আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি এই শীতের মধ্যে সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন এবং সুস্থভাবে জীবন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে পরিবারসহ বেশ ভালো আছি।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৬" নিয়ে হাজির হতে চলেছি। গল্প লেখার প্রতি আস্তে আস্তে কেন যেন অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছি। আর গল্প লেখার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। কারণ আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেছে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
তখন নাতাসা তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলল মা আমি আর পারছিনা। আমি কি করেছি আমার এত কষ্ট কেন সব দিকে। আমার হৃদয়ে আর এত কষ্টের ভার আমি নিতে পারছি না। আজ আমার কলিক হৃদয় আমাকে তার ভালোবাসার কথা বলেছে কিন্তু আমার যে অতীতের একটি সমস্যা আছে সেটা হৃদয় হয়তো জানে না। আমি কি করে হৃদয় কে বলব আমি আজও তার অপেক্ষায় বসে আছি। আমি এই মন আর কাউকে দিতে পারবো না। আর আমার জীবনের কথাগুলো আমি কাউকে বলতে চাই না।
আবার কষ্টগুলো আমার ভিতরই থাক এটা প্রকাশ করে নিজেকেও আর ছোট করতে চাই না। তখন নাতাশার মা বলল এই কথা। মা তুমি সুন্দর করে ছেলেটিকে বুঝিয়ে বল আমি এখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি আমি আরো প্রতিষ্ঠিত হবো অনেক বড় হব এখন এইসব কথা আমার মাথার মধ্যে নেই। তারপর তার মায়ের কথা মতো নাতাশা হৃদয়কে বলল। এদিকে নাতাশা আদা জল খেয়ে লাগল কিভাবে আরো বড় হওয়া যাবে নিজেকে আরও প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। দিনরাত পরিশ্রম করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিজেকে বড় করার জন্য।
হঠাৎ একদিন নাতাশার শপিংমলে যখন তার কিছু কেনাকাটা করতে গেল তখন সেখানে দেখতে পেলো তার স্বামীর মত একজনকে।সে বড্ড অবাক হল এত মিল থাকতে পারে একজন আরেকজনের সঙ্গে। তারপর সে লোকটিকে কিছুক্ষণ দেখলো। যখন লোকটি সেই শপিং মল থেকে বেরিয়ে গেল তখন দোকান জিজ্ঞাসা করল ভাই এই লোকটি কে কে আপনি চেনেন না এখানে তো অনেকেই আসেজিনিস কেনার জন্য আমরা কজনার সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখবো বলেন।
সেই মুহূর্তে নাতাশা আর দেরি না করে বাসায় চলে গেল। নাতাশার মনের ভেতর একটি আনন্দ কাজ করছিল।বারবার মনে হচ্ছিল ওটাই তার স্বামী। কিন্তু নাতাশার স্বামী নাতাশাকে চিনতে পারল না। কারণ তার মাথার সমস্যা কারণে সবকিছু ভুলে গেছে।পরের দিন সেই শপিং মলের নাতাশা আবারো যায় যদি আবারো দেখা হয়ে যায় তার সঙ্গে এই ভেবে। কিন্তু নিষ্ঠুর নিয়তি তাদের আর দেখা হল না।এভাবে দু-তিন দিন গিয়ে নাতাশা হতাশা গ্রস্থ হয়ে বাসায় ফিরলো। হঠাৎ একদিন আবারো দেখা হয় তাদের।তখন নাতাসা তাকে ফলো করতে থাকে। তাকে ফলো করে তার সঙ্গে গিয়ে দেখে সে একটি কোম্পানির দায়িত্বে আছে।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অপেক্ষা বড় কষ্টের।নাতাশা যেহেতু মনে প্রাণে তার স্বামীকে খুজছে তাহলে হয়তো নাতাশা তাকে পেয়েই যাবে।যাইহোক যেহেতু নাতাশা তাকে ফলো করতে করতে চলে গিয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/mst_akter31610/status/1875234939572269119?t=R3irw6ajrWQ6HHxvNF1wJg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দীর্ঘদিন পর নাতাশা তার স্বামীকে দেখতে পেয়েছে,জেনে খুব ভালো লাগলো। আশা করি নাতাশা তার স্বামীর সাথে কথা বললে,তার স্বামী ধীরে ধীরে পুরনো সব স্মৃতি মনে করতে পারবে। তবে হৃদয় তো নাতাশাকে না পেয়ে ভীষণ কষ্ট পেলো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit