাসায় পাশেই খেলাধুলার বড় মাঠ আছে তাই মাঠে শুকানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।সেখানে থেকে আমি এই ফটোগ্রাফি টি সংগ্রহ করেছি।

সখের বিড়াল

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত বিড়াল 🐱 🐈।বিড়ালকে বলা হয় 'বাঘের মাসি'। কারণ, বাঘ বিড়াল গোত্রের প্রাণী সেটি আমরা সকলেই জানি।একেকটি বিড়ালের বৈশিষ্ট্য একেক রকম। কেউ আলসে, কেউ ছটফটে; কেউ আপনার কথার জবাবে নানা 'কথা' বলে, কেউ থাকে চুপচাপ।তবে এই বিড়াল টি আলসে খালি ঘুম যায় ।এই বিড়াল টি আমার তবে আমি আমার চাচাতো বোনকে দিয়েছি। বিড়াল কম বেশি সবাই অনেক পছন্দের।।এই বিড়ালটির সাথে আমরা সব চাচাতো ভাই বোন অনেক মজা করি । বিড়াল টি ছেলে তাই তার নাম রাজা । মজা বিষয় এই বিড়াল টি আলসে আমাদের একটি পিকচার ও তুলতে দেয় না। ঘুম গেলে খাওয়া দাওয়া করতেও ভুলে যায়, খাওয়ার সময় ও ঘুম পারে ।খালি ঘুম আর ঘুম ।ঘুমের সময় তাকে ডিস্টার্ব দিলে সে অনেক রাগ করে । আমার ছোট ভাই তাকে রাগান্বিত করে বার বার ডিস্টার্ব দেয় ।বিড়াল আমার অনেক অনেক ভালো লাগে।

বিকেল বেলার সূর্যাস্ত

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত সূর্যাস্ত । শেষ বিকেল বেলায় সূর্যস্ত যায়, নদীরা বয়ে যায়, চাষিরা ঘরে ফিরে!সূর্যের কিরণ থেমে গেলে পৃথিবী ও থমকে যায়। পৃথিবীর পাতায় তখন লেখা হয় “অন্ধকার” নামক একটি শব্দ। কিছু দিন আগে বিকেল বেলায় আমাদের ধান ক্ষেত এ গেয়েছিলাম। সেখানে থেকে এই ফটোগ্রাফি টি সংগ্রহ করেছি।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।