আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি এই শীতের মধ্যে সকলেই সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান আল্লাহর রহমতে বেশি ভালো।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হলাম।আমার গল্পগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগছে জানি না,তবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে।আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে "তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৪" নিয়ে হাজির হলাম।চলুন "তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৪" গল্পের এই পর্বে কি লেখা আছে তা দেখে নেওয়া যাক।
তোমার জীবনে অনেক ঝড় গেছে আর আমাদেরকে তুমি অনেক কষ্টে বড় করেছো। নিজে কত কষ্ট করে আমাদেরকে ভালো থাকার চেষ্টা করেছ।তোমার কৃতজ্ঞতা আমরা ভুলে কি করে। আর বুঝিনা এত ভালো একজন মানুষকে সৃষ্টিকর্তা কেন এত কষ্ট দিয়েছে। এটা আমার মনের মধ্যে সব সময় প্রশ্ন জাগে। আজ সেই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলাম। সৃষ্টিকর্তা কাউকে কখনো ঠকায় না। কষ্টের পর সুখ আসে। হয়তো তোমার সুখ আজ অতি নিকটে।
তাইতো জীবন শুরু হতে না হতেই তোমাকে অনেক কষ্টে দিন যাপন করতে হয়েছে। আজ তুমি যদি সেখানে হয়ে যেতে এবং নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা না করতে তাহলে তোমার ভাগ্য হয়তোবা পরিবর্তন হতো না। কিছু কিছু সময় মানুষের কর্মফল মানুষকেই ভোগ করতে হয়।
কারণ নাতাশা যদি লেখাপড়া শুরু না করতো অনেক পরিশ্রম না করত তাহলে হয়তো তার ভাগ্য পরিবর্তন হতো না। পরিশ্রম করলে ও সৎ থাকলে জীবনে সফলতা আসবেই।দুই ভাইবোন বসে অনেক কান্নাকাটি করলো আগের কথাগুলো মনে করে।একটু পরে হাবিব হেসে বলল আমি বোকা কম নয় আজ আমার বোনের আনন্দের দিন আমি কেন যে মনে করে কষ্টে ফেলছি। সেই মুহূর্তে হাবিবের ওয়াইফ বলল আমার কথাগুলো অজানা ছিল আমিও শুনলাম আপা জীবনে কতটা কষ্ট করেছে । আজ আপার অনেক আনন্দের দিন।
হাবিবকে তার ওয়াইফ বলল আমরা সবাই মিলে বাইরে খাবো আজ বাসায় কোন রান্না হবে না। এই বিশেষ দিনটি আমরা বাইরে আনন্দ করবো। তারপর তারা চলে গেল রেস্টুরেন্টে। সারাদিন অনেক আনন্দ করে রাতে সবার বাসায় ফিরলো।এদিকে নাতাশার ও কর্মজীবন শুরু হয়ে গেল। নাতাশা বেশ ভালো একটি জব করে সেলারি প্রায় ৪৫ হাজারের মতো। নাতাশা প্রথম মাসের স্যালারি খেয়ে সমস্ত টাকা তার মা বাবার হাতে দিল। নাতাশার বাবা টাকা গুলো হাতে পেয়ে কেঁদে ফেললোআর বলল মা আমার জন্য তোর জীবনে এতটা কষ্ট। তখন নাতাশা বলল বাবা এ তো আমার ভাগ্যের লিখন। ওসব কথা বাদ দাও।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/mst_akter31610/status/1870141498869854355?t=gmlH-cwq06qr9063udnSzw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাতাশা আসলেই খুব কষ্ট করেছে। শেষ পর্যন্ত ভালো একটা চাকরি পেয়েছে, জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না। তাছাড়া নাতাশার ভাই হাবিবও খুব ভালো চাকরি করে। সবমিলিয়ে তাদের সংসারে এখন আর কোনো অভাব অনটন থাকবে না। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit