আসসালামু আলাইকুম।আমার প্রাণের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সুন্দরভাবে সময় অতিবাহিত করছেন এবং সুস্থতার সঙ্গে জীবন যাপন করছে।আমিও বেশ আছি আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে।
আমার পোস্ট থেকে ছবিটি স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া।
আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগের" তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।আমি আপনাদের সাথে স্মৃতি কথা মূলক রচনা লেখার চেষ্টা করছি।
আমার বাংলা ব্লগকে নিয়ে আমার স্মৃতিচারণ।
আমরা প্রত্যেকেই লেখাপড়া করি নিজের পায়ে দাঁড়াতে অর্থাৎ নিজে ইনকাম করব নিজে চলবো এরকম ভবিষ্যৎ কে লক্ষ্য রেখেই লেখাপড়া করি।ঠিক আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না আমারও উদ্দেশ্য একই ছিল।কিন্তু কিছু পারিপার্শ্বিকতার কারণে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স শেষ করার পরেও কোন চাকরিতে যোগদান করতে পারিনি।যেন সংসার সামলানোটাই ছিল আমার বড় কাজ।
২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে যুক্ত।আর সে থেকে আজ পর্যন্ত কাজে ধারাবাহিকতা রেখে কাজ করে চলেছি।তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমার রক্তে রক্তে মিশে গেছে যেন।আজকে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছি কারণ এই কমিউনিটি ঘিরে তো আমার অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে যেখান থেকে কোনটা রেখে কোনটা বলবো এটাই ভেবে পাচ্ছিনা।তাই অনেক চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করলাম যে অনেক স্মৃতি মধুর স্মৃতির মধ্য থেকে একটি স্মৃতি নিয়েই কথা বলা বেশি ভালো কারণ এতে আপনাদেরও আমার স্মৃতিচারণ মূলক রচনাটি পড়তে ভালো লাগবে।
২০২১ সালে ইলিশ মাছের রেসিপি প্রতিযোগিতায় গ্রহণ করেছিলাম।আর এই প্রতিযোগিতাটি এতোটাই জনপ্রিয় ছিল সেটা লিখে প্রকাশ করা অনেক কঠিন।আমার মনে হয় ওই সময় থেকে যারা আছে তার সবাই আমার সঙ্গে একমত হবেন।সেই প্রতিযোগিতায় ছিল আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির শ্রেষ্ঠ অংশগ্রহণমূলক প্রতিযোগিতা।
তখন ব্লগিং জগতে আমি ছিলাম একদম হাটি হাটি পা পা অবস্থায়।আর সে সময় এতো জন জনপ্রিয় একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হয়েছিল।এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে নিজে সকল বাজার করেছি এবং বাজারের প্রত্যেকটি ছবি একটি একটি করে মুঠোফোনে উঠিয়েছি।এতে অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করেছে কেউবা ভালো কেউবা খারাপ।এরপর বাজার শেষে যখন বাসায় রান্নার জন্য সবকিছু রেডি করছিলাম।তখন কোথায় রেখে ছবি উঠাবো, কোন ট্রে ব্যবহার করব, কোন বাটি ব্যবহার করব এই বিষয়গুলো নিয়ে যেন আমার বাসায় একটি অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল।তবে সব মিলিয়ে রান্নার সবকিছু করতে খুব ভালই লেগেছিল কারণ আমার পরিবারের সকলেই আমাকে সহযোগিতা করে ছিল।
রান্না শেষে যখন রেসিপিসহ সেলফি নিতে হবে এ বিষয়টি এত বেশি স্মরণীয় হয়ে আছে।কারণ কতগুলো সেলফি যে উঠিয়েছি তার হিসাব ছিল না কারণ কোন সেলফিতে আমাকে বেশি ভালো লাগবে এটাই ছিল আমার মূল লক্ষ্য।
এরপর এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ বৃহস্পতিবার রাতে হ্যাংআউটে এই রেসিপি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম প্রকাশের পালা।যখন শুভ ভাই বিজয়ীদের নাম একের পর এক বলছিল তখন যেন হৃদস্পন্দন কত গতিতে যে চলছিল সেটি বলতে পারব না।আর কান শুধু একটি শব্দ শোনার অপেক্ষায় ছিল তা হলো @saymakter. তবে শেষ পর্যন্ত সে নামটি শোনতে পেলাম না। তখন মনটি অনেক খারাপ হয়ে গেল এবং বলা যায় যে বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক বেশি টেনশন করতে লাগলাম।ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদা অনুভূতি প্রকাশ করতে এসে প্রথমেই বললেন @saymaakter এর রেসিপিটি অনেক বেশি ভালো ছিল এবং ইউনিট ছিল। তবে যেহেতু নারিকেলের দুধ ব্যবহার করা হয়েছে আর এতে রেসিপিটি মিষ্টি হয়েছে এজন্যই রেসিপিটিকে আর বিজয়ী করা হয়নি। আর এই কথাটি @rme দাদার মুখ থেকে শোনার পরে কি যে ভালো লেগেছে যেটা আজকে পর্যন্ত আমার কানে বারবার বাজে।
আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদা এমন একটি কমিউনিটি সৃষ্টি করে আমাদের মেয়েদের জন্য এত বেশি ভালো কাজ করেছেন যেটি ভাষায় বলে প্রকাশ করা সম্ভব না।
পরিশেষে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি প্রার্থনাই করি সেটি হলো আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদার এবং দাদার পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখেন।আর এভাবেই আমাদের পাশে সব সময় আমাদের সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই কমিউনিটি অংশগ্রহণ বিষয়ে পোস্ট লিখেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট লিখতে দেখে। আপনি কবে কখন অংশগ্রহণ করেছেন সবকিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে এবং বিস্তারিত জানতে পেরে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু অনেক আগের একটি স্মৃতিচারণ মূলক পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমরা যারা নতুন মেম্বার আছি, এমন সুন্দর সুন্দর স্মৃতিচারণ মূলক পোস্ট দেখে আফসোস করছি আরোও আগে কেন জানলাম না এই কমিউনিটি সম্পর্কে, আরো আগে কেন যুক্ত হলাম না! আর শ্রদ্ধেয় দাদার থেকে এমন কমপ্লিমেন্ট পাওয়া মানে আসলেই অনেক বেশি ভালোলাগার অনুভূতি তা তো আর নতুন করে বলার কিছু নেই। শুভকামনা রইলো আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিদি। বানান স্পেলিং মনে হয় একটু ভুল আছে ঠিক করে নিবেন প্লিজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যে বানান ভুল ছিলো, আমি ঠিক করে নিয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আর আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit