🥰..আসসালামুয়ালাইকুম ..🥰

🥰..এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব..💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে এলোমেলো রেনডম কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ফটোগ্রাফি যেন এক অদ্ভুত নেশায় পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে ফটোগ্রাফি ছিল একেবারেই হালকা একটা শখ, এখন সেটি আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। বিশেষ করে যখন রাস্তা-ঘাটে হাঁটতে হাঁটতে এমন কোনো সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ে, তখন সেটা মোবাইল ক্যামেরায় ধরে রাখার জন্য আমি আর থাকতে পারি না। ফটোগ্রাফির প্রতি আমার আকর্ষণ এখন দ্বিগুণ বেড়ে গেছে, এবং এটা শুধু ঘোরাঘুরির কারণে নয়, বরং প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো, ফুল, পাতা, গ্রামীণ পরিবেশের ছবি তোলার মাধ্যমে আমার এক অদ্ভুত আনন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, কিন্তু প্রতিবার নতুন নতুন করে অন্য রকম দৃশ্যের সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দী হয়।তাই আজকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

কুয়াশা মাখা শীতের সকাল

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পারছেন, এটি মূলত কুয়াশা মাখা শীতের সকাল।কুয়াশা মাখা শীতের সকালের দৃশ্য যেন এক স্নিগ্ধ শান্তির অনুভূতি তৈরি করে। ঠান্ডা হাওয়ার মাঝে কুয়াশা দৃষ্টির সীমা খানিকটা মুছে দেয়, অথচ সেই মোলায়েম আবহাওয়া একটি গভীর প্রশান্তির সৃষ্টি করে। ছবিতে সূর্যের প্রথম রশ্মি ধীরে ধীরে কুয়াশার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যাচ্ছে, যেন প্রকৃতি নিজেই এক মায়াময় আভায় আঁকা। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি অনেক কুয়াশা ফোনটি হাতে নিয়ে ছাদে চলে যায়।বেলা ৯ টা বাজে তবুও কুয়াশায় সূর্য ঘেরা দেখতে ভালো লাগছে তাই কয়েকটি ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করে নিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ডালিম ফল

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত ডালিম ফল।ডালিম একটি রহস্যময় ফল,ডালিম ফল তার উজ্জ্বল লাল রঙ এবং তাজা রসের জন্য পরিচিত, যা খাবারের স্বাদে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।দানাগুলোর মিষ্টতা এবং টকপনা মিশিয়ে এক অসাধারণ স্বাদ তৈরি হয়, যা মুখে দিলেই শরীর সতেজ হয়ে ওঠে। শুধু খাওয়ার উপভোগ নয়, স্ফটিক রসে পূর্ণ দানার মধ্যে লুকিয়ে থাকে পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যের জন্যও খুবেই উপকারী। এই ফটোগ্রাফি টি আমাদের ছাদে টবের ডালিম গাছ থেকে সংগ্রহ করা।

লেটুস পাতা

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখতে পারছেন, এটি মূলত লেটুস পাতা ।লেটুস পাতা একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর শাকসবজি, যা সালাদ, স্যান্ডউইচ বা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এতে ভিটামিন, খনিজ এবং জলীয় উপাদানের পরিমাণ বেশি, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। কম ক্যালোরি ও ফ্যাট থাকার কারণে এটি ডায়েটিংয়ের জন্যও আদর্শ।

প্রাকৃতিক রাস্তার দৃশ্য

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখতে পারছেন, এটি মূলত শীতের দিনের প্রাকৃতিক রাস্তার দৃশ্য।শীতের দিনের প্রাকৃতিক রাস্তার দৃশ্য এমন এক মনোরম অভিজ্ঞতা, যেখানে মাটি, গাছপালা, আকাশ এবং বাতাস এক সাথে মিলিত হয়ে শান্তির এক ভিন্ন জগত সৃষ্টি করে।যেখানে চলতে চলতে প্রকৃতির সঙ্গ পেয়ে হারিয়ে যাওয়া। ঘন সবুজ পাতার ছায়া, হালকা শীতের বাতাসের সোঁদা গন্ধ আর মৃদু পাখির গান, এসব একে অপরকে সঙ্গ দিয়ে এমন এক পরিবেশ তৈরি করে, যা আমাদের অন্তরকে শান্ত ও সতেজ করে তোলে। এমন রাস্তা শুধু চলার পথ নয়, বরং এক ধরনের শ্বাস প্রশ্বাস, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কোলাহল থেকে কিছুক্ষণের মুক্তি দেয়।

আমের মুকুল

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখতে পারছেন, এটি মূলত আমের মুকুল।আমের মুকুল সাধারণত বসন্তকালে ফুটতে শুরু করে, বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে। এটি গ্রীষ্মকালীন আম ফল হিসেবে পরিচিত, তাই মুকুল গুলো গরমের আগমন করে। সঠিক আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে মুকুল ফুটে ওঠে, এবং প্রায় এপ্রিল-মে মাসের দিকে এটি পরিপক্ব হয়ে পাকা আমে পরিণত হয়। মুকুলের এই সময় প্রকৃতি এবং ফল চাষীদের জন্য এক আশাবাদী মুহূর্ত, কারণ এটি ফলনের সূচনা।এই ফটোগ্রাফি টি একটি আম গাছ থেকে সংগ্রহ করা।

বিকালে সূর্য

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখতে পারছেন, এটি মূলত বিকেলে সূর্য।বিকালে সূর্যটা যেন আরেকটি গল্প বলে। সোনালী আলো ছড়িয়ে পড়ে আকাশে, এবং ধীরে ধীরে আকাশের রং বদলাতে থাকে। সূর্য যখন আকাশের কোণায় হারিয়ে যায়, তখন একটা নীরব শান্তি চলে আসে চারপাশে। দিন শেষে, সেই সুন্দর আলো আমাদের মনের মধ্যে একটা তৃপ্তি আর প্রশান্তি এনে দেয়।যেন নতুন আশা এবং শক্তি নিয়ে রাতের অন্ধকারে চলে যাওয়ার আগে একটু বিশ্রাম নিলাম।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।