ফটোগ্রাফি পোস্ট : কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি ।

🥰..আসসালামুয়ালাইকুম ..🥰

🥰..এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব..💗🙏।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি এলোমেলো ফোটোগ্রাফি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ফটোগ্রাফি যেন এক অদ্ভুত নেশায় পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে ফটোগ্রাফি ছিল একেবারেই হালকা একটা শখ, এখন সেটি আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। বিশেষ করে যখন রাস্তা-ঘাটে হাঁটতে হাঁটতে এমন কোনো সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ে, তখন সেটা মোবাইল ক্যামেরায় ধরে রাখার জন্য আমি আর থাকতে পারি না। ফটোগ্রাফির প্রতি আমার আকর্ষণ এখন দ্বিগুণ বেড়ে গেছে, এবং এটা শুধু ঘোরাঘুরির কারণে নয়, বরং প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো, ফুল, পাতা, গ্রামীণ পরিবেশের ছবি তোলার মাধ্যমে আমার এক অদ্ভুত আনন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, কিন্তু প্রতিবার নতুন নতুন করে অন্য রকম দৃশ্যের সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দী হয়।

লাল গোলাপ

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত লাল গোলাপ ফুল।গোলাপ একটি জনপ্রিয় এবং সৌন্দর্যময় ফুল যা বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে পরিচিত। এই ফুলের বৈশিষ্ট্য হলো এর সুন্দর এবং সুগন্ধী পাপড়ি। গোলাপের ফুল বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়, যেমন লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপী, কমলা, ইত্যাদি, এবং প্রতি রঙের গোলাপের আলাদা আলাদা প্রতীকী অর্থ রয়েছে।গোলাপের ফুলের গঠন সাধারণত পাঁচটি পাপড়ি থেকে তৈরি, তবে কিছু প্রজাতির গোলাপে পাপড়ির সংখ্যা বেশি হতে পারে।এই ফটোগ্রাফি টি আমি আমার চাচার বাড়ী থেকে সংগ্রহ করেছি।

হলুদ চন্দ্রমল্লিকা

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত চন্দ্রমল্লিকা ফুল।চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বৈশিষ্ট্য হল এর দৃষ্টিনন্দন পাপড়ি, যা সাধারণত সাদা, হলুদ, লাল, কমলা, গোলাপী এবং বেগুনি রঙের হতে পারে। ফুলটি সাধারণত বড় এবং গোলাকার আকারের হয়, এবং এর পাপড়ির সংখ্যা বিভিন্ন প্রজাতির ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।চন্দ্রমল্লিকা ফুলের অনেক ধরনের প্রজাতি রয়েছে, যা বিভিন্ন আকার, গঠন এবং রঙে পাওয়া যায়।শীতকালীন ফুল হিসেবে এই চন্দ্রমল্লিকা ফুল অনেক পরিচিত।

ক্যাপসিকাম মরিচ

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত ক্যাপসিকাম মরিচ।ক্যাপসিকাম মরিচ, যা শিমলা মরিচ নামে পরিচিত।ক্যাপসিকাম মরিচ সাধারণত মশলাদার নয়, বরং মিষ্টি স্বাদযুক্ত হয়।একটি জনপ্রিয় সবজি যা পাকা হলে বিভিন্ন রঙে লাল, হলুদ, সবুজ, কমলা দেখা যায়। এটি ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ। ক্যাপসিকাম মরিচ স্বাদে মিষ্টি এবং হালকা তিক্ত, যা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয় ও সালাদ হিসেবে ব্যবহার হয়।এই ফটোগ্রাফি টি আমার ছাদে ছোট বাগান থেকে সংগ্রহ করেছি।

লাল গাদা ফুল

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত লাল বা রক্ত গাঁদা ফুল। ফুলের একটি জনপ্রিয় ভ্যারাইটি, যা উজ্জ্বল লাল রঙের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত শীতকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত এবং এটি বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয়।লাল গাঁদা ফুলের পাপড়ি গুলো উজ্জ্বল লাল, সোনালি অথবা কমলা রঙের হয়ে থাকে, যা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। ফুলের আকার বড় ও ছোট এবং গোলাকার হয়। এর পাতা সরল ও সজীব সবুজ এবং ফুলের গন্ধও বেশ তীব্র ও মিষ্টি।

ছোট্ট লাউ

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত ছোট্ট লাউ ।লাউ এক ধরনের পুষ্টিকর সবজি, যা প্রোটিন, ভিটামিন সি, ফাইবার, এবং মিনারেল সমৃদ্ধ। এটি সাধারণত তরকারি স্যুপ, ডাল, এবং বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা হয়।স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে, লাউ অনেক উপকারী। এটি পেটের গ্যাস, হজম সমস্যা এবং ত্বকের জন্য ভালো।এই ফটোগ্রাফি ছোট্ট জালি লাউয়ের।এক সঙ্গে ৩টি ছোট ছোট লাউ বের হয়েছে।লাউ গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো ,তাই ফোন বের করে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।

জবা ফুল

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত গোলাপী রঙের জবা ফুল।গোলাপী রঙের জবা ফুল বেশ সুন্দর এবং এর বড় আকারের ফুলগুলোতে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। ফুলটি বেশিরভাগ সময় একক ভাবে ফুটে এবং এর শ্বেত বা হলুদ রঙের স্তবক থাকে।জবা ফুলের পাতা সাধারণত লম্বাটে এবং তীক্ষ্ণ প্রান্তের হয়। ফুলটি প্রায়ই সৌন্দর্য এবং ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়, এবং প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, যেমন চুলের বৃদ্ধির জন্য বা ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়।

প্রাকৃতিক সূর্যে দৃশ্য

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত প্রাকৃতিক সূর্যে দৃশ্য।সূর্যের প্রথম রশ্মি যখন আকাশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন পৃথিবী যেন নতুন করে জেগে ওঠে। মৃদু আলো, শীতল বাতাস এবং সূর্যের উজ্জ্বলতা এক অদ্ভুত শান্তি এবং আশার অনুভূতি এনে দেয়। সূর্যোদয়ের সময় আকাশের রঙ বদলাতে থাকে, কখনও গোলাপী, সোনালী বা কমলা রঙে বদলে যায়, যা খুবই মনোমুগ্ধকর।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।