মানুষ ফুলের মতো সুন্দর, আবার কাটার মতো বিষাক্ত 🙂

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি।সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে। আজকে আমি আপনাদের সাথে জেনারেল লাইটিং শেয়ার করবো " মানুষ ফুলের মতো সুন্দর আবার কাটার মতো বিষাক্ত "।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

মানুষ প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। তার মাঝে যেমন ফুলের মতো কোমলতা, সৌন্দর্য ও সুগন্ধ আছে, তেমনি কাটার মতো তীক্ষ্ণতা, কঠোরতা ও বিষাক্ততাও লুকিয়ে থাকে। মানুষের এই দ্বৈত প্রকৃতি তাকে বিশেষ করে তোলে এবং তার জীবন যাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলে।জীবনের প্রতিটি বাঁকে, প্রতিটি পরীক্ষায় এই দ্বৈত সত্তা নতুন ভাবে প্রকাশ পায়। কখনো সে আশ্রয় দেয়, ভালোবাসে, মমতায় জড়িয়ে রাখে, আবার কখনো সংগ্রাম করে, আবার কখনো প্রতিরোধ গড়ে তোলে, নিজের অবস্থান রক্ষায় দৃঢ় থাকে। এই বৈচিত্র্যময় রূপের কারণেই মানুষ শুধু একটি প্রাণী নয়, বরং সে প্রকৃতির এক ব্যতিক্রমী ও রহস্যময় সৃষ্টি রূপে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে।

ফুলের মতো সৌন্দর্য

মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, মমতা, করুণা ও সহানুভূতি রয়েছে, যা তাকে এক অনন্য মহিমায় অধিষ্ঠিত করে। মানুষের হাসি, বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, এবং আত্মত্যাগের মনোভাব ফুলের মতো সৌন্দর্যময়। আমরা যখন কাউকে ভালোবাসি, সাহায্য করি কিংবা কাউকে আনন্দ দিই, তখন সেই ফুলের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। একজন মাতৃস্নেহে সন্তানকে আগলে রাখে, শিক্ষক শিষ্যের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেন এসবই মানবতার সৌন্দর্যের প্রকাশ।

কাটার মতো বিষাক্ততা

মানুষের মধ্যে হিংসা, রাগ, লোভ, প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মক প্রবৃত্তিও বিদ্যমান। কখনো কখনো পরিস্থিতির চাপে কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য মানুষ নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। এ ধরনের আচরণ কাটার মতো, যা অন্যদের কষ্ট দেয়, আঘাত করে এবং সম্পর্কের ফাটল তৈরি করে। অনেক সময় ক্ষমতার লোভ, অর্থের প্রতি আসক্তি, কিংবা ব্যক্তিগত অহংকার মানুষকে অন্ধ করে তোলে, যার ফলে সে অন্যদের ক্ষতি করতে কুণ্ঠাবোধ করে না।

এই দুইয়ের সংমিশ্রণই মানুষের প্রকৃতি

একটি গোলাপ যেমন সৌন্দর্যের প্রতীক, তেমনি তার কাটাও আত্মরক্ষার অস্ত্র। তেমনি মানুষও তার কোমলতা ও কঠোরতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। কখনো সে প্রেমময়, কখনো কঠোর। সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করতে এই দুই দিকেরই প্রয়োজন। ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের উন্নতির জন্য আমাদের উচিত এই দুই দিককে যথাযথভাবে পরিচালিত করা। যদি আমরা নিজেদের নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তবে আমাদের মানবিক দিক আরও বিকশিত হবে।

নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা

প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের ভেতরের সৌন্দর্যকে চেনা এবং তার প্রসার ঘটানো। ধৈর্য, সহমর্মিতা, এবং পরোপকারিতা চর্চার মাধ্যমে আমরা নিজেদের আরও উন্নত করতে পারি। একইসঙ্গে, আমাদের উচিত নেতিবাচক দিকগুলোর দিকে সচেতন থাকা এবং সেগুলোকে সংযত করার চেষ্টা করা। যে ব্যক্তি তার রাগ ও হিংসাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে সত্যিকার অর্থে সফল ও সম্মানিত হয়।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।