জেনারেল রাইটিং ||| বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গার অভাব ||| original writing @saymaakter.

in hive-129948 •  yesterday 

আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? প্রত্যাশা করি আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা নিজ নিজ পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি তবে পরিপূর্ণ সুস্থ না। কারণ বর্তমান সময় চলছে শীত।এই শীতে মানুষের অসুস্থতার পরিমাণটা বেড়ে যায়।

badminton-6556437_1280.jpg
source

শীতের মৌসুমটা যদিও অনেক পছন্দ। তারপরেও নানান রকম সমস্যার ভেতর দিয়ে কেটে যায় সবার জীবন। চার দিকটায় প্রকৃতির সতেজতা। গাছে গাছে নতুন ফুলের আগমন।ডালিয়া, গাঁদা ও নদীতে পদ্ম ফুল গুলো দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। তারপরও সবকিছু সুন্দরের মাঝে নিজের সামান্য অসুস্থতা থাকলেও প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছে সব হার মানে।আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি জেনারেল রাইটিং নিয়ে "বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গার অভাব "।

শীত আসতে না আসতেই শুরু হয়ে যায় বাচ্চাদের খেলার ধুম। তাই যেখানে সামান্য এতটুকু জায়গা থাকে সেখানেই তারা চলে যায় ব্যাডমিন্টন নিয়ে।যদিও আজ কাল বাচ্চারা খেলার সময় পায়না। আর খেলার প্রতিও তেমন আগ্রহী নয়। একটি সময় আমরা যত ধরনের খেলা খেলেছি সেই খেলাগুলো বাচ্চাদের বললে তারা চেনেনা। আসলে তারা একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির ভেতরেই মানুষ।

প্রতিটি শিশু শুধু চেনে তার মুঠোফোনের গেম, কার্টুন আর প্রতিযোগিতামূলক পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত। আমরা অভিভাবক রাও বাচ্চাদের সেই প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছি। কারণ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অভিভাবকদের চলতে হয়।এই বয়সে ওই স্টুডেন্ট এত ভালো রেজাল্ট করলো তুমি কেন করলে না। তাই তো সেই বাচ্চার উপর অনেক পড়া চাপিয়ে দিয়ে যেভাবেই হোক তার কাছ থেকে আমরা পড়া আদায় করে ছাড়ি।

পড়ার চাপ ও ব্যস্ততা যতই থাক না কেন শীতের এই সময়টাই এলে প্রত্যেকটি বাচ্চাদের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম পড়ে যায়। বিকাল হতে না হতেই সবাই ব্যাডমিন্টন নিয়ে ছুটে যায়। তাদের চোখে মুখে আনন্দ। আসলে খেলাধুলা ও বিনোদন প্রত্যেকটি মানুষেরই দরকার। এতে করে সব বাচ্চাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

অন্যান্য কাজেও তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে না।কিন্তু এই ইট পাথরে ঘেরা শহরগুলো এমন ভাবে সব বড় বড় উঁচু দালান করা রয়েছে যেখানে বাচ্চারা খেলবে আনন্দে একটু দৌড়াদৌড়ি করবে সেটার উপায় নেই। কারণ বাচ্চারা যেখানে খেলতে যায় সেখানেই বাধা আর তখনই মন খারাপ করে চলে আসে ব্যাডমিন্টন হাতে নিয়ে। শহরের ইট পাথরের ঘেরা বড় বড় উঁচু দেয়াল রয়েছে ঠিক কিন্তু তাদের মন মানসিকতা গুলো অন্যরকম।

গ্রামের মানুষের মন গুলো যেমন সহজ সরল তাদের মত নয়। প্রত্যেকটা বিল্ডিং এর আশে পাশে সেরকম খেলার জায়গা নেই তাই তো বাচ্চারা অনেক খোঁজা খুঁজির পর একটি জায়গা সিলেক্ট করল এখানে প্রতিদিন খেলবে। তারা একটি লোক দিয়ে জায়গাটির পরিষ্কার করলো। কত আনন্দ নিয়ে কাজগুলো করছিল সেটা না দেখলে বোঝার উপায় নেই। তারপরের দিন থেকে ব্যাডমিন্টন যখন খেলছিল খুব আনন্দ করছিল সেই মুহূর্তে একজন এসে বলল এখানে আর খেলা হবে না। অনেক ধমকা ধমকি করে বাচ্চাগুলোকে বের করে দিল।

প্রত্যেকটি বাচ্চার মন খারাপ দেখে খুব খারাপ লাগছিল আমার। সত্যিই আমরা কতটা অসহায় খেলার জন্য একটু জায়গা বাচ্চাকে দিতে পারি না। এতো ফুলের মত নিষ্পাপ কমল মনে যখন দাগ লাগে তখন তাদের মুখটি দেখলেই বুঝা যায় কতটা কষ্ট পেয়েছে তারা।তাদের কষ্টটাকে আমি মেনে নিতে পারছিলাম না তাই চিন্তা করলাম বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তবে অবশ্যই আমরা যে যার জায়গা থেকে বাচ্চাদের খেলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।

আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করছি।সে পর্যন্ত আপনাদের কাছে থেকে বিদায় নিচ্ছি।

আমার পরিচয়।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।

🇧🇩খোদা হাফেজ🇧🇩

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYSca4uiwxY92oCT3we6pnjAJirBHSiPDiqpZopdnYBv8yQp7bTSXMPuu4RdRD13tDN8QjMQ6JJViL8zkPZrgmaf1FFwWdqE8DHHyp3jXwcVV8.png

Messenger_creation_FF6D906D-749B-4E07-8320-B599EE0CFF0F.png

Messenger_creation_2F56E3F2-027F-4EEF-9A13-7105084B0F77.png

Messenger_creation_5ECC1BDD-EC8B-4D17-9935-6B81DE8F1765.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order: